দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ১১
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1409বার পড়া হয়েছে।
সূর্য উঠেছে প্রায় দু’ঘন্টা হয়। এখন কিন্তু পূর্বদিকে তাকাতে আগের মতো সমস্যা হচ্ছে না তার। আপন মনে দাঁড় বাইছে বুড়ো। গভীর সমুদ্রে তার সেই ইপ্সিত এলাকায় ভেসে চলছে বুড়োর নৌকাটি। চারদিকে সুন সান একটা পরিবেশ। উপকূলের দিকে দিগন্ত রেখার প্রায় কাছাকাছি তিনটে জেলে নৌকা দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আশেপাশে কোনো নৌকা নেই।
‘সকালের প্রথম সূর্য কখনো আমার চোখে সয় না। জ্বালাপোড়া করে। তার পরও আমার চোখ দু’টি ভালোই আছে। বিকেলের দিকে তো সোজা সুর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি। কোনো সমস্যা হয় না। অথচ তখনও এর প্রখরতা কম থাকে না। কিন্তু সকালবেলায় কী জানি হয়। তাকাতে পারি না সূর্যের দিকে’ – ভাবনায় ডুবে ছিলো বুড়ো। ঠিক তখনই সে একটি পাখিকে দেখলো বিশাল কালো পাখা মেলে ধরে চক্কর খাচ্ছে তার ঠিক সামনের দিকটায়। চক্কর দিতে দিতে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পরার মতো নেমে এলো পানিতে। তারপর আবার উঠে গিয়ে চক্কর দিতে লাগলো আগের জায়গায় ।
‘পাখিটা নিশ্চয়ই কিছু দেখতে পেয়েছে। ওটা এমনি এমনি ওখানটায় চক্কর দিচ্ছে না’ – একা একাই চিৎকার করে কথা বলছে বুড়ো।
ধীরস্থিরভাবে দাঁড় বেয়ে সে ওখানটায় চলে গেলো যেখানে পাখিটা চক্কর দিচ্ছে। কোনো তাড়াহুড়ো নেই তার। এমনভাবে সে চলে যাতে বড়শির দড়িগুলো উপর থেকে সোজা নিচের দিকে থাকে। পানিতে ভেসে না উঠে। এখন অবশ্য পাখিটা দেখে সে স্রোতের টানে একটু বেশিই এগুচ্ছে। তবে তার বড়শি ঠিক ঠাক মতোই আছে যেমনটি সে চায়।
পাখিটা এবার একটু উপরে উঠে গিয়ে আগের মতোই চক্কর দিতে লাগলো। ডানা দু’টি স্থির মেলে ধরে শূন্যে ভাসছে পাখিটি। তারপর হঠাতই পাখিটি ঝাঁপিয়ে পড়ল পানিতে । আর ঠিক তখনই বুড়ো একটি উড়ন্ত মাছ দেখতে পেলো। পানি থেকে উপরের দিকে লাফিয়ে উঠছে । তারপর বেপড়োয়াভাবে পানির উপর দিয়ে উড়ে গেল কিছু দূর।
‘ডলফিন, বিশাল ডলফিন’ – একা একাই চিৎকার করে উঠে সান্তিয়াগো।
১,৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ১১ এর অনুবাদ গুলো ভালোই ।ছোট ছোট হওয়া পড়তে বেশ সুবিধা বেশ লাগছে। শুভেচ্ছা হামিদ ভাই।