Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

সঙ্কা জাগে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে

লিখেছেন: কল্পদেহী সুমন | তারিখ: ২১/১০/২০১৪

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1803বার পড়া হয়েছে।

images22খুব কষ্ট লাগে যখন শুনি শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে, ছাত্রীর স্পর্শকাতর অঙ্গে দৃষ্টি দিয়েছে আর অশালীন কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের মন মানসিকতা নীচু করে দিচ্ছে। ছোট বেলা থেকে যাদেরকে মাতা পিতার পর আপন ভাবতে শিখেছি যখন তারাই সুযোগ বুঝে নিজের মানসিক ও দৈহিক চাহিদা পূরণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তখন কেমন লাগে? আসলে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের জন্য উপযোগী নয়। কিছু কুচক্রী মহল আর তসলিমা প্রেমী মানুষের অবাধ বিচরণ আমাদের দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে বারবার ভুল পথ চালিত করার প্রয়াস করেই চলছে। স্কুল কলেজের সিনিয়র পর্যায়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা যখন তসলিমা মনোভাবের হয় তখন সে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হতে পারে তা ভাবতে পারেন! হ্যাঁ অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আমার পরিচিত একটি স্কুলে কিছু  নষ্ট ও অরুচিকর মানুষ আছে যারা মেয়েদের হিজাব করা দেখলে পাগলা কুকুরের মতো ক্ষেপে যায়। তাদের হিজাব বিরোধী যুক্তিগুলো হলো –
১।যে মেয়ে বিবাহিত নয় সে কেন হিজাব পড়বে।
২।যে মেয়ে আরবের নয় সে কেন হিজাব পড়বে।
৩।যেহেতু স্কুলের ইউনিফর্মে হিজাবের কথা উল্লেখ নেই তাহলে কেন হিজাব পড়বে।
৪।হিজাব পড়লে বিশ্রী দেখা যায়।
৫।ধর্ম পালন করতে হলে হিজাব পড়তে হবে এমন কথা নেই।
৬।হিজাব না পড়েও ধর্ম পালন করা যায়।
ইত্যাদি নানা অযৌক্তিক কথা তাদের মুখ থেকে বের হয়। আমি আশ্চর্য হই এ শুনে যে কারও হিজাব করা দেখে কোন কোন মেডাম বারান্দা থেকে জানালা দিয়ে হিজাব টান দিয়ে খুলার চেষ্টা করেন। আরও অবাক হই যখন এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রীকে ধরে নিয়ে যায় প্রিন্সিপলের কাছে আর প্রিন্সিপল যখন বাধ্য করে ছাত্রীকে সেই হিজাব বিরোধী মেডামের পা ধরে ক্ষমা চাইতে আর ভবিষ্যতে এমন করলে টি.সি দেওয়ার কথা বলে দেয়।
এবার এরকম ধরনের শিক্ষিকাদের বর্ণনা দেই। নিজেদের তারা খুব সুন্দরী ও স্মার্ট ভাবে যদিও এগুলোর ধারের কাছেও নেই। সবসময় পাতলা শাড়ি পড়ে এবং দেহের অনেক অংশই উন্মুক্ত থাকে। আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে এতো হালকা পাতলা কাপড় পরিধান করার পরও তাদের অনেক গরম লাগে, হয়তো তা মেকাপ করার ফলে।
এবার শ্রদ্ধেয় হিজাব বিরোধী শিক্ষিকাদের যুক্তিগুলোর ব্যবচ্ছেদ করি –
১।আপনারাই বলেন বিবাহিত মেয়েরা হিজাব পড়বে তাহলে আপনারা হিজাব করেন না কেন?
২।হিজাব কি কেবল আরবের মেয়েদের জন্য সীমাবদ্ধ? হিজাব মুসলিম ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক মেয়েদের জন্য পড়া আবশ্যক। যদি ধর্ম জ্ঞান থাকতো তাহলে তা অজানা থাকার কথা নয়।
৩।স্কুলের ইউনিফর্মে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ নিয়মই বাস্তবায়িত হয় তাতে কোথাও বলাও নেই হিজাব ব্যবহার করা নিষেধ। আর হিজাবের নিয়ম প্রাতিষ্ঠানিক নয় ধর্মীয় ভাবে জারি করা আছে, আমার মনে হয় এর চেয়ে বড় কোন নীতির দরকার আছে বলে।
৪।হিজাব পড়লে বিশ্রী নয় সুশ্রী দেখি যায়। নিজে পড়ে একবার ট্রায়াল করে দেখে নিন।
৫।ধর্মেই স্পষ্টত বলা আছে নারী, পুরুষ সকলে হিজাব পালন করতে হবে। এবং এ নিয়ে বহু হাদিসও আছে। ইসলামের অনুশাসনের মাঝে হিজাব অন্যতম।
৬।হিজাব ঠিক না থাকলে কোন প্রার্থনাই তো কবুল হবেনা। তাই হিজাব কি গুরুত্বপূর্ণ নয় এখনও?
আমার এ শুনে ভালো লাগে যখন স্কুলের কিছু শিক্ষক/শিক্ষিকা হিজাব পড়তে ছাত্রীদের উৎসাহিত করে। তখনই আরও ভালো লাগে যখন শুনি অমুসলিম থেকে ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরিত কোন শিক্ষিকা ছাত্রীদের হিজাব করার গুরুত্ব বুঝান তখন। আমি ঐ মুসলিমের পরিচয়ে হিজাব বিরোধী শিক্ষিকাদের প্রতি এখন ঘৃণা ছাড়া কিছুই দিতে পারছিনা। যখন অন্য ধর্মের একজন নতুন ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এর মাহাত্ম্য বুঝতে পেরেছে আর আপনারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেও তা বুঝতে পারলেন না তখন ধাক্কার জানাই আপনাদের প্রতা।
আপনাদের মতো কুলাঙ্গার আর ইসলাম বিদ্বেষী মানুষগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঢুকে ছেলে মেয়েদের কোমল মনে অইসলামিক অসংস্কৃতির বীজ বপন করে দিচ্ছেন। যার ফলে আগামীর প্রজন্ম নিয়ে সঙ্কা দেখা দিচ্ছে। হয়তো আপনাদের কারণে আজ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের অনেকেই অশৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। আপনারা শিক্ষক পদে আসীন হয়ে শিক্ষক পদটাকেই কলঙ্কিত করছেন। আমি আপনাদের শিক্ষক মানতে নারাজ কারণ আমার কাছে শিক্ষকের সংজ্ঞায় আপনাদের মতো মানুষের স্থান নেই। শিক্ষকের সংজ্ঞার কাঠামোতে আবদ্ধ সকল শিক্ষকের প্রতি জ্ঞাপন করছি বিনম্র শ্রদ্ধা।

