আজ বিশ্ব বাবা দিবস!!!
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 2903বার পড়া হয়েছে।
বাবা, সন্তানের মাথার ওপর যার স্নেহচ্ছায়া বটবৃক্ষের মতো, সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় তাকে, আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। আর বাবার তুলনা বাবা নিজেই। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। সুযোগ এসেছে সেই বাবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের। আজ বিশ্ব বাবা দিবস।
জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বাবা দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের ৫২টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি পিতারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
পৃথিবীর সব পিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, ‘সনোরা স্মার্ট ডড’ নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে পিতাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার পিতাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯ জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।
বাবা দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
৩,০৯৬ বার পড়া হয়েছে
সকল বগ্লার ও সম্পাদক সাহেবকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। সবাই বাবাকে সম্মান করুন।
বাবা দিবসের শুভেচ্ছা রইল নিরন্তর….
এই বছরে আমিও একজন বাবা হয়েছি। বাবা-মা না হওয়া পরজুন্ত বুঝা যাবে না বাবা-মা কি জিনিস। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। আমাদের তখন কিছুটা খারাপ সময় যাচ্ছিল। এমন সময় গেছে যে তখন আব্বার হাতে ১০০ টাকাও নাই। কত কষ্টই না গেছে! মা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতেন। এক রুমের ছোট্ট এক বাসাতে থাকতাম। আমার একটা ক্যালকুলেটর খুব প্রয়জন ছিল। আব্বার একজোড়া জুতা ক্ষয় হয়ে এমন অবস্থা ছিল যে সেটা পড়ে হাঁটা কঠিন ছিল। তবুও আব্বা সেটা পড়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে একটা ক্যালকুলেটর কিনে এনেছিলেন। আজ আমার ডেস্কটপ পিসি আছে, আছে নেটবুক, আছে হাই কনফিগারেশন মোবাইল, থাকি বিশাল ফ্ল্যাটে– তারপরও আমি সেই ক্যালকুলেটরকে মিস করছি ভীষণ। যে ক্যালকুলেটরে আমার আব্বার ঘাম লেগে আছে।
আব্বা আপনাকে স্যালুট!
জীবনে অনেক বেয়াদবি করেছি, আপনার চরন চুমে আমি ক্ষমা চাচ্ছি আমার সব অপরাধের। যত দিন বেঁচে থাকব, ততদিন যেন আর আপনার সাথে বেয়াদবি না করি সেই দুয়া চাই।
হে আল্লাহ, তুমি আমার মা-বাবাকে ভাল রাখ, সুস্থ রাখো।
তাই যেন হয় সবার মনে।
বাবা-মা না হওয়া পরজুন্ত বুঝা যাবে না বাবা-মা কি জিনিস।
>> ঠিক বলেছেন। কারণ আমিও একজন বাবা।
আপনার বাবা হওয়াটা মহা গৌরবের ব্যাপার। সবাই তা পারে না।
আমি একটা দিনের জন্য বাবা দিবস পালনের পক্ষে নই। পৃথিবীর সব সন্তানরা যেন সবসময় তাদের বাবাকে ভালবাসে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সহমত রফিক আল জায়েদ।
ভালো লাগলো। সবার প্রতি অনুরোধ থাকল আমাদের প্রতি প্রার্থনাই যেন মা-বাবা থাকে।
আজ বাবাকে কষ্ট দিলে কাল আমাকেও একইভাবে কষ্ট পেতে হবে ।
সহমত সপ্নিল রায়।
বাবা দিবসকে উপস্থাপনা এবং সম্পাদকের কিছু ব্যাক্তিগত অনূভূতি সত্যিই অতুলনীয়…অনেক অনেক ভালো লাগল…বাবা দিবসে সবার বাবাড়ের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা….
বাবাড়ের ”বাবাদের” হবে
সবাইকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।
আরিফ ভাই দীর্ঘ একমাস পরে এসে আজ বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন কারণটা কি?
ভাই ঐ সময় জানাতে পারি নি তাই। আর আমি এই ব্লগে নতুন।
সুন্দর লিখেছেন তো !
অসংখ্য অসংখ্য ভাল লাগা জানিয়ে দিলাম ।
ধন্যবাদ সম্পাদক ভাই। ফাদারস ডের ইতিহাস জানতে পারলাম আপনার লেখা পড়ে।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।