Today 31 May 2023
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা

লিখেছেন: হাসান ইমতি | তারিখ: ০৮/০৫/২০১৫

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1458বার পড়া হয়েছে।

Robindronath-273x300

বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যে এক দুরলঙ্ঘনীয় বাধা বা উচ্চতার নাম “রবীন্দ্রনাথ” । জীবন ও সাহিত্যের সামগ্রিকতাকে তিনি সুনিপুনভাবে তার লেখার শরীরে ধারণ করছেন । এমন কোন মানবীয় অনুভূতি নেই যা তার লেখায় উঠে আসেনি । এই বহুমাত্রিকতার পাশাপাশি জীবনবোধের গভীরতা ও ভাষার পরিপূর্ণতায় তার লেখা হয়ে উঠেছে কালজয়ী । কবিগুরুর লেখাকে কয়েকটি বিভাগ, সেসব বিভাগের আবার কয়েকটি উপ বিভাগে ভাগ করে উল্লেখ করতে হয় । সেগুলোর ভেতর প্রথমতঃ আরাধনা বা পূজা পর্যায়, তারপর প্রেম, প্রকৃতি, আধ্যাত্মিকতা । এই প্রেমের আবার উপ উপ বিভাগ আছে । নর নারীর প্রেম, মানব প্রেম, প্রকৃতি ও জীবে প্রেম, সৃষ্টিকর্তার প্রেম, প্রেমের পাশাপাশি আবার চলে আসে বিরহ, বিরহ থেকে কষ্ট, কষ্ট থেকে পরিশুদ্ধি, সে এক এলাহি ব্যাপার । বাংলা সাহিত্য অঙ্গনকে উনি যেন পৈতৃক জমিদারী বানিয়ে ফেলেছেন, বাংলা সাহিত্যকে উনি এতোটাই সমৃদ্ধ করে গেছেন যে যাই লিখতে যাই দেখা যায় উনি সেটা আগেই লিখে রেখে গেছেন। তাই কবি দীনেশ দাস বলেছিলেন, “তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা”। উনার মহা প্রয়াণের ভেতর দিয়ে ১৯৪১ সালের ২২ শে শ্রাবণ বাংলা সাহিত্যাকাশে যে শূন্যতা, যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তা অন্যান্য ক্ষতের মত শুকিয়ে যায়নি, সময়ের বিবর্তনে তা কেবল বৃদ্ধিই পেয়েছে । তার বিকল্প বা কাছাকাছি মানের এমন সামগ্রিক কাউকেও আমরা আজও পাইনি । কোন দিন পাবো কিনা তাও জানিনা ।

রবীন্দ্র বিদ্বেষী ও মৌলবাদীরা যে দুটো দিকে রবীন্দ্র নাথের দিকে তাদের সঙ্কীর্ণতার তীর ছুড়ে দেয় তার প্রথমটি হল ধর্মান্ধতা, তাকে হিন্দু কবি বা তার রচনাকে হিন্দুয়ানী বলে হেয় করার অপচেষ্টা । কিন্তু তার লেখা দিয়ে উনি স্থান, কাল, পাত্র, জাত, পাত ইত্যাদির অনেক উপরে উঠে গেছেন। দ্বিতীয়টি হল রবীন্দ্র নাথ ছিলেন ধনীর দুলাল । উনাকে জীবন যুদ্ধের কষ্ট, অন্ন বস্ত্রের কষ্ট সহ্য করতে হয়নি । দীর্ঘ জীবনে উনি নিরবিচ্ছিন্ন সাহিত্য চর্চা করতে পেরেছেন যা বেশিরভাগ সাহিত্যিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় না । বেশীর ভাগ ঝঞ্জাক্ষুব্ধ লেখকদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা জীবন যুদ্ধ্যে বা সম্পর্কের ভাঙ্গনে যে আঘাত পেয়েছেন তাই তাদের লেখার উপজীব্য হয়ে উঠেছে । কিন্তু রবীন্দ্র নাথ এমন কোন একমাত্রিক লেখক নন । উনি সমস্ত মানবীয় অনুভূতিকে এক জীবনে এমন ভাবে স্পর্শ ও লালন করেছেন যে উনি একের ভেতর হয়ে উঠছেন বহু, সীমার ভেতর থেকে হয়ে উঠেছেন অসীম । এই খানেই মূলত অন্য লেখকদের সাথে রবীন্দ্রনাথের মুল পার্থক্যটা তৈরি হয়ে যায় । রবীন্দ্রনাথের নাম শুনলে তাইতো রবীন্দ্র মুগ্ধ বিস্ময়ে কবিতার ভাষায় বলতে ইচ্ছে হয়ঃ