১,৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন পিতা: মো: আবু সাদেক খন্দকার মাতা: ঝরনা বেগম বর্তমান ঠিকনা: মিরপুর, ঢাকা স্থায়ী ঠকানা: কুমিল্লা জন্ম তারিখ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৪ ধর্ম: ইসলাম জাতীয়তা: বংলাদেশী বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত শিক্ষা: বাংলাদেশ নৌবাহিনা কলেজ, ঢাকা থেকে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয়টিতে জি.পি.এ ৫ পেয়ে উত্তীর্ন। বর্তমানে মানারত ইন্টার্ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত। আমি যে রকম : কথা বেশি একটা বলিনা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। সব সময় কল্পনা করি। কল্পনায় আমি সবসময় নিজের সাথে কথা বলি। আর সব সময় অন্যমনষ্ক থাকি। আমার আশেপাশে কে কি করছে না করছে তার দিকে আমার তেমন খেয়াল থাকে না। অনেক সময় কাউকে খুজতে যেয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আর একটা কথা হলো আমার পথ মনে থাকে না তাই আমি একা হাটতে গেলে প্রায়শই পথ ভুল করি। পথে হাটাহাটি করার সময় কত জনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি এ পর্যন্ত, তার হিসাব নেই। আমার সমস্ত জীবনটাকে কল্পনা মনে হয় কারণ সব কিছুই যাই ঘটে আমার সাথে তাই আমার কাছে কল্পনা মনে হয়। যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে ভাবি কল্পনা ভেঙ্গে গেলাই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই অসম্ভব রকম কল্পনাসক্ত দিনকে দিন বেড়েই চলছে। নিজেকেই কখনও হারিয়ে ফেলি আমি। জানিনা জীবনের অনেক কিছুই হয়তো তবে যতটুকু আমি অর্জন করেছি তার সবটুকুই সত্য। মিথ্যা কিছু নিয়ে আমার বড়াই নেই। এক অদ্ভুত বিষয় সর্বদাই আমাকে ভাবিয়ে তুলে তাহল কেন যেন অন্য আট দশটা মানুষের মতো সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারিনা। কিছু বিষয় আমাকে বারবার স্পর্শ করে যাবেই। আমি যা বলি তার সবটাই গভীর অনুভূতি থেকে বলি তাই হয়তো আমার কথার জবাব অর্থপূর্ণ না হলে এক ধরনের অপমানবোধ কাজ করে। আমি ভাবনার অতলে প্রবেশ করে জটিল বিন্যাসে অনেক ছক আঁকি যার ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ হতে আমার বিষয়গুলো ভাবলে মানানসই হবে না। আমাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে এরকম খুব কম মানুষই আছে। আমিও নিজেকে কখনও কখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা, তাই হয়তো আমার মন খারাপের কারণ, রাগ করার কারণ অনেক সময় আমার অজানাই থাকে। আমি খুব বেশি একটা কথা বলা পছন্দ করিনা যদিও আমার ফেসবুকে পোস্ট দেখলে তা অনেকের বিশ্বাস হবেনা। বাস্তবে আমি বন্ধুদের আড্ডা, পরিবারের আলোচনায় কথা তেমন বলিনা বললেই চলে। আমি সব সময় বিভিন্ন ধরনের ভাবনায় নিমগ্ন থাকতে পছন্দ করি তাই হয়তো বাস্তব জীবনের সাথে আমার সম্পর্কটাও নড়বড়ে। আমি সহজেই মানুষকে অনুভব করে ফেলি যার ফলে খুব সহজেই কাউকে মনের গভীরতায় ঠাই দিয়ে বসি। আর এটাই কখনও কখনও আমার দুঃখের কারণ হয়ে বসে। আমি জানিনা আমার বর্তমান, জানিনা আমার ভবিষ্যৎ তবে এটুকুই বলতে পারি এক সময় সুখ আর দুঃখ দুটোই একই মনে হবে আমার কারণ আমার অনুভূতির জগতটি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। আর আমার অনুভূতি নিস্তেজ হয়ে যাওয়া মানে আমার কবিতা, গল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে আমার সৃজনশীল কর্মের তালিকা হতে। তবে আমি থাকব একজন অবাধ্য বন্ধু হয়ে সবার মাঝেই। প্রকাশিত বইঃ (১)সমন্বয়(কাব্য গ্রন্থ-সম্মিলিত সংকলন)
সর্বমোট পোস্ট: ২৯২ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৪৯৪ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৮-২৯ ১৬:৩০:৩০ মিনিটে
banner

