দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ১
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1317বার পড়া হয়েছে।
পর্ব….১
একটি ছোট জেলে নৌকা নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরে বুড়ো সান্তিয়াগো। এটাই তার পেশা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত চুরাশি দিন একটানা চেষ্টা করেও বুড়ো কোনো মাছ পায় নি। এর মধ্যে প্রথম চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার সহকারী বালকটি তার সাথেই ছিল। এর পর বালকটির বাবা-মা বল, ‘বুড়ো আস্ত একটা অভিশপ্ত! ‘কুফা’ একটা!’এর সাথে গিয়ে কাজ নেই।’ তারা বালকটিকে অন্য একটি নৌকায় দিয়ে দি। যে নৌকাটি প্রথম সপ্তাহেই তিন তিনটি ভালো মাছ ধরে ফেলে।
তবে প্রতিদিন বুড়োকে এভাবে খালি নৌকা নিয়ে ফিরতে দেখে সেই বালকটির মন খারাপ হয়। বুড়ো নৌকা নিয়ে এলেই বালকটি নানা কাজে বুড়ো সান্তিয়াগোকে সাহায্য করে। দড়ির কুন্ডলিটা কিংবা মাস্তুলে গোটানো পালটা নৌকা থেকে নামিয়ে দেয়। পালটি আবার নানা জায়গায় ময়দার বস্তা দিয়ে তালি মারা। উড়ালে মনে হয় যেন ‘চির পরাজয়ের ঝান্ডা।’
রোগা পাতলা শরীর বুড়োর। গলার পিছন দিকটায় গভীর কয়েকটি বলি রেখা। উত্তর সাগরের প্রখর সূর্য তাপের কারণে সৃষ্ট স্কীন ক্যান্সারের বাদামি ক্ষত তার মুখের দুই দিক দিয়ে নিচে নেমে গেছে। হাত দু’টি তার গভীর ক্ষত চিহ্নে ভরে আছে। বড় বড় মাছের রশি টানতে টানেত তার এই অবস্থা হয়েছে। তবে নতুন ক্ষত নেই একটিও। তার মাছবিহীন দিনগুলো যত পুরনো হচ্ছে ক্ষতগুলোও ততই পুরনো হচ্ছে।
বুড়ো সান্তিয়াগোর দেহ ঘড়ির সব যন্ত্রই পূরণো হয়ে গেছে শুধু চোখ দু’টি ছাড়া। চোখ দু’টি তার এখনও সাগরের জলের মত স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত আর তাতে রয়েছে হার না মান জ্যোতি।
আজ নৌকা ঘাট থেকে ঢাল বেয়ে উঠতে উঠতে বালকটি বলে, ‘সান্তিয়াগো, আমি আবার তোমার সাথে যেতে পারবো। আমরা চলার মত কিছু টাকাপয়সা সঞ্চয় করতে পেরেছি।’
আসলে বুড়ো সান্তিয়াগো এই বালকটিকে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ ধরা শিখিয়েছে। তাই বুড়োর জন্য বালকটির ভীষণ মায়া জন্মেছে। কিন্তু বুড়ো তাতে সায় দিল না।সে বলল, ‘না, তুই এখন একটা ভাগ্যবান নৌকায় আছিস। ভাল হবে তুই সেখানেই থাক।’
চলবে………….
১,৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
অনুবাদ ভাল লাগলো । শুভ কামনা ।
ধন্যবাদ আপনাকে…………………….
মূল লেখাটি অবশ্য আমি দেখিনি তবে অনুবাদ যা করেছেন মনে হচ্ছে মূল লেখাটি এর চেয়ে বেশি টানতে পারবে না। ভালো লাগার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে। ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ ভাই আর শুভকামনা অহর্ণিশ…………………………..