“আঁকতে আমার ভীষণ ভয়, আঁকতে থাকি তলস্তয়।
আঁকতে আঁকতে থামিয়ে হাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ।
আঁকতে আমার ভীষণ ডর, আঁকতে থাকি শেক্সপীয়র ।
আঁকতে আঁকতে অনেক রাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ।
আঁকতে আমার ভীষণ লাজ, তবুও যখন আকাই কাজ।
আঁকতে আঁকতে কিস্তিমাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ।

১,৪৫২ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
আমি হাসান ইমতি, জন্মস্থান ফরিদপুর, বর্তমান বাসস্থান উত্তরা, ঢাকা । আমি মূলতঃ অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে থাকি । এ ধারায় কবিতা ভিত্তিক সাইটের ভেতর রয়েছে বাংলা কবিতা, কবিতা ক্লাব, কবিতা ইবারয়ারি, গল্প কবিতা, বাংলার কবিতা ইত্যাদি এবং ব্লগের ভেতর সামহোয়্যার ইন ব্লগ, চলন্তিকা, ইস্টিশন, নক্ষত্র, আমার ব্লগ, চতুর্মাত্রিক ইত্যাদি। ইতিমধ্যে ই-ম্যাগের ভেতর অন্যনিষাদ, কালিমাটি, মিলন সাগর, জলভূমি, প্রতিচ্ছবি, বাঙ্গালিয়ানা সহ আরও কিছু ব্লগজিন ও বাজিতপুর প্রতিদিন, মিডিয়াবাজ, নব দিবাকর, তোমার আমার, বাংলা নিউজ ২৪, নারায়ণগঞ্জ টাইমস সহ আরও কিছু অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আমার লেখা । প্রিন্ট মিডিয়ার ভেতর গত ২০১৫ ইং বইমেলায় সাহিত্যকথা, অন্যপ্রকাশ, তারুন্য সহ আরও কয়েকটি সংকলনে আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে । এর বাইরে ভারতের দিগন্ত পত্রিকা, যুগসাগ্নিক, ঢাকার লেখচিত্র প্রকাশনী, বাংলার কবিতাপত্র, অতসী পত্রিকাসহ আরও কিছু প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে আমার লেখা । অনলাইনে আয়োজিত আটকাহন সাহিত্য পুরস্কার, গল্পলেখা সাহিত্য পুরস্কার ও সৃষ্টিসুখের উল্লাসে সাহিত্য পুরস্কার সহ আরও কিছু সাহিত্য পুরস্কার আমার লেখাকে সন্মানিত করেছে । ব্যক্তি জীবনে আমি কমনওয়েলথ এম বি এ শেষ করে সি এ করার পাশাপাসি একটি উৎপাদন মুখী প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা বিভাগে কর্মরত আছি । গুগলে অভ্র দিয়ে বাংলায় "হাসান ইমতি" লিখে সার্চ দিলে আমার সম্পর্কে আরও জানা এবং আমার লেখার একাংশ পড়া যাবে ।
সর্বমোট পোস্ট: ১৫৪ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৮০৮ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-১২-১৪ ১১:৫৬:২৪ মিনিটে
Visit হাসান ইমতি Website.
banner

৫ টি মন্তব্য

  1. অনিরুদ্ধ বুলবুল মন্তব্যে বলেছেন:

    কবিগুরুকে নিয়ে লেখা খুব সুন্দর হয়েছে
    আরো বেশি সুন্দর হয়েছে ক’লাইন কবিতা।
    অভিনন্দন জানাই কবিকে।

  2. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    মুগ্ধ কর লিখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো অনেক
    শুভ কামনা থাকবে

  3. টি. আই. সরকার (তৌহিদ) মন্তব্যে বলেছেন:

    শেষের কথাগুলো অসাধারণ লেগেছে । সাথে পুরো আর্টিকেলটাও । কবি গুরুকে চমৎকার একটি লিখা । অনেক ভালোলাগা ও শুভেচ্ছা জানবেন কবি ।

  4. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    কবিকে নিয়ে লেখা অসম্ভব ভাল লাগল ধন্যবাদ ভাইয়া

  5. হাসান ইমতি মন্তব্যে বলেছেন:

    ভালোবাসা সবাইকে …

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top