প্রাকৃতিক উপায়ে কিডনির পাথর দূর করুন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1660বার পড়া হয়েছে।
কিডনিতে পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ঔষধে সেরে যায়, অনেক ক্ষেত্রে পাথর ভেঙে বের করতে হয়, আবার বড় পাথর বা অবস্থা গুরুতর হলে অপারেশনও করতে হয়। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে সেটা অনেকসময় সমাধান করা সম্ভব। তাই আজ সবাইকে জানাতে চাই কিডনিতে পাথর সমস্যা প্রতিকারের জন্য সত্যিকার ভাবে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ একটি রাশিয়ান ভেষজ রেসিপি। এই রেসিপিটি কিডনিকে পরিষ্কারে সাহায্য করে, মিউকাস নিঃসরণে এবং বালি ও ছোট ছোট পাথর বের করে দিতে সাহায্য করবে মাত্র ১০-১৫ দিনে।
Millet বা “বাজরা” হচ্ছে একপ্রকার সাশ্রয়ী খাদ্যশস্য যা কিডনিতে থাকা পাথর অপসারণের চিকিৎসায় এর ভূমিকা অসামান্য। অনেকেই হয়তো একে চেনেন না, অনেকে আবার পাখির খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করেন। এই বাজরা দিয়ে রুটিও তৈরি করা যায়। অনেকেই দাবি করে যে এই বাজরা কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
গ্রাম্য ঔষধে এই বাজরা urolithiasis রোগের (প্রস্রাবের সাথে পাথর বের হয়ে ইউরিনারী সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি করে যে রোগে) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটা কার্যকরী ভাবে কিডনিকে পরিস্কার করে, বালি ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, কিডনি ও মুত্রাশয়ের ছোট ছোট পাথর বের করে দেয় এবং মহিলাদের cystitis রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এছাড়া এই জোয়ার হচ্ছে উচ্চ পুষ্টিমান ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন এক বিশেষ ধরনের খাদ্যশস্য।
কিডনিতে থাকা পাথর দূরীকরণের পদ্ধতি
২০০ গ্রাম (১ কাপ) বাজরা নিয়ে কুসুম গরম পানিতে খুব ভালো ভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। এটা করতে হবে রাতের বেলা তাহলে ভালভাবে ভিজবে। তারপর সেই ভেজানো বাজরাগুলো ৩ লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাত্রে নিয়ে এর ২/৩ অংশে ফুটন্ত গরম পানি দিতে হবে এবং পাত্রটির মুখ খুব ভালো ভাবে বন্ধ করে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে পাত্রটিতে একধরনের সাদা ঘোলাটে তরল পাওয়া যাবে। এটাই হচ্ছে সেই কাঙ্খিত ঔষধ। এখন এই পানিটি অন্য একটি পাত্র বা বোতলে নিয়ে নিন এবং সারাদিন যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণে পান করুন কোন বাধা নিষেধ ছাড়াই।
আর বাজরা গুলো ফেলে না দিয়ে পরিজ রান্না করে সকালের সকালের স্বাস্থ্য সম্মত নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। এক কাপ বাজরার সাথে ৩ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ফুটালেই তৈরি হয়ে যাবে সকালের নাস্তা। প্রতিদিন রাতে আবার পরবর্তী দিনের জন্য নতুন করে বাজরার পানি তৈরি করে রাখুন একই প্রক্রিয়াতে। এভাবে প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে ১০-১৫ দিন নিয়মিত এই পানীয়টি খেতে হবে। এই ১০-১৫ দিনের মাঝে কিডনি পরিস্কারের পাশাপাশি এতে থাকা পাথর নরম হয়ে গলে প্রসাবের সাথে বেড়িয়ে যাবে। তখন কিডনিতে থাকা বালি, মিউকাস বা পাথরই বলেন সব দূর হয়ে তখন তা ইতিহাস হয়ে যাবে। ফোলা কমে গিয়ে কিডনী ও মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলো সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিয়ে আসবে।
এই খাদ্যশস্যটি প্রতেকের জন্য প্রযোজ্য, সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য এবং এটি যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা হয় তবে তা অবশ্যই কিডনির জন্য স্বাস্থ্যকর হবে। যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ প্রয়োজন বিশেষ করে শরীরের সম্ভাব্য রোগ এড়ানোর জন্য এবং প্রাকৃতিক উপায়ে একে পরিষ্কার রাখার জন্য।
এছাড়া লেবু এবং জলপাই তেলের মিশ্রণ তৈরি করে খেলে তা পিত্তথলি এবং কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্রঃ http://www.newsevent24.com/detail/event/19240#sthash.zZAMb2NW.dpuf
১,৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
অত্যন্ত উপকারী পোস্ট
এইসব পোস্ট স্টিকি না করে যত্তসব হাবিজাবি পোস্ট স্টিকি করা হয় বিষয়টি খুব পীড়া দেয়…
তাছাড়া। মান সম্মত পোস্ট রেখে নিম্নমানের পোস্ট প্রথম পাতা হতে সরিয়ে নিয়ে স্টিকি করা হয়। এসব কেন করা হচ্ছে বোধগম্য হচ্ছে না….
