‘নিমকহারাম প্রজা’ ( নব আবিস্কৃত পঞ্চগড়ের প্রাচীণ নগরী ‘ভিতরগড়ের মহারাজার দিঘী’র উপাখ্যান অবলম্বনে ) ৷
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1547বার পড়া হয়েছে।
হাজার রকম স্বপ্নেভরা মধুর ছোট্টকাল,
রাজকুমোরের গল্পগাঁথা কাটতো মনে জাল ৷
সেইযে রাজকুমোর একদিন রাজকণ্যের খোঁজে,
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে ঘোড়ায় ছুটতো যে ৷
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে চাওয়াই নদীর কিনার,
ছুটতে শেষে আসলো যেই কাজলদিঘীর পাড় ৷
দিনের শেষে রাত্রি আসে কুমোর তারপর,
ছাতিম তলে ঘুমিয়ে পড়ে পাড়ের উপর ৷
স্বপ্নে দেখে রাজকণ্যে দিঘীর অথৈ জলে ,
গভীর ঘুমে অবচেতন প্রাসাদ মহলে ৷
জলপরী সব ছিলো যতো রাজকণ্যের পাশে,
মধুর গানে ঘুম পারিয়ে তাকে নিতে আসে ৷
রাজকুমোর জেগে তখন কাজলদিঘীর জলে –
ঝাপিয়ে পড়ে এক নিমেশে গভীর অতল তলে ৷
সেখানে সে পাতালপুরে রাজকণ্যের সনে ,
মহাসূখে রাজ্য গড়ে প্রজার কল্যাণে ৷
দিঘীর ধারে ছিলো যতো প্রজা সাধারন,
রাজ্য হতে তাদের তরে আসতো গুপ্ত ধন ৷
কেউ যদিবা মেয়ের বিয়ের গয়নাগাটি যতো ,
চাইলে জলে আসতো ভেসে ইচ্ছে মনের মতো ৷
কাসন-বাসন হাড়ি-কড়াই চাইলে নতমনে,
জেয়াপতের সব সোনার বাসন দেখতো জনে জনে ৷
ওয়াদা রেখে ভক্তিভরে ফেরত্ দেয়া হলে,
ডুবতো জলে অন্ধকারে অথৈ অতল তলে ৷
একদা এক কলিযুগের মস্ত পাজি প্রজা,
কথায় করে বরখেলাপ তাই বন্ধ হলো দরজা ৷
সেই থেকে কিংবদন্তি থাকলো মহারাজা,
‘কলিযুগে’নাম থেকে হয় ‘নিমকহারাম’ প্রজা ৷৷
—————
১,৫৮৫ বার পড়া হয়েছে
জলপরী সব ছিলো যতো রাজকণ্যের পাশে,
মধুর গানে ঘুম পারিয়ে তাকে নিতে আসে ৷
রাজকুমোর জেগে তখন কাজলদিঘীর জলে –
ঝাপিয়ে পড়ে এক নিমেশে গভীর অতল তলে ৷
সেখানে সে পাতালপুরে রাজকণ্যের সনে ,
চমৎকার লাগল নিমকহারাম প্রজার উপাখ্যান সম্বলিত এই কাহিনী কবিতা।রোমাঞ্চোপন্যাসের মত রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মত।
অনেক ধন্যবাদ কাহিনী সমৃদ্ধ কবিতার জন্য।নুতুন বছরের শুভকামনা রইল।
অন্যরকম লাগল।
বিরাট কাহিনী দেখি
কল্পনা না সত্য ?
লেখা ভাল লেগেছে
কবিতাটি ভার লেগেছে । শুভ নব বর্ষ । ভাল থাকুন ।
আপনাদের মুল্যবান মতামত আমার লেখার মানষিকতাকে ধারালো করবে ৷ সবাইকেই জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ৷ শুভকামনা রইল ৷Happy new year 2014.