একটি শিক্ষামূলক কথাঃ বেহেশতীয় আনন্দ আর অনুভূতির সূচনা করতে পারি।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1800বার পড়া হয়েছে।
কাল থেকে রোজা শুরু। সাথে শুরু হবে আমাদের রকমারি ইফতারির আয়োজন। এখনি অনেকে প্ল্যান করছেন, ইফতারি আর সেহরিতে কি কি খাবেন?
সাধারন মধ্যবিত্ত একটা পরিবারে ইফতারিতে যে যে আইটেম খাওয়া হয় তা হল-
শরবত ১ গ্লাস
পিয়াজু ৪ পিস (ঘরে বানানো)
বেগুনি ২ পিস (ঘরে বানানো)
আলুর চপ ২ পিস (ঘরে বানানো)
জিলাপি ১ পিস (কেনা)
মুড়ি ৫০ গ্রাম
ছোলা ৫০ গ্রাম
শসা ১০০ গ্রাম
মৌসুমি ফল, ইত্যাদি।
আমরা যদি আমাদের এই ইফতারি থেকে পিয়াজু ২ পিস, বেগুনি ১ পিস আর আলুর চপ ১ পিস না খাই তবে কমপক্ষে ১০ টাকা সেভ হবে। এখন যদি আমাদের বাসার সদস্যের সংখ্যা শুধু ৪ জন হয় তবে প্রতিদিন ৪০ টাকা সেভ হতে পারে। আর রমজানের ৩০ দিনে ১২০০ টাকা।
আপনার এই ১২০০ টাকা দিয়ে কি হতে পারে?
একটা দরিদ্র পরিবারের কমপক্ষে এই ৩০ দিনের ইফতারি হতে পারে। কিংবা দরিদ্র একটা পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা হতে পারে। এই ১২০০ টাকা দিয়ে কোন পরিবারের একটা পাঞ্জাবি, একটা শাড়ি আর ছোট ছোট ২টা শিশুর জন্য খুব সহজেই ২টা জামা হতে পারে।
আপনি হয়ত ঈদে বাড়ি যাবেন। যখন বাড়ির উঠোনে পা রাখবেন তখন দেখবেন সেখানে গরিব প্রতিবেশীর ছোট্ট ছোট ছেলে বা মেয়ে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি দয়া করে তার দিকে একটিবার তাকিয়ে দেখবেন, অনেক কষ্টের মধ্যেও সে হয়তো আপনার আগমনে খুশি খুশি মুখে আপনার চারপাশে ঘোরাফেরা করছে, আপনাকে দেখছে।
আপনি যদি ঠিক সেই মুহূর্তে তার হাতে একটি নতুন জামা তুলে দিতে পারেন তখন কেমন একটা কাণ্ড ঘটে যাবে একটু ভাবুন তো। সে হয়তো জামাটি নিয়ে প্রাণখোলা একটি হাসি দিয়ে আনন্দে পাড়া মাতিয়ে তুলবে।
তাতে আপনি যে বেহেশতীয় আনন্দ আর অনুভূতি পাবেন তা কখনও হাজার হাজার টাকার পোশাক কিংবা ভাল ভাল রেস্টুরেন্টে ইফতারি করে পাবেন না। এটা গ্যারান্টি।
তাই আসুন না এই রমজানে আমরা প্রতিটা পরিবার এই ভাবে অন্তত একটা পরিবারের মুখে এই ভাবে হাসি ফোটাই…
সবাইকে রমজানে শুভেচ্ছা।
স্বাগত হে মাহে রমজান!!!
(আপনাদের যদি লেখাটি ভাল লাগে তবে অনুগ্রহ করে এটি আপনার ওয়ালে শেয়ার করে দিন। হয়ত এভাবেই সবাই একটু একটু করে সবার পাশে দাঁড়াবার বেহেশতীয় আনন্দ আর অনুভূতির সূচনা করতে পারি।)
১,৮২৭ বার পড়া হয়েছে
চমত্কার বলেছেন ….স্বাগত হে মাহে রমজান!!!সবাইকে রমজানে শুভেচ্ছা…
সুন্দর পরামর্শ
আমরা যদি আমাদের এই ইফতারি থেকে পিয়াজু ২ পিস, বেগুনি ১ পিস আর আলুর চপ ১ পিস না খাই তবে কমপক্ষে ১০ টাকা সেভ হবে। এখন যদি আমাদের বাসার সদস্যের সংখ্যা শুধু ৪ জন হয় তবে প্রতিদিন ৪০ টাকা সেভ হতে পারে। আর রমজানের ৩০ দিনে ১২০০ টাকা। ++++++++++++++++++++++++
বাহ চমত্কার তো। এইভাবে তো কখন ও ভাবিনি। কত অপচয় হয়ে যায়। আসলে আমাদের সবার ই সচেতন হওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে রমজান মাসে আমাদের সত্যিকার সংযম করা উচিত পানাহার ত্যাগ করার আড়ালে। কিছু বাহুল্য জিনিস বিসর্জন করে আমরা অনেক মানবিক কাজ করতে পারি অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের কল্যানে।
আপনার মানবিক পোস্ট আমার মন ছুয়ে দিয়েছে আনোয়ার ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্ট টির জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
দেরীতে হলেও লেখাটি পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।এভাবে যদি আমাদের দেশের ধনী ব্যাক্তিগণ কাজ করে তা হলে দেশের সিংহভাগ গরীব ভালমন্দ খেতে পাবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।
এমন পোষ্ট দেখলে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা।
হে আল্লাহ আমি পাপী বান্দা, আমার চোখের কোনে যদি এক
বিন্দু পানিও এসে থাকে এও বিনিময়ে ঐ গরিব মানুষদের দুঃখ
তুমি আসমানে উঠাইয়া নাও।
ঐ গরিবের দুঃখ আমি সইতে পারিনা।