প্রবঞ্চনা (ধারাবাহিক উপন্যাস-১)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1481বার পড়া হয়েছে।
পথটা সরু। দু’পাশে গাছ-গাছালিতে ঘেরা। দু’তিন জায়গায় তার বক্রতা ঠিক ’দ’ এর মতো। দৈর্ঘ বেশি নয় বড় সড়কটা পর্যন্ত। তবে প্রস্থে দু’জনের বেশি এক সংগে যাওয়া মুশকিল। তবু গ্রাম থেকে বের হবার একমাত্র পথ।
পাড়ার সর্বশেষ বাড়িটার উঠানে পা দিয়েই সামনে দেখি, সরু পথটার সর্বশেষ বাঁক ঘুরে একটা মেয়ে আসছে এদিকে।লাল রংয়ের সালোয়ার কামিজ পড়া। সবুজের মাঝে লাল রং দৃষ্টি আকর্ষন করে। আসছে লম্বা লম্বা পা ফেলে। যদিও লম্বা পা ফেলে হাঁটা মেয়েদের মানায় না। তবু সে আসছে সারিবদ্ধ সবুজ কিশোর গাছ গুলোকে একের পর এক পিছনে ফেলে।
প্রথমে চিনতে পারিনি। পথের বাঁকটা পেরিয়ে আসার পর চিনতে পারলাম সে ‘জয়ন্তী’।
এক সময় যার ছায়া দেখে চিনতে পারতাম। হাঁটা দেখে চিনতে পারতাম। অনেক দূর থেকে গলার আওয়াজ শুনে চিনতে পারতাম। অথচ তাকে আজ কাছে না এলে চিনতে পারি না। নিজের ভিতকার এই অদ্ভুত পরিবর্তন কি করে সম্ভব হলো সেও এক রহস্য। একবার এক প্রতিবেশি মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের সংগে আসা একটি মেয়েকে পিছন থেকে অবিকল জয়ন্তীর মতো বেণী গাঁথা চুল আর বেগুনী রংগের জামা গায়ে দেখে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পিছন থেকে হাত টেনে ধরে কি বোকাই না সেজেছিলাম ! সে কথা মনে হলে আজও আমার হাসি পায়। লজ্জা পায় ! আসলে তার জন্য সারাক্ষণ আমার মনটা আনচান করতো। দৃষ্টি থাকতো পথে পথে। তার বয়সী কোন মেয়েকে দেখলেই আমার কৌতুহল হতো তাকে আবিস্কার করার।
জয়ন্তী আমাদের গ্রামেরই চৌধুরী পাড়ার এক সাধারন কৃষক পরিবারের মেয়ে।
(চলবে)
১,৫২৬ বার পড়া হয়েছে
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
অভিভূত। অনুভুতির সুন্দর প্রকাশ।
অনেক ধন্যবাদ প্রহেলিকা গল্পটি পড়ার জন্য।
এক সময় যার ছায়া দেখে চিনতে পারতাম। হাঁটা দেখে চিনতে পারতাম। অনেক দূর থেকে গলার আওয়াজ শুনে চিনতে পারতাম। অথচ তাকে আজ কাছে না এলে চিনতে পারি না। নিজের ভিতকার এই অদ্ভুত পরিবর্তন কি করে সম্ভব হলো সেও এক রহস্য। একবার এক প্রতিবেশি মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের সংগে আসা একটি মেয়েকে পিছন থেকে অবিকল জয়ন্তীর মতো বেণী গাঁথা চুল আর বেগুনী রংগের জামা গায়ে দেখে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পিছন থেকে হাত টেনে ধরে কি বোকাই না সেজেছিলাম ! সে কথা মনে হলে আজও আমার হাসি পায়। লজ্জা পায় ! আসলে তার জন্য সারাক্ষণ আমার মনটা আনচান করতো। দৃষ্টি থাকতো পথে পথে। তার বয়সী কোন মেয়েকে দেখলেই আমার কেৌতুহল হতো তাকে আবিস্কার করার।
চমত্কার লাগল লিখা জিয়া ভাই। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ বড় আপু গল্পটি পড়ার জন্য।
ভাল লাগা জানবেন ভাই।চালিয়ে যান।
সুন্দর হয়েছে
খুব সুন্দর উপস্থাপনা, ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।