দেশের সব খরচ জনগণই বহন করে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1569বার পড়া হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের হলফনামা তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকের পাঁচ বছর আগের তুলনায় অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বেড়েছে। কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে।
ক্ষমতার পাঁচ বছরের মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকের অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি হলফনামা আকারে প্রকাশিত হয়ে পড়ায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। যে কারণে তাঁরা প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য প্রকাশ নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন। খবরে এসেছে যে অনেকেই চাচ্ছেন না যে তাদের তথ্যগুলো জনগণের সামনে প্রকাশিত হোক। এখন তারা ইচ্ছা করলেই আইন সংশোধন করে নিতে পারেন যাতে তথ্যগুলো প্রকাশিত না হয়। সবাই যায় সভ্যতার দিকে আর আমরা দিন দিন যাচ্ছি অসভ্যতার দিকে।
সরকারের মন্ত্রীদের ভুলে গেলে চলবে না যে দেশের সব খরচ জনগণই বহন করে। এমনকি মন্ত্রীদের খরচও। মন্ত্রীরা জনগনণের কোনো খরচ বহন করে না। মন্ত্রীগণ দেশের সেবা করতে চান বলেই জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। জনগণ তাদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না।
সুতরাং সেবার মানসিকতা থাকলেই রাজনীতিতে আসা উচিৎ। বিনিময়ে জনগণ আপনাদের উন্নত জীবন মান আর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাই কেবল নিশ্চত করবে না, বরং আজীবন মাথায় তুলে পুজা করবে।
১,৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
আমাদের দেশে অসাভাবিক নিয়মে সম্পদ বৃদ্ধির জন্য এই ৪২ বছরে কোন রাজনীতি বিদের সাজা হয়েছে ?
রাজনীতিবিদেরা জানেই তারা যত অপরাধই করুক না কেন এক সরকারের আমলে মামলা হবে, আর এক সরকার এসে তা মাফ করে দিবে । কাউকেই তো সাজা ভোগ করতে হবে না । তাহলে আর অসুবিধা কি ।
চলুক রাম রাজত্ব । শুভ কামনা ।
শুভ কামনা
সেবার মানসিকতা এদের কষ্মিন কালেও হবে না… অবৈধ সম্পদের হিসাব পরকালে দিতে হবে…
একমত । শুভ কামনা
সেবা?
আমাদের রাজনীতিবিধরা অবশ্য সেবা করে,
তবে জননগণের নয়, নিজের ও দলের সেবা করেন;
এর বিরুদ্ধে যারা বলবে তারা অবশ্যই রাজাকার,
যুদ্ধ অপরাধের বিচার বানচাল করাই তাদের
আসল উদ্দেশ্য………………………
একমত । শুভ কামনা………….
চমত্কার মন্তব্য । শুভ কামনা………….
সেবার মানসিকতা থাকলেই রাজনীতিতে আসা উচিৎ। বিনিময়ে জনগণ আপনাদের উন্নত জীবন মান আর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাই কেবল নিশ্চত করবে না, বরং আজীবন মাথায় তুলে পুজা করবে।
আপনি আমি তাই ভাবি। পলিটিশিয়ান দের সেই সময় আছে। ধন্যবাদ চমত্কার লিখা
চমত্কার মন্তব্য । শুভ কামনা………….
চমত্কার মন্তব্য । শুভ কামনা………….
আমরা শুধু উলুবনে মুক্তো ছড়িয়ে যাচ্ছি !
ধন্যবাদ
চমত্কার মন্তব্য । শুভ কামনা………….
সেবার মানসিকতা এদের কষ্মিন কালেও
হবে না… অবৈধ সম্পদের হিসাব
পরকালে দিতে হবে…
একমত ।
চমত্কার মন্তব্য । শুভ কামনা………….
এদের সেবা যদি ঝাড়ু দিয়ে করতে পারতাম!!!!!!!!
পুরনো একটা গল্প বলি-
একবার এক রাজা রাজ্যজুড়ে ঘোষণা দিলেন ” সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে প্রথম যেই বিশাল পাহাড় আছে, তার গুহায় থাকে এক দৈত্য যার মুখ থেকে আগুনের গোলা বের হয়; এর মাথা থেকে মুকুট টা নিয়ে এসে আমার মেয়েকে যে দিতে পারবে আমি তার সাথেই আমার মেয়ের বিয়ে দিবো । ” তিনি এও বলে দিলেন,”দৈত্যটা ছয় মাস ঘুমায়, ছয় মাস জেগে থাকে।” এ ঘোষণা শুনে রাজ্যের বুড়ো-জোয়ান অনেকেই রাজসুখের আশায় সেই মুকুট উদ্ধারে রওনা দিল, কেউ আর ফিরে আসলো না।এক রাজকুমার আবার সেই রাজকন্যাকে পছন্দ করতো, সে ভাবল, আমি তো রাজকুমার, আমি পারবো ই। এই বলে সেও রওনা দিলো , গুহা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেখে দৈত্যটা বেঘোরে ঘুম। সে তো হাসিমুখে তাজ টা নিয়ে উল্টো দিকে ফিরে হাটা শুরু করলো। সব ঠিক ই ছিলো , শুধু সেই রাজা কিন্তু একটা জিনিস বলে নাই, সেটা হলো, “দৈত্যটা ২ মুখো, এক মুখ সামনে আরেক মুখ পিছনে। যখন এক মুখ ঘুমায় তখন আরেক মুখ জেগে থাকে ।” আর কি ! সেই দ্বিতীয় মুখের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো সেই রাজকুমার আর বাকিদের মতো !
কেনো বললাম এ গল্প?
গণতন্ত্র হল সেই দু-মুখো দৈত্য যার একমুখ দেখে আমরা খুশিতে বেহুশ হবার উপক্রম হয় আর দ্বিতীয় মুখ সেই বেহুশের সময় তার কর্ম সিদ্ধি করে। আর আমরা হলাম সেইসব বুড়ো-জোয়ান দের মত যারা একটু আশ্বাস পেয়েই পাগলের মতো ভোট দিয়ে রাজারূপী শাসক শ্রেনীকে ক্ষমতার স্বাদ সারাজীবন পাইয়েই রাখি, আর তারা রাজকন্যা পাওয়ার মতো লোভ দেখিয়ে আমাদের সামনে সারাজীবন মূলা ঝূলিয়ে রাখেন,
সবাই হয়তো ভেবেছিলেন গল্পের শেষে রাজকুমারের জয়-জয়াকার থাকবে, কিন্তু বাস্তবতা টা ই এরকম, খুব কম দেশ আছে যারা গণতন্ত্রের সুফল পাচ্ছে।
আমরা জানি যে রাজকন্যা পাওয়া সম্ভব না, তারপর ও আশায় বুক বাধি আর ভোট দেই…………
দেশের সম্পদ নষ্ট করে নির্বাচন হলো।