তেইশ নম্বর তৈলচিত্রের আলাউদ্দিন আল আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 2095বার পড়া হয়েছে।
বিপ্লবী কবি, মানবতাবাদী ও সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সংগ্রামী ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী ৩ জুলাই উপলক্ষে চলন্তিকা শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ সালের ৬ মে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে নারায়নপুর শরাফত উল্লাহ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ, ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম এবং ১৯৫৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএ পাশ করেন। তিনি ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের রক্তাক্ত ঘটনায় পর পরই তারই উদ্যোগে প্রকাশিত হয় বুলেটিন। তাঁর প্রথম উপন্যাস তেইশ নম্বর তৈলচিত্র ১৯৬০ সালে ছাপা হয়। ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন বিশ্ববিদ্যালয় তেকে তুলনামূলক সাহিত্যে সম্মানসূচক প্রশংসাপত্র লাভ করেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গর্বিত সৈন্য তিনি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা নিয়ে রচিত ‘ফেরারি ডায়েরি’ সমকালীন ইতিহাসের এক অমূল্য ও অবিস্মরণীয় দলিল হিসেবে বিবেচিত। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের শিক্ষা, গবেষণা ও সাহিত্যে জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও অন্য প্রতিভা। তিনি ১৯৮২ সালে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তার রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪৯টি। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, গবেষণা ও সম্পাদনাসহ সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় তার সার্বিক পদচারণা। বাংলাদেশের সাহিত্য ক্ষেত্রে গৌরবময় অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী, ইউনেস্কা, একুশে পদকসহ আরও দেশ-বিদেশের ১৯টি বিরল সম্মাননা পদক লাভ করেন। ২০০৯ সালের ৩ জুলাই তিনি মারা যান।
গ্রন্থ তালিকা
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০)
শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২)
কর্ণফুলী (১৯৬২)
ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪)
খসড়া কাগজ (১৯৮৬)
শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬)
জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬)
যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬)
স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০)
অপর যোদ্ধারা (১৯৯২)
পুরানা পল্টন (১৯৯২)
অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২)
প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫)
ক্যাম্পাস (১৯৯৪)
অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১)
স্বপ্নশীলা (১৯৯২)
কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬)
বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)
গল্প
জেগে আছি
ধানকন্যা
মৃগনাভি
অন্ধকার সিঁড়ি
উজান তরঙ্গে
যখন সৈকত
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
কবিতা
মানচিত্র
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
সূর্য জ্বালার স্বপন
লেলিহান পান্ডুলিপি
নাটক
এহুদের মেয়ে
মরোক্কোর জাদুকর
ধন্যবাদ
মায়াবী প্রহর
সংবাদ শেষাংশ
রচনাবলী
শিল্পের সাধনা
স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই
ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)
গ্রন্থসূত্র
বাঙলা একাডেমী লেখক অভিধান, ২০০৭, ঢাকা।
পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৬৪
ইউনেস্কো পুরস্কার ১৯৬৫
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৭
আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৩
আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪
লেখিকা সংঘ পুরস্কার ১৯৮৫
রংধনু পুরস্কার ১৯৮৫
অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৬
একুশে পদক ১৯৮৬
শেরে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৭
নাট্যসভা ব্যাক্তিত্য পুরস্কার ১৯৮৯
কথক একাডেমী পুরস্কার ১৯৮৯
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ১৯৯৪
তথ্যসূত্র
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
উইকিপিডিয়া
২,২৪৭ বার পড়া হয়েছে
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পর্কে ভাল ধারণা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করার কোন অপশন আছে কি?
শ্রদ্ধা রইলো ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পর্কে তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে ভাল লাগল। কারণ তিনি আমাদের নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করেছেন।
আমির ভাইয়ের বাড়ি নরসিংদী জানতে পারলাম ।
আমি আগে এ বিপ্লবী কবির সমন্ধে জানতাম না । পোষ্টটি পড়ে জানলাম ।