পরওয়ানা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1552বার পড়া হয়েছে।
পরওয়ানা
************
প্রথম পর্ব
————-
সান্তাফে পার হয়েছে ও চার দিন হল। শুনেছে সামনেই ছোট একটা শহর আছে। ওর গন্তব্য সেখানেই।
দুই তিন মাইল দূরে শহরের ঝাপসা বাড়ি ঘরের আভাস । ওহ আর একটি নতুন শহর, নতুন মানুষ, নতুন কিছু দেখা। মনে মনে কেমন এক ধরনের থ্রিল অনুভব করল জন স্যাডিন।
ওর ভবঘুরে দীর্ঘ পথ চলা শেষ হবে কি এই কাঙ্ক্ষিত শহরে?
না আবার ছুটে চলা।
ক্যানসাস সিটি ,এবিলিন, ডজ সিটি মাঝে আরও বেশ কয়েকটা ছোট বড় শহরে ওর পায়ের ধুলো পড়েছে এই এক বছরে।
চারদিন আগে সান্তাফেতে কিছু খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছে । ওর টার্গেট নেই এখানে। তবে এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যা প্রমাণ করে মাস তিনেক আগেও সান্তাফেতে দেখা গেছে টার্গেট কে। তার পর স্রেফ উধাও হয়ে গেছে। কারও কাছে আর কিছু জানতে পারে নি । তাই আবার বের হয়ে পড়েছে। আর সামনে রিক সিটি। জনশূন্য শহরটার একমাত্র ধূলি-ধূসর রাস্তা। দূর হতে কেমন মরা মরা খাঁ খাঁ নির্জনতা লাগছে শহরটাকে। ভর দুপুর বলেই কি?
বাতাসে সূর্য তাপের দাহ। মাথার উপর সূর্যও যেন আগুনের গোলা নিক্ষেপ করে চলেছে।
শহরের মাঝ বরাবর এসে অগুন্তুক তার সোরেল ঘোড়া সহ থেমে দাঁড়াল।রাস্তার অদূরে একটি নেড়ে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ওর উপস্থিতি জানিয়ে দিল শহরময়।
দীর্ঘদেহী মানুষ সে। লালচে হ্যাটের ব্রিমের নিচে রোদে পোড়া মুখ কেমন শান্ত নির্লিপ্ত। চোখ জোড়া কালো কুচকুচে শান্ত আর কেমন একটা হাসি হাসি ভাব।
প্রশস্ত কাঁধ, সুঠাম দেহের সঙ্গে মানানসই লম্বা হাত। ভেষ্টের নিচে হালকা আকাশী সার্ট পরনে, গলায় কাল ব্যান্ডনা পেঁচানো। পায়ে রং জ্বলা বুট। কোমরে দুই পাশে হোলস্টারে বাঁধা নেভি কোল্ট। আর পিছনে বেডরোলের সঙ্গে বিশেষ ভঙ্গিতে বাঁধা স্পেন্সর পয়েন্ট ফাইভ-সিক্স রাইফেল।
পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে চারপাশ দেখছে । আসলে খাবার হোটেল জাতীয় কিছু খুঁজছে। কারণ পেটে আগুন জ্বলছে ক্ষুধায়। সোরেলটাও কাহিল। নিজের আর ঘোড়ার জন্য পানি আর খাদ্য ছাড়া ওর মাথায় এখন আর অন্য কিছু কাজ করছে না। একপলকে দেখা শহরটাকে তেমন সমৃদ্ধ মনে না হলেও খারাপও না।
ঘোড়াটাকে হাঁটিয়ে আস্তাবল লিখা সাইনবোর্ডের দিকে এগিয়ে চলল আগুন্তুক। আস্তাবলে বৃদ্ধের কাছে ঘোড়াটা গছিয়ে সামনের স্টার স্যালুনে গিয়ে ঢুকে পড়ল জন।
(চলমান—————)
>>> কেমন লাগল জানাতে কিন্তু ভুলবেন না।
১,৫০৫ বার পড়া হয়েছে
ভালো লাগলো , ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য
এখনো ঘটনা বুঝে উঠতে পারিনি। সামনের পর্বের অপেক্ষায়।