হঠাৎ একদিন (গোয়েন্দা কাহিনী)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1518বার পড়া হয়েছে।
(পর্ব-পাঁচ)
যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
আমি বাইবনা
বাইবনা মোর খেয়াতরী এই ঘাটে
চুকিয়ে দিব লেনা দেনা
বন্ধ হবে আনা গোনা
এই প্রাতে
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে।
তারার পানে চেয়ে চেয়ে
নাইবা তুমি আসলে।
পাশের বাড়ী থেকে ভেসে আসা গানের শব্দে আলিম মাথা নাড়াচ্ছে তার সাথে দোলাচ্ছে পা।আনোয়ারকে দেখে মনে হচ্ছে সে এই জগতে নাই। কম্পাস হাতে নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন।
কি বন্ধু খাওয়া দাওয়া হবে?আলিম কৌতুকে বন্ধুকে লক্ষ্য করতে থাকে।বন্ধু এখনও আরেক জগতে অবস্থান করছে। কিচেনে এসে আলিম ডিম পোচ করল ব্রেড গরম করে কলা সহ নিয়ে আসল ভিতরের রুমে।বন্ধুর সামনে একটা প্লেট এনে রাখল।
খাও খাও বন্ধু বন্ধুর কাধ ধরে নেড়ে দিল।আনোয়ার এখনও চিন্তার অতলে অবস্থান করছে দেখে আর না ঘাটিয়ে নিজে খেতে শুরু করল।
আচ্ছা বলতো লোকটার উদ্দেশ্য ছিল কি?
সতর্ক করা শুধু?
আহত করা নিশ্চয়ই নয়। ছুরিটা যেভাবে চক্রাকারে ঘুরে আমাদের সামনে পড়েছে তাতে বলাবাহুল্য ছুরি চাকু চালনায় অভ্যস্ত।সে চাইলে আমাদের আমাদের আহত করতে পারত। তার উদ্দেশ্য অবশ্য তা ছিলনা।
নীরবতা ভেঙ্গে হঠাৎ উঠে দাড়িয়ে গড়গড় করে একসঙ্গে সবকথা বলে উঠল আনোয়ার। হঠাৎ কথায় মনোযোগ দিতে গিয়ে বিষম খেয়ে নাভিশ্বাস উঠল আলিমের।বন্ধুর মাথায় হালকা চাপড় দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনানোর চেষ্টা করল আনোয়ার।
ছোট পেন্সিল কাটা ছুরি দেখে যদি নিশ্বাস বন্ধ হয় বন্ধু যখন ড্যাগার নিয়ে তাড়া করবে কি করবে বন্ধু? কৌতুক করে বলে আনোয়ার।
হাত মাথার উপর তুলে মাপ চাওয়ার ভঙ্গিতে বলল আলিম যদি ও এখন কেশে যাচ্ছে আমারে মাপ কর বন্ধু ।
আমি এসবে নাই।সিনেমার গোয়েন্দার সহকারী সাজতে আমি রাজী বন্ধু।আমি শিওর ডিরেকটর আমার জান বাচাবে ভয়ন্কর খুনী ছুরির তলা থেকে কাকতালীয়ভাবে।কিন্তু তোমার এই বাস্তব সিনেমায় আল্লাহ ডিরেকটর গুন্ডা র ছুরির তলা
থেকে বাচাবে সেই সম্ভাবনা তো দেখিনা ।যেভাবে কানের পাশে দিয়ে ছুরি গেল আমি নিশ্চিত বন্ধু পরবর্তী সময়ে ঐ ছুরি আমার অজান্তে কান নিয়ে উধাও হবে।তখন আমি কি করব চিলের পেছনে ছুটতে থাকব।আলিমও হাসতে হাসতে কৌতুক ভরে জবাব দেয়।এতক্ষনে সে একটু স্বাভাবিক হয়েছে।
তাড়াতাড়ি নাস্তা শেষ কর বন্ধু।আসাদকে দেখতে যাব হাসপাতালে।আনোয়ার এক গ্রাসে দুইপিস পাউরুটি মুখে পূরে উঠে দাড়াল।
হতাশায় মাথা নাড়তে থাকে আলিম।বাবা মার দেওয়া জানটা বেঘোরে যাবে দেখছি।বন্ধু আমি এখন ও বিয়ে করিনি।খুব শখ সংসার আন্ডা বাচ্চা পালনের।আমার সেই শখ বুঝি পূরন হলনা কৃত্রিম দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়ে আলিম।
যথাসময়ে তোমাকে বিয়ে দেওয়া হবে বন্ধু।এখন তুমি আমার আজ্ঞা পালন কর তো ।
সাব্যস্ত হল আলিম যাবে হসপিটালে আসাদকে দেখতে আর আনোয়ার যাবে আহসান মন্জিলে পুনরায়।দুপুর একটায় পরস্পরের সাথে দেখা করবে তাদের পরিচিত পুরান ঢাকার মোগলাই পরোটার দোকানে।
আনোয়ার অনেকক্ষন আহসান মন্জিলের বাহিরে গেটের কাছে দাড়িয়েছে।সে ইচ্ছে করে ভিতরে না ঢুকে দাড়িয়াছে।ভাবখানা এমন যেন কার ও জন্য অপেক্ষা করছে।অপেক্ষা সে ঠিকই করছে তবে কোন বন্ধুর না।তার পিছনে অজ্ঞাত অনুসরনকারীর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয় তা দেখার জন্য।
ঠিক তখনই তাকে চমকে দিয়ে একটা পাথর এসে মাথার উপর দিয়ে ওই পাশে গিয়ে পড়ল।বুঝতে পারল কেও একজন তার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মেরেছে।কে সে এদিক ওদিক তাকাতে দেখল হেলমেটের আড়ালে কেও একজন হোন্ডায় উঠে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল।
পাথরের টুকরায় বাধা কাগজে একই মেসেজ লেখা সকালর মত।
এফডিসিতে চলে যাও
মান্নার শূন্যস্থান দখল কর
আমাদের কোন কর্মখালি নাই।
বেশী ঝামেলা করলে কি করব জান?(জিহ্বা বের করা কার্টুন এর ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে)
আলিম ও এসে পৌছল ঠিক সেই সময়টাতে।
(পরবর্তীতে)
১,৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
কাহিনী ভাল লাগছে । লিখতে থাকুন অবিরত । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
রহমান ভাই এতদিন পরে কোথা হতে?
এফডিসিতে চলে যাও
মান্নার শূন্যস্থান দখল কর
আমাদের কোন কর্মখালি নাই।—– দুর্দান্ত ডায়ালগ আপু !! শুভেচ্ছা নিবেন ।
ধন্যবাদ জসীম ভাই মন্তব্যের জন্য।শুভকামনা রইল।
আসুন, আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রিয় চলন্তিকাকে আবার প্রাণবন্ত করে তুলি —- ।।
আসুন, আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রিয় চলন্তিকাকে আবার প্রাণবন্ত করে তুলি
কিভাবে?আমি যখন চলন্তিকা লগইন হই কেও নাই। আমি একা। ধন্যবাদ জসীম ভাই।তোমার এই উদ্যোগ যেন সবার মন স্পর্শ করে।সবাই যেন চলন্তিকায় ফিরে আসে এই কামনা করি।
লেখা ভাল লেগেছে–কবিতার প্রথম লাইন অপূর্ণ আছে–। বা=বাটে হবে–তাই তো?ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ তাপসদা মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল।
ভালোই লিখেছেন ,
ভাল লেগেছে। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী লেখার জন্য।
আগের পর্ব পড়ি নাই মনে হয়।
দেখি পড়ে।