» কিছু সুখ মুহুর্ত………
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1499বার পড়া হয়েছে।
২০১৪ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল সময় গেছে আমার । প্রাপ্তির ঝুলিতে ছিল অনেক কিছুই। হারিয়েছি খুব কমই। কিছু কিছু মুহুর্ত ছিল মনে রাখার মতো । নক্ষত্র ব্লগ হতে পুরষ্কার পেয়েছিলাম দু বার । শব্দনীড় ব্লগ থেকে পুরষ্কার পেয়েছি একবার । এই মুহুর্তগুলো আসলেই স্মরণীয় হয়েই থাকবে আমার জীবনে।
অনেক কিছু লিখবো বলে ভাবছিলাম কিন্তু সময় এমনভাবে চলে গেলো আজকের দিনটি। ধরতেই পারলাম না আর এখন লেখতে বসে সব ভুলে গেছি। যখন সব সুখ স্মৃতি মনে পড়বে তখন না হয় আরেকটা টপিক শেয়ার করবো সবার সাথে।
আমার বড় ছেলে এবার সমাপণী পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে আল্লাহর রহমতে। এই বছরটা আমার বাচ্চাটা অনেক কষ্ট করেছে মনে হলে কষ্ট লাগে। সকালে উঠেই তাকে দিয়ে আসা হতো কোচিং এ । কোচিং থেকে এসেই স্কুলে যেতো । স্কুল ছুটির পর আবার টিচার আসতো বাসায় । আর রাতের বেলা আমরা তাকে সাথে নিয়ে বসতাম পড়াতে। ওরে বাপস তার নিজের জন্য সময়ই ছিল না। যাই হোক কষ্ট সফল হয়েছে বলে খুব ভাল লাগছে। সবাই ই খুশি।
কিন্তু খুশির মাঝে আবার মনটা খারাপ হয়ে যায় যখন মনে হয় এবারো পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এত কষ্ট করে পড়িয়ে শেষে দেখা গেল প্রশ্ন ফাঁস। আশাকরি আগামী বছরগুলো প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা আর ঘটবে না এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যেন কঠোর ব্যবস্থা নেন সে আশাই করছি।
তা-সীনের রেজাল্ট
আমার ছোট ছেলে তা-মীম ২০১৪ তে শিশু শ্রেনীতে ভর্তি করাই । আল্লাহর রহমতে সে পড়ায় খুবই মনোযোগী ছিল। যে কারণে বিদ্যালয়ের চারটি পরীক্ষাতেই ফার্ষ্ট হয়েছে এবং সবগুলো পরীক্ষার পর সে পুরষ্কার পেয়েছে ।
পুরষ্কার ছিল প্রাইজবন্ড আর সার্টিফিকেট।
এমন পুরষ্কার পেয়ে তার অনুভূতি ছিল এমন, মা-এসব কি পুরষ্কার দিলো এগুলো কি ছোটদের পুরষ্কার। পুরষ্কার দিবে গেইম, বল, বই এসব…… মা- আমি বড়দের পুরষ্কার নিবো না । তোমাকে দিয়ে দিলাম।
পুরষ্কার নিচ্ছে তা-মীম/ মোট তিনবার পেল । ফাইনালের টা এখনো পায়নি।
আজকে তা-মীম ক্লাস ওয়ানের নতুন বই পেল। এমপি জনাব সানজিদা খানম, এ্যাডভোকেটের হাত হতে আজ সে বই নিয়েছে। শুধু যারা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় হয়েছে তারাই উনার হাত হতে বই নিতে পেরেছে ।
উনার ব্ক্তব্যে উঠে এসেছে মেয়েদের সর্বক্ষেত্রে সাফল্যতার । ওদের স্কুলে এবার ক্লাস ফাইবে ১০৫ জন মেয়ে এ প্লাস আর ৬২ জন ছেলে এ প্লাস আর এইটে ৪২ জন মেয়ে এ আর ছেলে মাত্র ১২ জন । মেয়েদের গুণকীর্তন অনেক্ষণ হলো । আর ছেলেদেরকে হুশিয়ার করে দেয়া হলো । ভালভাবে পড়াশুনা করার জন্য ।
ছেলেরা পড়তে বসলেই উচিলা খুঁজে কোনভাবে পড়া থেকে উঠে পড়ার জন্য । মোবাইলে গেইম খেলে, ক্রিকেটের ব্যাট, ফুটবল হাতে নিয়ে ঘরের বাহির হয়ে যায় পড়ার সময়ে । আর পড়তে বসলে নানাবিধ অসুস্থতার ভান ধরে পড়া কামাই করা তাদের একটা বদভ্যাস । শিক্ষার সর্ব ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েরা এসব কথা শুনে চিতকার দিয়ে হল রুম মাথায় তুইলা ফালায় তখন। তাদের খুশি আর দেখে কে? পক্ষান্তরে ছেলেরা বসে থাকে চুপচাপ।
সব কথাগুলো আমার জেরী মনোযোগ সহকারে শুনছিল। সব স্যারেরা আর সানজিদা আপা মেয়েদের অনেক সুনাম করাতে জেরী চেতে গেছে । বই নিয়া যখন বাসায় ফিরি তখন সে বলে বলে মা, সবই তো ভাল লাগছিল কিন্তু একটা জিনিস ভাল লাগে নাই । আমি বই নেব না ।
কারণ সবাই শুধু মেয়েদের সুনাম করল ্আর দেখো আমি প্রথম হয়েছি তার কোন কথাই বলল না । আমি এত কষ্ট কইরা ফার্স্ট হইছি…….. মা এক কাজ করো বই ফেরত দিয়ে আসো । আর পড়বই না । হাহাহা …….. হাসতে হাসতে আমি শেষ ।
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।
১,৪৮২ বার পড়া হয়েছে
পরিবার পরিজন নিয়ে আপনার প্রতিটি মুহূর্ত কাটুক পরমানন্দে , এই প্রত্যাশায় _
আপনার শ্রদ্ধাবনত
ছোটভাই
সহিদুল
সিঙ্গাপুর
ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনি খুব কম আসছেন চলন্তিকায়
দারুন
ধন্যবাদ আপনাকে