দেশে মায়েদের এক-তৃতীয়াংশ পুষ্টি সমস্যায় ভুগছেন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1466বার পড়া হয়েছে।
পরবর্ত্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যাদের পুষ্টি ঠিক রাখা প্রয়োজন সেই নারীরাই সবচেয়ে বেশী অপুষ্টির স্বীকার এ দেশে।যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ‘বাংলাদেশের নারী ও শিশুস্বাস্থ্য-২০১১’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, এ দেশে মায়েদের এক-তৃতীয়াংশ অপুষ্টির শিকার। উচ্চতার তুলনায় তাঁদের ওজন কম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘পুষ্টি জরিপ-২০১১’-তে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নারীর পুষ্টিহীনতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি নারীই পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতো:মধ্যে বড় ধরনের একাধিক পুষ্টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর একটি বাংলাদেশ সমন্বিত পুষ্টি প্রকল্প এবং অন্যটি জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সাফল্য পেলেও এখনও আমাদের দেশের বহু নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। ফুড সিকিউরিটিটি নিউট্রিশনাল সার্ভেলেন্স প্রোগ্রাম (এফএসএনএসপি) ২০১১ এর এক জরিপে দেখা গেছে, বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতির কিশোরীর হার ৩২ শতাংশ, বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতির নারীর হার ৪২ শতাংশ, খাদ্যে কম অনুপুষ্টি উপাদান গ্রহণকারী নারীর হার ৬০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদে শক্তির ঘাটতি আছে এমন নারীর হার ২৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ অপুষ্টির অন্যতম কারণ দারিদ্র।এর বাহিরে যেটি প্রকট সেটি হলো সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।অনেক পরিবারেই দেখা যায় বয়সে ছোট হলেও ছেলের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেয়া হয়।মাছ বা মাংসের বড় টুকরো বা মিষ্টি/দধি/ডিম সব কিছুই যেন ছেলেদের জন্য একটু বেশীই।আর এর প্রভাব গিয়ে পড়ে পরবর্ত্তীতে যখন মেয়েটি মাতৃত্বের স্বাদ নেয়।কাজেই সমাজ সচেতনরা এ বিষয়টির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।-
সূত্র:প্রথম আলো
১,৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
হুম, যা বোঝা গেল তাতে মায়েদের পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে হবে, সাথে পুষ্টি গ্রহণের সুযোগও ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
খামখেয়ালী মনোভাব ও স্বাস্থ সচেতনতার অভাবই এর জন্য বহুলাংশে দায়ি।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
েউপকারী পোষ্ট
সুন্দর লীখা
বেশ
বুঝলাম