Today 31 May 2023
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

নারী ডিজাইনার

লিখেছেন: নুসরাত শারমিন লিজা | তারিখ: ০৭/০৫/২০১৫

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1480বার পড়া হয়েছে।

ফ্যাশন ও স্টাইলকে দুটি আলাদা সত্তা আর বৈশিষ্ট্য প্রদানে রয়েছে বেশ কিছু বিখ্যাত নারী ফ্যাশন ডিজাইনারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে, তারা কখনো নিজের জন্য, কখনো তাদের সন্তান বা স্বামী, আবার কখনো আত্মীয়-পরিজনের জন্য নতুন কিছু করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই ফ্যাশনভাবনা এবং তার প্রয়োগকে নিয়ে গেছেন সৃজনশীলতার শিখরে। এর প্রভাব আমরা এখনো প্রতিফলিত হতে দেখি আধুনিক ডিজাইনারদের সৃজনে।

 

মেডেলিন শেরুট

ফরাসি ফ্যাশনদুনিয়ার সর্বপ্রথম ফ্যাশন হাউজ পরিচালক। একজন সাধারণ ড্রেসমেকার হিসেবে ফ্যাশনজগতে আসেন তিনি। ফ্রান্সের বিখ্যাত কতুর হাউজ রডনিজ ইসিতে তার কর্মজীবনের শুরু, তবে ১৯৫০ সালে প্রায় ১০০ জন কর্মী নিয়ে তিনি শুরু করেন তার লেবেল শেরুট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যে ক’টি কতুর হাউজ আবার চালু হয়, তার পেছনে এই ফ্যাশন ডিজাইনারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

জঁ প্যাকে

নারীর কতুর কালেকশনের প্রথম নারী ফ্যাশন ডিজাইনার জঁ প্যাগি। তার ফ্যাশনেবল কালেকশনগুলোয় খুঁজে পাওয়া যায় ১৮ শতকের অনুপ্রেরণা। হালকা রঙের সেসব ‘ইভনিং ড্রেস’ আজকাল আমরা রানওয়ে শোতে হরহামেশাই দেখে থাকি। এই ধারণার উদ্গাতা এই ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন ডিজাইনার। পাশাপাশি মার্কেটিংটা তিনি বেশ বুঝতেন। কারণ, বিশ শতকের প্রথম দিকে প্রচারণার জন্য তিনি প্যারিসের বিভিন্ন অপেরা এবং দৌড় প্রতিযোগিতায় মডেলদের তার ডিজাইন করা পোশাক পরিয়ে পাঠাতেন। এমনকি কখনো-কখনো ফ্যাশন প্যারেডেরও (অনেকটা বর্তমান র‌্যাম্পে হাঁটার মতো) আয়োজন করতেন।

কোকো শ্যানেল

কালজয়ী বিখ্যাত এই ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনারকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। ফরাসি এই প্রভাবশালী ফ্যাশন ডিজাইনারের অনুপ্রেরণা ও প্রভাব আমরা খুঁজে পাই আধুনিক অনেক ডিজাইনারের কাজে। ফ্যাশনদুনিয়ার সেরা একটি লাক্সারি লেভেল হলো কোকো শ্যানেল। তাঁর হাত ধরেই কতুর কালেকশন পায় ভিন্ন মাত্রা। মেয়েদের জন্য মেনসওয়্যার প্রভাবিত স্পোর্টসওয়্যারও করেছেন তিনি। আর তার কালজয়ী সৃষ্টি লিটল ব্ল্যাক ড্রেসের কথা ফ্যাশনদুনিয়ায় আজ আর অবিদিত নয়। ফ্যাশনভাবনা এবং ফ্যাশনজগৎ কতোটা বিস্ময়কর, তা ফ্যাশনপিপাসুদের চিনিয়েছেন তিনি।

মেডেলিন ভিওনে

বিশ শতকের একজন প্রভাবশালী ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার। তার টেকনিকের প্রভাব দেখা যায় আজকের অনেক ফ্যাশন ডিজাইনারের কালেকশনে। হালের পোশাকে যে বায়াস কাট আমরা দেখি, তার উদ্ভাবন ঘটেছে এই ফ্যাশন ডিজাইনারের হাতে। ‘গ্রেসিয়ান স্টাইল’-এর পোশাকের আলাদা জনপ্রিয়তা প্রাপ্তিতে তার ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য।

ম্যাডাম গ্রেস

ফ্যাশনবিশ্বের এক প্রভাবশালী এবং সৃজনশীল কতুর ডিজাইনার ম্যাডাম গ্রেস। ইনিও ফরাসি। তাকে বলা হয় ‘দ্য মাস্টার অব ওয়ারপড অ্যান্ড ড্রেপড ড্রেস’। মূলত তিনি ফ্লোর-লেংথ প্লিটেট গাউনের কারণে ডিজাইনার হিসেবে পরিচিতি পান।

