আমার উদাসীনতা ও বাস্তবতার দীনতা ।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1331বার পড়া হয়েছে।
বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ি আমি বরাবরই আড়চোখে দেখার চেষ্টা করি । তাই মিডিয়ার বেশ কয়েকদিনের বাড়াবাড়ি আমি অতি সজ্ঞানে এড়িয়ে যাই । কোথাকার কোন মুসা বিন শমসের হঠাৎ করে মিডিয়ার এতখানি জায়গা বেদখল করে কাগজের পাতা ভারি করছে, আর চারিপাশে ক্যাওয়াজ সৃষ্টি করছে । এসব আমার মোটেই ভাল লাগছিল না । তাই সময় থাকলেও পত্রিকার ঐসব কলাম পড়ার রুচি আমার হলো না । আরে বাবা বাংলাদেশে মানুষ অমানুষ সুযোগ পেলেই বড় বড় দুর্নীতি করে এ আর বলার কি আছে । তোমরা বলে বা লিখেই বা কি রাষ্ট্র উদ্ধার করেছ । তোমরাওতো সুযোগে কম যাও না । তোমাদের চরিত্র, বেতন আর জীবনমান দেখলে বুঝি আমরা বুঝি না । যাক সে কথা ।
কোন এক ছুটির দিনে অলস সময় কাটাচ্ছি আর নেটে বসে পত্রিকা চষে বেড়াচ্ছি । চাষবাস শেষেও যখন অফুরন্ত সময়ের কুলকিনারা করতে পারছিলাম না তখন চিন্তা করলাম দেখি ব্যাটা মুসা বিন শমসের কি এমন আয় করেছেন যাতে রাষ্ট্রের চোখ ছানাবড়া ।
আমি বরাবরই যৎকিঞ্চিত আতলামি পছন্দ করি । কিন্তু তাই বলে আমি নিজে অতবড় আঁতেল হব বুঝতে পারিনি । যখন জানলাম সুইস ব্যাংকে তার মাত্র সাত বিলিয়ন ডলার আটকে আছে (বাংলাদেশী টাকায় একান্ন হাজার কোটি টাকার মতো) তখন নিজেকে প্রবাদপ্রতীম বলদ ছাড়া আর কিছু মনে হল না ।
বাড়াবাড়ি রকমের সম্পদের ক্যাওয়াজ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছবে এই সাধারন জ্ঞান আমার থাকা উচিত ছিল । তাছাড়া জগতের সকল প্রকার উদাসীনতা আমার জন্য আবশ্যকও ছিল না । তাতে ভুল বুঝাবুঝি হয় ।
……………নিঃশব্দ নাগরিক ।
১,৩০৯ বার পড়া হয়েছে
হুম সুন্দর বলেছেন
ধন্যবাদ