একটু সাবধান থাকবেন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1420বার পড়া হয়েছে।
গরমের শুরুতে একধরনের মুখের রোগ হয়। অ্যাপথাস আলসার নামের এ রোগ সাধারণত গাল বা ঠোঁটে হয়। তবে এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। গুরুতর মনে হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অ্যাপথাস আলসার হওয়ার কারণ—
. অসাবধানতাবশত মুখের ভেতরে (বিশেষত গালের নরম অংশে) কামড় লাগলে।
. খাবার খেতে গিয়ে ধারালো কোনো খাবারের কণার ধাক্কা লেগে।
. শরীরে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘বি’-এর অভাব হলে। মুখের ভেতরের চামড়া দুর্বল হয়ে ধাক্কা বা জোরে আঘাত লেগে কেটে যেতে পারে।
. ধূমপায়ী ও মাদকদ্রব্য খায়, এমন ব্যক্তিদের পুরো শরীরের অঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়। গালের ভেতরের নরম অংশগুলো প্রায়ই উঠে যায়।
. অসাবধানতাবশত খুব গরম খাবার খেয়েও গালের চামড়া উঠে ঘা হতে পারে।
. দীর্ঘদিন জ্বর হওয়ার পরে অনেকেরই ঠোঁটের কোণে ঘা, গালে বা মুখের নরম তালুতে অ্যাপথাস আলসার হয়।
. অতিরিক্ত ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতা হয়। পানিশূন্যতার কারণেও অনেকের অ্যাপথাস আলসার হতে পারে।
. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বিষণ্নতায় এই ঘা হয়।
অ্যাপথাস আলসারের লক্ষণগুলো
. গালের ভেতরে বা নরম তালুতে ছোট্ট গোল অংশে চামড়া উঠে যায়। এই ছোট্ট গোল অংশটিতে প্রচণ্ড ব্যথা ও জ্বালাপোড়া থাকে। চুলকানির সঙ্গে ব্যথা হতে পারে।
. ছোট্ট গোলাকার অংশে পুঁজ জমে অনেক ব্যথা হয়।
. পুঁজ বেশি জমে গেলে দুই সপ্তাহের মতো স্থায়ী হতে পারে।
কীভাবে প্রতিকার করবেন
. যেকোনো মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখের আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে কুলি করতে হবে। মাউথ ওয়াশ না থাকলে খাবার লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে দিনে তিন-চারবার। অনেক সময় গলা বা টনসিলের ইনফেকশন থেকেও অ্যাপথাস আলসার হয়। তাই ভালোভাবে গড়গড়া করলে মুখসহ গলার রোগজীবাণুও মারা যাবে।
. যেকোনো রকমের নেশাজাতীয় দ্রব্য (চুন, সুপারি, জর্দা, তামাকপাতা, বিড়ি, হুঁকা, সিগারেট, মাদকদ্রব্য) বাদ দিতে হবে।
. একই ব্রাশ এক বছরের বেশি ব্যবহার করবেন না। কিছুদিন পরপর ব্রাশ হালকা লবণ মেশানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, এতে রোগজীবাণু মরবে।
. বাঁকা দাঁতবিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমস্যা হয় বেশি। তাই বাঁকা দাঁতের ব্যক্তিরা সাবধানতার সঙ্গে খাবার চিবিয়ে খান।
. যেকোনো মৌসুমের ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: সবুজ, হলুদ রঙের টাটকা শাকসবজি, টক ফল, তবে তেঁতুল নয়। তেঁতুলে মুখের চামড়া আরও বেশি উঠে যাবে। লালচে গমের আটা, লালচে মোটা চাল—এগুলোতে ভিটামিন ‘বি’ থাকে) খেতে হবে।
. করলার তরকারি, তেতো মেথির শাক, মেথির গুঁড়া, চিরতার রস খেলে এর জীবাণু দ্রুত মরে।
. ঘায়ে বেশি ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ভরা পেটে অর্ধেক বা একটি খেতে পারেন।
. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও যেকোনো স্থানে ঘা হয়। তাই নিয়মিত ডায়াবেটিস মাপুন।
. কিডনির জটিলতায় ভুগছেন, এমন ব্যক্তিরা অ্যাপথাস আলসার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথা কমানোর ওষুধ খাবেন না।
১,৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
খুব উপকারী তথ্য।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।
অনেক উপকারী তথ্য ভাই
আপনাকে সহস্র ধন্যবাদ
সুন্দর পোষ্ট
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাইস
অনেক ধন্যবাদ সময়োপযোগী উপকারী তথ্য পোস্ট করার জন্য ।
আশা করি অনেকেই পোস্টটি পড়ে সচেতন হবেন ।
ভাল কথা
ভাল পোষ্ট