অতিরিক্ত কাজের চাপ হতে পারে নারীদের জন্য বিপজ্জনক
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1201বার পড়া হয়েছে।
এখন আর চার দেয়ালের মাঝে বন্দী নেই নারীরা। পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অফিস এবং ঘরে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন তার। কর্মজীবী নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা একান্ত জরুরি। কাজের ব্যস্ততায় স্বাভাবিকভাবেই নারীদের কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। এমন কিছু সমস্যার কথা এখানে তুলে ধরা হলো যেসব ব্যাপারে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
১) কাজের চাপে নারীরা অনেক সময় ঠিকভাবে খাবার খেতে ভুলে যান, যা তাদের শরীরে আয়রন ও প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি করে। এর ফলে রক্তস্বল্পতা, নিম্ন ও উচ্চ রক্তচাপ, হাড়ের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২) কাজের চাপ নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। বিশেষত থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিল বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
৩) অফিসের কাজে যদি অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে যাওয়ার আগে যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। তা না হলে ত্বকের অ্যালার্জি বা শ্বাসনালীর সমস্যায় পড়তে পারেন।
৪) ২৫-৪০ বছর বয়সী কর্মজীবী নারীদের একদিকে অফিস অন্যদিকে বাসার কাজের চাপ সামলাতে হয়। সব মিলিয়ে বেশ চাপে থাকতে হয় তাদের। এ চাপ নারীদের উচ্চ রক্তচাপ, ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যা তৈরি করে। তাই নিজের প্রতি যত্নবান হোন এবং যতটা সম্ভব কাজের চাপ কমানোর ব্যবস্থা করুন।
৫) অফিস ও বাসার কাজের চাপ নারীদের ঋতুচক্রে অনিয়মের কারণ হতে পারে এবং এই সমস্যা আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।
৬) সব মিলিয়ে কর্মজীবী নারীদের নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং যেকোনো সমস্যাকে উপেক্ষা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সেই সাথে পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
১,১৯০ বার পড়া হয়েছে
হাচা কইছেন বস
নাইস লিখা
শুভ কামনা থাকবে
বেশ
মেনে চলা উচিত
ভাবনার বিষয় বটে!
সবারই সচেতন হওয়া দরকার।
তাহলে নারীদেরকে মাঝে-মধ্যে বিশ্রাম দেয়া হোক ! দায়িত্বটা কিন্তু সবার-ই !
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।