পুরুষদের ৪টি আচরণ কষ্ট দেয় সঙ্গিনীকে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1356বার পড়া হয়েছে।
স্বামীদের কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো স্ত্রীরা একেবারেই অপছন্দ করেন। এ ব্যাপারগুলো তাদের প্রায়শই বিরক্ত করে। পুরুষদের ৪টি বিরক্তিকর অভ্যাস ও কিভাবে নারীরা সেটা জয় করবেন, সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের দেয়া সে ধরনের কিছু টিপস এখানে তুলে ধরা হলো:
ডেটিংয়ের সময় সঙ্গিনীকে অবহেলা
খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন কোন নারী তার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে থাকেন, তখন একান্তভাবেই সময়টিকে সম্পূর্ণ নিজেদের করে নিতে চান। অথচ পুরুষরা মাঝে মধ্যে বিষয়টি যেন বেমালুম ভুলে যান। একান্ত সময়টাকে তারা কাজের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে সঙ্গিনীর বিরাগভাজন হন। হয়তো সঙ্গিনীকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গিয়ে অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা, ব্যবসার আলোচনা করা, টেক্সট মেসেজ পাঠানো, তবে সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষটি যে রূঢ় স্বভাবের সেদিকে কিন্তু এ বিষয়টি ইঙ্গিত করে না। তাই তার এ আচরণে রুষ্ট বা হতাশ না হওয়াটাই বুদ্ধিমতির কাজ। বরং, সুন্দর করে নম্রতার সঙ্গে তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। স্বামী বা সঙ্গীকে মনে করিয়ে দেয়া যে এ সময়টা তিনি যাতে তার কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে না থাকেন।
আমার কিছু যায়-আসে না
স্ত্রী যখন কিছু চান তখন স্বামীর যদি সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকে, তিনি চুপ করে থাকেন। হয়তো কোন একটা বিষয় সম্পর্কে পুরুষটি কিছু জানেন না। এ সময় সঙ্গিনী হয়তো তার মতামত জানতে চাইলেন। অনেক সময় পুরুষরা এ সময় শেষ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেন ‘আমার কিছু যায়-আসে না’ ধরনের বাক্যকে। তাই সঙ্গিনীর উচিত তার ভাললাগা মন্দ লাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গীকে জানানো। এটাও স্বামীদের বোঝানো উচিত যে তার মতামতের গুরুত্ব রয়েছে।
অফিস থেকে ফেরার পর
সারাদিন কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে একেবারেই চুপচাপ হয়ে যান স্বামীটি। এমন অবস্থায় সারাদিন এ সময়টির জন্য অপেক্ষা করে থাকা স্ত্রীর অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক। যখন স্বামী কাজ থেকে বাড়িতে ফিরলেন, তখন তাকে নিজের জন্য কাটানোর কিছুটা সময় দেয়া উচিত। অফিস থেকে ফেরার পরপরই তাকে কিছু বলাটা জ্বালাতনের পর্যায়ে চলে যায়। স্ত্রী যদি এ সময় বলেন তাকে নিয়ে বাইরে রাতের খাবার খেতে যেতে বা তার সঙ্গে কথা বলতে, স্বামীটি হয়তো বেশ বিরক্ত হবেন। মুখে না বললেও মনে একটা বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে তার। পরবর্তীতে, তা গড়াতে পারে বড় অশান্তির পথে। বরং অফিস থেকে ফেরার পর তাকে কিছুটা সময় একা থাকতে দেয়ায় তিনি অনেকটা উজ্জীবিত ও সতেজ হবেন। মুডটাও ফিরে আসবে।
তৈরি হতে বেশি সময় নেয়া
এটা হরহামেশা প্রায় সব বাড়িতেই কিছু না কিছু ঘটে থাকে। স্ত্রী হয়তো বাইরে যাওয়ার জন্য পোশাক পরে, মেক-আপ নিয়ে তৈরি হতে অনেকটা সময় নিচ্ছেন। এতে বিরক্ত হন স্বামী। কারণ, সাধারণভাবে পুরুষরা তৈরি হতে খুব বেশি সময় নেন না। তারা তৈরি হওয়ার পর অপেক্ষা করতে থাকেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। আর স্ত্রীও বিরক্ত হন বা কষ্ট পান, তাকে না বুঝতে পারায়। তাই যখন পুরুষটি পোশাক পরে তৈরি হচ্ছেন, তাকে কোন গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থাকতে উৎসাহিত করুন। রেস্টুরেন্টে বুকিং দেয়া কক্ষটি রিজার্ভ করা, কুকুরকে একটু হাঁটতে নিয়ে যাওয়া বা নিজে হাঁটতে যাওয়ার কাজে তাকে ব্যস্ত রাখুন। আর সে সময়টা নিজে তৈরি হয়ে নিন।
১,৪৪১ বার পড়া হয়েছে
সুন্দর স্বচ্ছ লেখা–ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ।
বেশ দরকারি পোস্ট । এর থেকে আমরা যদি কিছু শিখতে পারি ।
পুরুষদের জন্য উপকারী পোস্ট। ভাল লাগল দরকারী কথা জেনে।
বিয়ের পর বাস্তবে বুঝতে পারব ।
প্রয়োজনীয় একটি পোষ্ট ।
Vhalo laglo . . .kicu jante parlam