৩ টি মন্তব্য

  1. প্রহেলিকা মন্তব্যে বলেছেন:

    পড়লাম আপনার বক্তব্য, আমাদের এই সমাজে শিক্ষক নামের আড়ালে যেই নরপশুগলো রয়েছে তারা পুরো জাতিকে কলংকিত করেছে, আমাদের এই সমাজে তাদের মত পশু আর নেই বলেই মনে করি, তবে আজ তারাই দাপটের সাথে চলাফেরা করছে, ঘৃণা সেই সব নরপশুদের যাদের দ্বারা যৌন শিকার হচ্ছে তাদের সন্তান সম ছাত্র ছাত্রীরা। এখনো আমাদের এই দেশ এই কলঙ্কের বোঝা বহন করে আসছে। তারা শিক্ষক নামের কলংক।

    তবে আপনার বক্তব্যের কিছু কিছু জায়গায় আমি দ্বিমত, তসলিমা নাসরিনকে পোষ্টে টেনে আনা যথাযথ মনে হয়নি, শুধুমাত্র বেপর্দা চলাফেরার কারণেই যে তারা ধর্ষিত হচ্ছে তা কিন্তু না, যদি তাই হয় তাহলে শিশুরা কেন ধর্ষিত হয় বলতে পারেন? যে শিশুর বক্ষ পর্যন্ত উন্মেলিত হয়নি সেসব শিশুরা কি ধর্ষিত হচ্ছে না? যদি হয়ে থাকে তাহলে তার কারণ কি? তসলিমা নাসরিন হয়তো হিজাব বিরোধী তবে শুধুমাত্র হিজাব দিয়ে ধর্ষণ রক্ষা করা যাবে না, তসলিমা নাসরিনকে টেনে আনা আপনার তখনি শোভা পেতো যখন একমাত্র হিজাবই হত ধর্ষণের কারণ। বিষয়টি ব্যক্তিগত আক্ষেপের দিকেই চলে গেল। তবে হ্যা হিজাব অনেক সময় রক্ষা করে সব সময় না. আমরা মুসলিম হিসাবে আল্লাহর দেখানো রাস্তাগুলো মেনে চলবই, পাপ থেকে দুরে থাকার জন্য। আমাদের ধর্মে হিজাবের মাধ্যমে রক্ষা পাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই সকলের দৃষ্টি দেওয়া উচিত কিন্তু অন্যান্য ধর্মের মানুষদের কি হবে?

    শিক্ষক দ্বারা লাঞ্চিত, যৌন শিকারের সম্মুখীন হবার ঘটনা অহরহ চোখে পরে তবে তার প্রতিকার আজও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে তবে এভাবে জনই উদাসীনতা বজায় থাকে তাহলে ধীরে ধীরে তা আরো বৃদ্ধি পাবে।

    আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে আনার জন্য, আরো লিখুন এই বিষয়ে। সকল ধর্মের জন্য এই নরপশুদের হাত থেকে প্রতিকারের উপায় চিন্তা করে।

    ভালো থাকবেন খুব।

  2. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    সুন্দর পোস্ট। অপসংস্কৃতিতে দেশটা উচ্ছনে যাচ্ছে। মেয়েদের পর্দা মা বাবারও অন্বক দোষ আছে।

  3. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    সুন্দর পোষ্ট

    ভালো লাগলো পড়ে

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top