Today 31 May 2023
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ কমরেড সুভাষ দে

লিখেছেন: কালাম আজাদ | তারিখ: ১৫/০৯/২০১৩

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 893বার পড়া হয়েছে।

শহীদ কমরেড সুভাষ দে

শহীদ কমরেড সুভাষ দে

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের অন্যতম সুভাষ দাশ। গরীব পরিবারের মেধাবী সন্তান তিনি। তার বাবা বরজ থেকে পান এনে বাজারে বিক্রি করতেন। বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পুর্ব দক্ষিণ কোণায় ছিল সুভাষের বাসা। কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এসসি পাশের পর পড়তেন কক্সবাজার সরকারি কলেজে। রাজনীতিতে সমাজতন্ত্র পন্থী ছাত্র ইউনিয়ন(মতিয়া)। তৎকালিন মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন। দ্রোহের জ্বালা তাঁর রক্তে। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক প্রস্তুতি পর্বে কক্সবাজারের জনগণকে সচেতন করে তুলতে যে সব তরুন এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন কমরেড সুভাষ দে। তিনিই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণার কথা মাইকে করে সারা কক্সবাজার শহরে প্রচার করে। পাশাপাশি রামুতে সফরকালীন সময়ে পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে স্বাধীন বাঙলার পতাকা তুলেন এবং তাতে সহায়তা করেন আবদুল মান্নান এবং ওই সময়ে বামপন্থী নেতা প্রফেসর মোশতাক আহমদ।
তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তারই সহপাঠী নুরুল আজিজ চৌধুরী তার ‘শহীদ সুভাষ আমার সহপাঠি’ নামক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন- সুভাষের মতো নি:স্বার্থ, নিবেদিত রাজনৈতিক সংগঠনে নেই। সে নিজেকে নেতা না বলে কর্মী বলে পরিচয় দিতো॥ নিজ হাতে পোস্টার লিখে সারা শহরের দেওয়ালে নিজে লাগাতো। তারপর রাত্রে সামান্য মুড়ি গুড় খেয়ে বন্ধু সহকর্মীদের বাড়ির বৈঠকখানার টেবিলে পত্রিকা বিছিয়ে গুমিয়ে পড়তো। ২৬ মার্চ রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাকিস্তানি পতাকা নামানো হয়। মহকুমা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সুভাষ দে জেবলিনের আগায় পতাকাটি বাধে এবং আবদুল মান্নান তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৩৪ পরে একদিন পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে হানাদার বাহিনী তাকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। একদিন এক বিপন্ন হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারকে নিরাপদে সরাতে গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী আবু বকর চেয়ারম্যানের পুত্র মাহমুদুল হক ওসমানী তাঁকে হানাদার বাহিনীকে দিয়ে দেয়। ৬ মে পাকিস্তানী সৈন্যরা কক্সবাজারে এসে পৌঁছলে স্বাধীনতার শত্রুরা বন্দী অন্যান্য স্বাধীনতাকামী তরুনদের সঙ্গে শহীদ সুভাষকেও নুনিয়াছড়া বাঁকখালী নদীর তীরে গুলি করে। গুলিতে মৃত্যু না হওয়ায় পরে জীপের পেছনে টানতে টানতে পাকবাহিনী তাকে হত্যা করে। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য পাবলিক লাইব্রেরী হল মিলনায়তনটি ‘সুভাষ হল’ নামে নাম করণ হয়।

৯৬৫ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৭ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৭-২৮ ২৩:২২:৪০ মিনিটে
banner

২ টি মন্তব্য

  1. এম, এ, কাশেম মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লেগেছে
    ধন্যবাদ।

  2. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    জেনে খুশী হলাম।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top