ক্লেয়ার ম্যাককার্ডেল

স্পোর্টসওয়্যার ও রেডি-টু-ওয়্যারের আবিষ্কারক বলে মনে করা হয় এই মার্কিন ফ্যাশন ডিজাইনারকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খুব সাধারণ শিলুয়েট এবং কাপড় ব্যবহারের মিতব্যয়িতার কারণে তার কালেকশন পায় আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। ‘ক্যাজুয়াল সেনসিবিলিটি’র স্বীকৃতি পায় তার ডিজাইন ধারণা। ১৯৫০ সালে সর্বপ্রথম একজন আমেরিকান নারী হিসেবে ওমেন্স ন্যাশনাল প্রেসক্লাব অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন তিনি। এটা ছিল মার্কিন নারীসমাজের জন্য একটি বিশেষ অর্জন।

ম্যারি কোয়ান্ট

আজকের কেতাদুরস্ত ফ্যাশনের সেরা একজন প্রবক্তা ডিজাইনার। কারণ, আধুনিক ফ্যাশনেবল নারীর কাছে জনপ্রিয় মিনি স্কার্ট আর হট প্যান্টের আবির্ভাব তার কালেকশনের মাধ্যমেই। এ ধরনের নতুন স্টাইল সবার কাছে পৌঁছে যায় বিশেষ এক আবেদন নিয়ে, তাঁর কাজের গুণেই। এ ক্ষেত্রে রাজপরিবারের তরফে ওবিই সম্মাননায় ভূষিত এই ব্রিটিশ ডিজাইনারের বক্তব্য একেবারেই স্পষ্ট, এসব পোশাক আসলে নারী ফ্যাশনের স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে।

ভিভিয়েন ওয়েস্টউড

মূলধারা থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন এই ফ্যাশন ডিজাইনার নারীর নিজস্ব স্টেটমেন্টে যোগ করেছেন নতুনধারা। মূল প্রবাহে জুড়ে দিয়েছেন আধুনিক পাঙ্ক ধারণার স্রোতধারা। আদ্যন্ত ব্রিটিশ এই ডিজাইনারের কারণেই শিক ফ্যাশনে যোগ হয়েছে সেফটিপিন শার্ট, স্কাই-হাই প্ল্যাটফর্ম শু, প্লেইড প্যান্টস এবং ড্রেপিংয়ের নানা ধরনের পরীক্ষামূলক উপস্থাপনা।

ডোনা ক্যারান

নারী আজ কেবল ঘরের ঘেরাটোপে বন্দি নয়। তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নেতৃত্বেও। তা সে আন্দোলনেই হোক বা শিল্প-উদ্যোগে। বিশাল আর বিচিত্র কর্মমুখরতায় নারী আজ অগ্রসরমাণ। কিন্তু বাইরের এই জগতে ঘরের আটপৌরে পোশাক বেমানান। এটা হয়তো প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এই মার্কিন ডিজাইনার। কর্মজীবী নারীর আলমারিতে স্টাইলিশ, আরামদায়ক এবং কাজের জন্য উপযোগী পোশাক তৈরির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে ক্যারিয়ার সচেতন নারী এবং মা- উভয় সত্তার নারীর পোশাক কী রকম হওয়া উচিত, তা তিনি তুলে ধরেন কাপড়ের ক্যানভাসে, পোশাকের নান্দনিক সৃজনে। তার কালেকশন সে কথাই বলে।

স্টেলা ম্যাককার্টনি

ফ্যাশনকেও যে পরিবেশবান্ধব করে তোলা যায় এবং এই ধারণা প্রতিষ্ঠায় যার ভূমিকা মোটামুটি সবার আগে, তিনি ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার স্টেলা ম্যাককার্টনি। আরামদায়ক, মেয়েলি, ফোলানো এবং সেনসিবল বিষয়গুলো খুঁজে পাওয়া যায় তার ডিজাইনে খুব সহজেই।

internet

১,৪৬৫ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ২৬ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ০ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-২৫ ১২:১১:৩০ মিনিটে
banner

৪ টি মন্তব্য

  1. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    বেশ ভালো ভাবনার প্রয়াস দেখলাম
    সুন্দর লিখনী
    ভালো লাগলো
    ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

  2. অনিরুদ্ধ বুলবুল মন্তব্যে বলেছেন:

    পড়লাম – বেশ তথ্য জানলাম
    ধন্যবাদ –

  3. টি. আই. সরকার (তৌহিদ) মন্তব্যে বলেছেন:

    ১০ জন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সম্পর্কে জানতে পারলাম ।
    খুব সময়োপযোগী তথ্য ! :) কেননা, এখনকার যুগটাই যে ফ্যাশনের ! 😛
    ধন্যবাদ আপনাকে ।

  4. দীপঙ্কর বেরা মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল ভাবনা

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top