ঢাকা এবার হাতের মুঠোয়!
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1676বার পড়া হয়েছে।
পৃথিবীতে যত শহর আছে, তার কোনোটাই একদিনে গড়ে উঠেনি। নানা বৈশিষ্ট্য আর স্বকীয়তায় প্রতিটি শহরের সুনাম রয়েছে। দীর্ঘ দিনের আবর্তে গড়ে উঠেছে এসব শহর।ঢাকা শহরেরও রয়েছে তেমনি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। নিজস্ব স্বকীয়তায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে এই ঢাকা। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে জন্ম নিয়েছিল এই শহরটি। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে জন্ম নেওয়া ঢাকা আজ ৪০০ বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কত শত স্মৃতি, স্বপ্ন, সফলতা, স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী নিয়ে পরিপূর্ণ আজকের ঢাকা। ঢাকার যে বর্ণিল ইতিহাস তা আমরা ভুলতেই বসেছি নিত্যদিনের টানাপোড়েন, যানজট, মনুষ্যজট আর আধুনিক জীবনের হাতছানিতে!
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই ঢাকায় কত নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যার অনেক কিছুই আমরা জানি না । এক্ষেত্রে মনে পড়ে যায় কবি গুরুর দু’টি চরণ-
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের ওপর একটি শিশির বিন্দু।
ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে শুরু করে আধুনিক স্থাপনা সকল কিছুতেই রয়েছে ঢাকার নিজস্বতা।
১৬৭৮-৮৪ তে নির্মিত লালবাগ কল্লো,১৭ শতকের হোসনীদালান, ১২শ শতকের ঢাকেশ্বরী মন্দির, ১৬৮০তে নির্মিত সাত গম্বুজ মসজিদ, ১৬ শতকের ছোট কাটরা, বড় কাটরা থেকে শুরু করে বর্তমানের চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমন্ডি লেক , হাতির ঝিল পরিপূর্ণ করেছে আমাদের এই ঢাকাকে।
শুধু কি ঐতিহাসিক নিদর্শন! ঢাকা ঐতিহ্যবাহী খাবারও বিখ্যাত। হাজীর বিরিয়ানি, নান্নার বিরিয়ানি, বিউটি লাচ্ছি, স্টার কাবাবের লেগ রোস্ট, ফালুদা, আল রাজ্জাকের গুর্দা কাবাব, বুদ্ধুর পুরী, পুরান ঢাকার বাকরখানি, লাবাং-সহ আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে যেগুলো শুধু এই এলাকাতেই বিখ্যাত নয় যার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ভোজন রসিক ব্যক্তি মানেই এসব খাবারের খবর পেলে উল্লসিত হয়ে উঠবেন জানি।
এরকম ঢাকার আরও কিছু বিষয় নিয়ে সেজেছে www.ourdhakacity.com
যেখানে খোঁজ মিলবে এমন অনেক ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনের খবর যা পৃথিবীর বুক হতে বিলুপ্তির পথে! এমন কিছু রয়েছে যা মানুষের মন হতেও হারিয়ে যাওয়ার পথে! পরিচিতির অভাবে এসব নিদর্শন আমাদের আধুনিক জীবনের কাছে অজানাই রয়ে গেছে ।
তাই ঢাকাসিটিডটকম উদ্যোগ নিয়েছে এমন অনেক নিদর্শনের সাথে পরিচিত করার। এই সাইটটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন ছবি। এখান থেকে জানা যাবে কোথায়, কিভাবে যেতে হবে, কি পাওয়া যাবে? যার কারণে সহজেই আপনার মন যেখানে যেতে চাইবে আপনি ইচ্ছে করলেই সেখানে যেতে পারবেন!
আধুনিক ঢাকাই আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক জীবনের প্রধান কেন্দ্র। আমাদের এই ঢাকাকে চাইলেই আমরা পর্যটন নগরী হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারি। শুধু রিকশা বা যানজটের নগরী নয়, ঢাকা তো মসজিদেরও নগরী। আর এই সকল মসজিদের মধ্যে অনেক মসজিদের রয়েছে প্রত্নতাত্তিক গুরুত্ব। মসজিদ ছাড়াও অনেক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার নির্মাণশৈলী যে কোন পর্যটককে সহজেই আকৃষ্ট করবে। শুধু প্রয়োজন একটু আলাদাভাবে তুলে ধরার। আমাদের নিজেদের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও এখানে রয়েছে হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাও। এসব প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরাই পাশাপাশি সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন করছে সারাদেশ জুড়ে। ব্যতিক্রম নয় ঢাকা মহানগরও। এখানে মসজিদ এর পাশাপাশি রয়েছে গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা ইত্যাদি।
এক কথায় ঢাকার নিদর্শনসহ বিভিন্ন খোঁজ-খবর পাবেন এই সাইটে।
১,৭৫১ বার পড়া হয়েছে
ঘুরে এলাম সাইটটি থেকে, জিলাপির ছবিগুলো দেখে লোভ লাগল
ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
এই উপকারী পোস্ট টির জন্য।
ঢাকার ইতিহাস ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার লিখা পড়ে সব মনে পড়ে গেল।
আপনার এই ধরনের লিখা গুলি অনেক চমত্কার হয়।
এইভাবে লিখবেন মাঝে মাঝে বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা নিয়ে। আমার ইতিহাস আর ঐতিহাসিক জায়গা অনেক পছন্দ। বিশেষ করে আহসান মঞ্জিল , সোনার গা ,লালবাগ কিল্লা
যদি পারেন পরবর্তিতে এসব নিয়ে লিখবেন ,ছবি দিবেন ।
আপনা জন্য অনেক শুভকামনা
সাইটটি দেখলাম। বুঝলাম।
একটা ছোট খটকা থেকে গেলো। রাজধানী হিসাবে ঢাকার বয়স ৪০০ বছর। শহর হিসাবে কিন্তু ঢাকার বয়স বেশী। কারো কারো মতে শহর ঢাকার বয়স ৮০০ বছর।
http://www.somewhereinblog.net/blog/miltoncis/29393833
কামাল ভাইয়ের সাথে একমত ।
http://www.ourdhakacity.com/
সাইটটিতে ঢোকার চেষ্টা করলাম, পারলাম না, কিছু বুঝলাম না।