এলোমেলো ভাবনা ও সময় থাকতে কেটে পড়া ।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1283বার পড়া হয়েছে।
নিদারুন দৈন্যতার কাছে আমার নিয়ত অক্ষমতা আমাকে নিয়মিতই অনুপস্হিত রাখে । তাই সময়ের কাছে যাওয়া হয় না । কথা হয় না । অবশ্য ব্যক্তি বিলাসিতা প্রকারন্তরে উদাসীনতাও আমাকে বহুলাংশে পেয়ে বসেছে । নিম্মস্তরের অধস্তন মানুষ আমি । বিলাস নেই, কিন্তু ভূত বিলাস আছে । ফলাফল, অন্তসারশূন্য নিস্ফল সময় বিনিময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখা । আমার যে কবে জ্ঞান হবে ?
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । তরতর করে গজিয়ে উঠছে মানুষের জ্ঞানবিদ্যা । ভাবলে ভালই লাগে । আগে শুনতাম প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় । এখন সময় পাল্টেছে । পাল্টেছে ধরনও । তাই প্রশ্ন ফাঁস হয় না । উওর ফাঁস হয় । ভাবছেন আমি মস্করা করছি । মোটেও না । এখন নানান পরীক্ষায় নানান কলকব্জায় প্রশ্ন যায় গুটিকয়েকের হাতে । আর উওর যায় পরীক্ষার্থীর মোবাইলে । পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসিল তাহা ভাবার সময় কই । তারচেয়ে মোবাইলে নজর দেওয়া উওম । ১)ক ২)খ ৩)গ……. ব্যস দশ মিনিটেই পরীক্ষা শেষ । যে বলদ ব্যাটা কয়েকখানি পুস্তক ঘাঁটিয়া একখানা প্রশ্নপত্র তৈরী করেছেন তাহার দায়ভার এখনকার নিরপরাধ পরীক্ষার্থীরা নিবে এমন বোকা ভাবা নেহায়েত বদ চিন্তা ।
জীবন সৃষ্টিকর্তার দান, এ প্লাস শিক্ষামন্ত্রীর কৃপা । প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে চাকুরী গোত্ত্বা খেয়ে ভূমিতে ঠেকিলেও শিক্ষামন্ত্রীর ঘরে ঘরে এ প্লাস সগৌরবে এগিয়ে চলছে । মাঝেমধ্যে বেরসিক কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার নামে যাচ্ছেতাই আকাম কুকাম করলেও ন্যায়নিষ্ঠ (!) শিক্ষামন্ত্রীর সততার কোন ঘাটতি পড়ে না ।
এলোমেলো বাস্তবতায় আমার এলোমেলো কলম শ্রম কিছুতেই আমার দায় মেটাতে পারে না । বরং আরো ঋনী করে । তাই ঋন মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার আগেই উঠিয়া পড়া কিঞ্চিত জ্ঞান চিন্তার মধ্যে পড়ে ।
*** পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়া নিষিদ্ধ । তারপরও মোবাইল যায় । এই বস্তুকে কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না । কিন্তু পরীক্ষার হলের মোবাইল নেটওর্য়াক বন্ধ অতীব সহজ । কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেন তা করছে না , আল্লাহ মাবুদ ।
……….নিঃশব্দ নাগরিক ।
১,২৬২ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনা আর সর্বত্র দুর্নীতির ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবনের আশা ভরসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ।
হুম কোন দেশে যে আমরা বসবাস করছি আল্লাহই জানেন
সৃষ্টিকর্তার সহ্য ক্ষমতা আছেও বটে ।
ভালো লাগলো পড়ে ‘
থাকলো শুভ কামনা
শুভ সন্ধ্যা