নারী তোমাকে দেখেছি আজ
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1329বার পড়া হয়েছে।
নারী, আমি দেখেছি নেশার অমানিশায় তোমাকে, নির্লিপ্ত।
বেদনার ঘূর্ণিজালে বন্দিতুমি, তুমি বস্ত্রহীন, নিঅম্বরী
স্বাধীন বিহঙ্গের ন্যায় শহরের পাদদেশে
তুমার অমুলক প্রাচুর্যতা ধনাঢ্যতা কেড়ে লুণ্ঠিত-
চর্বন করে রেখেছে, এখন যারা শয়ণে অসভ্য।
নারী, তোমাকে দেখেছি আজ অমুর্ত
তোমাকে নুইয়ে দিয়েছে যারা অভিধানের গ্রহ থেকে।
তাদের ইন্দ্রজাল ভেদ করার নেশা তোমার চক্ষে
প্রতিশোধ গ্রহণের জ্বালা, তীব্র বেগে তুমি হাঁটছ পথ,
অন্বেষায় শোসক।
নারী, আজ তোমাকে নাগিনীর শ্বাপদ জ্বালায় কাতরাতে দেখেছি।
আজ নিনারী, তোমাকে হরণ করেছে
বৃদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার।
লেখক তোমাকে পণ্য হিসেবে সমৃদ্ধ করছে সৃষ্টি
তুমাকে মুছে দিতে চেয়েছে চুষে নিয়ে
রাজনীতিবিদ, আর সচেতন আহলাদের সন্তান।
যাদের তুমি আশ্রয় ভেবে, বিড়ম্বনায়;
বিবর্ণ তোমার দেহ, তোমার বক্ষ
হরিনী চোখে আজ হিংস্রতা, আর
তীব্র জ্বালায় বস্ত্রহীন, হারিয়ে সম্ভ্রম-ঐশ্বর্য্য।
১,৪১৩ বার পড়া হয়েছে
কবিতার শিরোনামটা অরেকটু ছোট হলে ভাল হতো।
অনেক সুন্দর মন্তব্য আমির ভাই। আপনি কি দু একটি শিরোনাম উদাহরণ স্বরূপ দিতে পারেন। উপকৃত হব।
কবিতাটি ২০০৭ সালের লিখাতো।
নারী
খুব ভাল হয়েছে। কবিতার সাথে শিরোনামের মিল রয়েছে।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই, শিরোনাম সম্পর্কে আপনার প্রসংশা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
কবিতা ভালো লেগেছে । (কবিতায় বলেছেন, বস্ত্রহীন,,,,,,ছবিতে তো বস্ত্র পরিহিতই দেখলাম)
ছবিটাকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ? লেখাটা পড়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা।
“নারী, তোমাকে দেখেছি আজ অমুর্ত
তোমাকে নুইয়ে দিয়েছে যারা অভিধানের গ্রহ থেকে।”
শিরোনাম ছোট করার কোন কারণ দেখি না,এটাই থাক।
কাব্যিক শিরোনাম দেখেই কিন্তু আমি ছুটে এলাম কবিতাটা পড়তে।
ভালো লাগলো কবি
মুগ্ধকর লিখনী