তোমার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1385বার পড়া হয়েছে।
জানালার ধারে ঘাসফড়িংটা শুয়ে রোদ্দুর পোহাচ্ছে ,
সিকি দূরের আমের মূকুলে হলুদ ছায়া ,
ঝকঝকে ধুয়ে শুকুতে দেয়া আকাশে মেঘ নাই ,
গত রাতে ঘুমুতে পারিনি ,
চোখের নিচে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির তোমাকে নিয়ে কি ঘুমানো যায়?
আজকাল চশমা পরিনে,আজ পরব ,
ঘিয়ে পাঞ্জাবিটা চুরি গেছে ;
চুরি গেছে হাতের কাছটাও ,
যেখানে তুমি তোমার নাম সুতোয়
শিলিয়েছিলে সেখানটাও।
জগলুল ফুলের দোকানদার,
ওকে বলে দিয়েছি সন্ধ্যামালতির কথা
জানি, সন্ধ্যামালতি দেখে তুমি হাসবে
হয়তো ভ্রুর মাঝের তিলটাকে খেলিয়ে বলবে
”ভূলোদাস ঠাকুরের তাহলে মনে আছে’
আমি কিছু বলবনা,
শুধু চেয়ে চেয়ে তোমার হাসি দেখব
তোমার দেয়া ঘড়িটা পরিনি বলে
রাগ করবে জানি ,
হয়তো মুখ ঘুরিয়ে বসে সময় জানতে চাইবে,
জানি, জানতে চাইবে আর কি আনলাম ,
এখন মাইনে পাইনি ,
তবুও,সাথে করে নিয়ে যাওয়া নুপুরখানি
তোমায় পরিয়ে দেব ।
জানি, ব্যকুল কণ্ঠে বলবে,
দেরী করলা কেন ?
এ কথা শুনতে যে দেরী করি, সে কথা তুমি বুঝবে না,
হয়তো টোল পড়া হাসিটাকে ছুটি দেবে ,
রাগকমানীয়া গান শোনার আশায় ,
এরই মধ্যে রোদ পড়ে যাবে সন্ধ্যা হয়ে আসবে ,
জানি,কথা আদায় না করে তুমি ,
ছাড়বে না ,
তাই সন্ধ্যামালতি ,
তোমার বুকের উপর রেখে পথ ধরব ফিরে আসার ইচছে নিয়ে তোমার ৩য় মৃত্যবাষিকীত।
১,৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
ফাটাফাটি এক্কেবাৱে ফাটিয়ে দিয়েছেন
ঘাস ফড়িং জানালাৱ পাশে বসে আকাশ দেখছে
বাহ বাহ লেখার সৃজনশীওলতা দারুন ।
ভালোদাশ ঠাকুৱেৱ তাহলে মনে আছে
কষ্টের কথা যে কেন লিখেন । মন খারাপ হয়ে যায়। ভাল হয়েছে।
অসম্ভব ভাল লিখেছেন কিন্তু খুবই কষ্টের কথাগুলো
মন ছুঁয়ে গেল। ভাল থাকুন সর্বদা
অসাধারণ লিখনী
পড়ে ভালো লাগলো কবি