দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ৩
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1300বার পড়া হয়েছে।
বুড়ো সান্তিয়াগো বিয়ারের গ্লাস হাতে স্মৃতির গভীরে হাতরে ফিরছিল তার জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো। বালকের ডাকে সম্বিত ফিরে তার। ‘বল’ – উত্তর দিল বুড়ো।
‘আমি গিয়ে তোমার জন্য কিছু সারডিন পোনা যোগার করিগে। কাল তোমার কাজে লাগবে।’
‘না, তুই বরং বেসবল খেল গিয়ে। আমি এখনও দাঁড় বাইতে পারি। আর রোজলিও জাল ফেলবে। সারডিন …পোনা আমরাই যোগার করে ফেলতে পারবো’।
‘কিন্তু আমার যে তোমার জন্য কিছু করতে ইচ্ছে করে। মাছ ধরতে তোমার সাথে যেতে পারি না। অন্য কোনোভাবে যদি তোমাকে সাহায্য করতে পারি তাও মন্দ কী!’
এবার বুড়ো বলে, ‘তুই তো আর সেই ছোট্ট বালকটি নেই। রীতিমত পুরুষ হয়ে গেছিস রে। এখন আমাকে বিয়ার খাওয়ানোর সামর্থও তোর হয়েছে।’
‘আচ্ছা প্রথম বার যখন আমাকে মাছ ধরতে নৌকায় নিলে তখন আমার বয়স জানি কত ছিল?’
‘পাঁচ বছর। সেবার তো তুই মরতেই বসেছিলি। অনেক তাগড়া একটা মাছ পেয়েছিলাম। নৌকাটা প্রায় ফেড়ে ফেলছিল প্রায়। মনে আছে তোর?’
‘মনে নেই আবার! মাছটি লেজ দিয়ে দুম দড়াম বাড়ি মারছিল। যেন নৌকাটা ভেঙ্গে ফেলবে। সাথেই তোমার মুগুরের বাড়ির শব্দ, সবই মনে আছে আমার। তুমি আমাকে নৌকার গলুইয়ের উপর পেচিয়ে রাখা জালের উপর ছুড়ে ফেললে। মাছটি মনে হচ্ছিল নৌকাটাকে টুকরা টুকরা করে ফেলবে। আর তুমি যেভাবে মুগুর দিয়ে বাড়ি মারছিলে মনে হচ্ছিল কুড়াল দিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। মাছের রক্তের একটা মিষ্টি গন্ধ আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল।’
‘তোর কি আসলেই মনে আছে না কি আমার কাছ থেকে শুনে শুনে বলছিস?’
‘সেই প্রথম দিন থেকে আমার সব মনে আছে।’
বুড়ো স্নেহের দৃষ্টিতে তাকায় বালকের দিকে। রোদে ঝলসে যাওয়া চেহারায় দুটি চোখ আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ।
‘তুই যদি আমার ছেলে হতি তবে তোকে সাথে নিয়ে ভাগ্যটা পরীক্ষা করতাম। কিন্তু তুই হলি তোর বাবা-মা’র সন্তান। তাছাড়া এখন আছিসও একটা পয়মন্ত নৌকায়।’
‘আচ্ছা আমি সারডিন পোনাগুলো নিয়ে আসি। তোমার জন্য চারটে বড়শির টোপেরও ব্যবস্থা করে রেখেছি।’
‘আমার আজকেরগুলো থেকেও নয়টা বেঁচে গেছে। লবন মাখিয়ে রেখেছি।’
‘আমি চারটে তাজা টোপ এনে দিচ্ছি।’
‘একটা হলেই চলবে আমার।’
বুড়োর আশা আর আত্মবিশ্বাস সব সময় অটুট। এখন মৃদুমন্দ বাতাসের ছোঁয়ায় তা যেন আরও সজিব হয়ে উঠছে।
‘আচ্ছা দুইটা নিও’ – বলে বালকটি।
‘ঠিক আছে দুইটাই দিস। চুরি করে আনিস নি তো আবার?’
‘চুরি যে আমি করি না তা নয়। তবে এগুলো চুরির মাল নয়। একদম নিজের পয়সায় কেনা জিনিস।’
চলবে………………………
১,৩৪২ বার পড়া হয়েছে
পোস্টে ভাল লাগা রইল হামিদ ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রব্বানী ভাই…………………..
ভাল লাগছে আপনার অনুবাদ হামিদ ভাই। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আরজু মূন …………………..
দারুন অনুবাদ। ভালো লাগলো। আপনার সাথে রইলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই……………….
আমরা যদি কখনও বই প্রকাশ করি তখন ইনশাল্লাহ প্রথম ১০টা বই এর মাঝে আপনার এই অনুবাদটি অবশ্যই থাকবে। শুভ কামনা জানবেন।
ইনশাআল্লাহ ….
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য………………….