দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ১৭
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1435বার পড়া হয়েছে।
বাংলা রূপান্তর © হামিদ
বড়শির দড়িতে টান লাগায় বুড়ো বেশ খুশি । সেই টান প্রথমে মৃদু থাকলেও এখন আস্তে আস্তে জোড়ালো হচ্ছে। এখনতো অবিশ্বাস্য রকম জোরে টান পড়ছে দড়িতে । বুড়ো বুঝতে পারে যে, বেশ একটা ওজনদার মাছের কারণেই টানটা এমন জোরে আসছে । যতই টান পড়ছে ততই দড়িতে ঢিল দিতে লাগলো বুড়ো । দড়ির বাড়তি দু’টা কুন্ডলি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ । বুড়ো যতোই দড়ি ছাড়ে ততোই তা সর সর করে নিচে নেমে যায় ।
কী মাছ এটা কে জানে ? ভাবছে বুড়ো । তবে যে মাছই হোক, বুড়োর মনে হচ্ছে মাছটি এখন টোপটা আড়াআড়ি ধরে ছুটাছুটি করেছ । এখনই হয়তো টোপটা গিলবে । তবে এই ভাবনার কথা মুখে উচ্চারণ করল না । কারণ ভাল কিছুর কথা মুখে উচ্চারণ করলে তা নাও ঘটতে পারে বলে তার আশঙ্কা হয় ।
বুড়ো অনুভব করতে পারছে যে মাছটি বিশাল আকারের হবে । টোপের টোনা মাছটা মুখে আড়াআড়ি ধরে মাছটা কীভাবে ছুটছে সেটা যেন কল্পনায় দেখতে পাচ্ছে সে । হঠাৎ মনে হলো মাছটা থেমে পড়েছে । তবে দড়িতে টান ঠিকই আছে । একটু পর টান আরও তীব্র হলো । বুড়ো আরও খানিকটা দড়ি ছাড়লো । হঠাৎ সাঁ সাঁ করে খাড়া নিচের দিকে যেতে থাকলো দড়িটা ।
‘টোপ গিলেছে মাছটা । এখন আমি ওকে দিয়ে ভালভাবে টোপটা গিলাবো’ – ভাবছে বুড়ো । গুটিয়ে রাখা বাড়তি দড়ির দু’টো কুন্ডলি একটাকে আরেকটার সাথে জোড়া দিলো । তারপর একটা মাথা বেঁধে নিল বড়শির দড়ির সাথে । এখন সে প্রস্তুত । যতো দরকার ততো দড়ি সে ছাড়বে ।
‘একটু একটু করে খা । ভালো করে খা । এমনভাবে খা যেন বড়শির ফলা তোর হৃদপিন্ডে গেঁথে গিয়ে তোকে মেরে ফেলে । তারপর আরাম করে উপরে উঠে আয় । যাতে তোর শরীরে টেটাটা গেঁথে ফেলতে পারি । খাবার টেবিলে তো অনেকক্ষণ কাটালি । এবার তুই নিশ্চয়ই তৈরী? ‘ – মনে মনে এসব কথাই বলেছিল বুড়ো
হঠাৎ ‘এবার’- বলে চিৎকার করে উঠলো বুড়ো । তারপর জোরে দু’হাতে টানতে লাগলো বড়শির দড়ি । শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়েও সে টেনে রাখতে পারছে না। মাছটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । বুড়ো টেনে তাকে এক ইঞ্চিও তুলতে পারলো না।
চলবে ………………………………
১,৪০৫ বার পড়া হয়েছে
শুভকামনা রইল প্রিয়।
শুভেচ্ছা প্রিয় হামিদ ভাই
লেখা ভাল লাগল । কিন্তুএকই পাতায় দুটি ফোষ্ট দেওয়ার নিয়ম নেই । শুভ কামনা ।
হামিদ ভাই ………………
ঠেলা সামলান এবার।