ঈদের কেনাকাটা ও একটি ভাবনা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 2439বার পড়া হয়েছে।
আর কয়েকদিন পর ঈদ। ঈদে কি কি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন? মোটামুটি অবস্থা সম্পন্ন একটি ফ্যামিলির ছেলে মেয়ে ঈদে সচারচর কি কি কিনে থাকে আসুন সেটা বুঝার চেষ্টা করি।
আসুন দেখি ছেলেদের ঈদের খরচটা কেমন হতে পারে?
শার্ট: ১০০০ টাকা, পাঞ্জাবী: ১৫০০ টাকা, প্যান্ট: ১২০০ টাকা, জুতা: ১৫০০ টাকা, অন্যান্য: ১০০০ টাকা, বন্ধুদের সাথে আড্ডারঃ ২০০০ টাকা, মোট: ৮২০০ টাকা
মেয়েরা কি কি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন?
সালোয়ার-কামিজ ২টা : ৪০০০ টাকা, জুতা: ১০০০ টাকা, অন্যান্য: ২০০০ টাকা, বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরিঃ ২০০০ টাকা, মোট: ৯০০০ টাকা
যদি তারা প্রতিটা থেকে ১৫০ টাকা করে যদি বাদ দেয় তাহলে সেটা কি তাদের ঈদের খরচের উপর কোন প্রভাব ফেলবে? আপনারা কি বলেন?
এভাবে ৬০০-৯০০ টাকা বাঁচিয়ে আমরা যদি একটা পথশিশুকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারি তাহলে সেই শিশুটির ঈদের আনন্দ হতে পারে আমাদের যে কারও ঈদের আনন্দের চাইতেও বেশি। তাতে আমাদের ঈদের বাজারে কোন কমতি হবে না। এ এক অপার্থিব স্বর্গীয় আনন্দ। এই আনন্দের রেশ ঈদ চলে গেলেও থেকে যাবে আমাদের অন্তরে।
আমরা কি এই বেহেশতী আনন্দ পেতে পারি না!
২,৬৬৫ বার পড়া হয়েছে
অবশ্যই পেতে পারি । আপনি সুন্দর একটা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন ।
খুব ভালো কথা বলেছেন। মনে এক অপার্থিব সুখ আনন্দ থাকবে। শুভকামনা রইল।
আপনার পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একেবারে মনের দুয়ারে কড়া নেড়েছেন…এই বোধটা থাকলে হয়তো পথশিশু নামক শব্দটা অভিধান থেকে উঠে যেতো…আমিও চাই এই শব্দটা যাদুঘরে চলে যাক….অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মানবিক পোষ্ট দেওয়ার জন্য….
সম্পাদক সাহেব, আপনার লেখাটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আমি আপনার প্রস্তাবটি গ্রহন করলাম। সাথে সাথে আপনার লেখাটি আমি ফেসবুকে শেয়ার করলাম। লেখাটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
এ দৃশ্য দেখলে চোখে জল এসে যায়। সুন্দর প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করলাম।
আমরা আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি সাদরে গ্রহণ করলাম।
আপনার এই হিসাবটা আমার খুব ভাল লাগল। আশাকরি কাজে লাগবো।
আমি ঈদের সময় প্রয়োজন ছাড়া কোন কিছু কিনি না । যা প্রয়োজন সেটাই কিনি । শুধু কাপড় কিনি এর সাথে চুড়ি গয়না স্যান্ডেল কিছুই কিনি না । কারণ এগুলোর দরকার নেই । বলতে পারি গরীবের আবার ঈদ ।
আমাদের সবার সংযম আর উদাত্ত আহবানে যদি কারও ঈদের আনন্দ আসে, তবে সে আনন্দ আমাদেরও।
অত্যন্ত সুন্দর একটি পোস্ট।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই হিসাবটা আমার খুব ভাল লাগল।
লেখাটির জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। আমরা প্রত্যেকেই এই কাজটি করতে পারি। অনাবিল আনন্দ দিতে পারি কিছু মানুষের মুখে। আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন নই। আমরা মনে করি, ‘অভাব তো অনেক। আমি একা কি করতে পারি।’ কিন্তু একজন একজন করে করলেও এদেশে দরিদ্র যাদুঘরে থাকার কথা।
সম্পাদক সাহেবের এই পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দরকারী একটি পোষ্ট ।