চলন্তিকার প্রতি মহব্বত কমে যাচ্ছে।।।।।
কর্তৃপক্ষ কি চলন্তিকার পোস্ট কি পড়ে স্টিকি করেন
বুঝতেছি না।
একেবারেই মনের কথাটি বলেছেন কবি। বিষয়টা বেশ পীড়াদায়কই বটে।
এ পাতার অনেক কিছুই মান সম্মত নয় বরং বলা যায় – খেলো।
পাতার স্টিকি পোস্টগুলোও তারই একটা নজির মাত্র। এছাড়াও লেখার মান
এবং মন্তব্যের হাস্যকর প্রতিযোগীতা তো রয়েছেই। এমন সব অসঙ্গতির বিষয়ে
একাধিকবার মাননীয় এডমিনের নজর কেড়েছি – যদিও আমায় আশ্বস্থ করা
হয়েছিল যে, পরে সময় সুযোগ মত পরামর্শ করবেন এবং উন্নয়নের চেষ্টা করবেন।
তা গত ক’মাসেও আর হয় নি। সুতরাং, এখানে ভাল লেখা বা সুন্দর কিছু আশা
করা যায় না। ধন্যবাদ ও শুভ সন্ধ্যা।
কর্তৃপক্ষ যা করেন হয়তো ব্লগের নীতি-পলিসি মোতাবেকই করেন বা করবেন।
বস্তুত আমার কিছু প্রার্থনা ছিল যেন সাইটের সামগ্রীক মান বাড়ানো সহ আঙ্গিক সৌষ্ঠব ও ভাল
লেখক/লেখার বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়। সত্যি বলতে কি সাইটে কয়েকশ’ নিবন্ধিত লেখক
থাকলেও ভাল লেখক বা লেখার সংখ্যা এত কম যে আঙ্গুলে গোনা যায়। ভাল লেখক বা লেখার
মানের বিষয়ে উদ্যোগী না হয়ে যদি লেখকদের হাস্যকর মন্তব্যের প্রতিযোগীতায় ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে
সাইটে কোন কালেই ভাল লেখক বা লেখা আসবে না। সাইটির ভাল লেখক তৈরীর কোন উদ্যোগ আছে
তেমন কোন লক্ষণ দেখি না। অন্য সাইটে লেখি একটা বিশেষ দায়বদ্ধতা ও সচেতন থেকে কিন্তু এখানে
লিখতে তেমন কিছু না ভাবলেও চলে। তেমন পরিশ্রমও করতে হয় না। এভাবে কতদিন চলব জানি না
তবে – পয়েন্ট প্রাপ্তীর ‘মূলা’ ছাড়া এখানে অর্জনের আর কিছু দেখছি না।
অত্যন্ত উপকারী পোস্ট
ধন্যবাদ ও শুভ সন্ধ্যা জানাই কবিকে।
সুন্দর উপকারী পোষ্ট
বেশ ভালো লাগলো কবি
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভ সন্ধ্যা কবি।
খুব সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী পোস্ট ।
আর পোস্ট স্টিকি করা নিয়ে আমিও এই মেঘ এই রোদ্দুর আপু এবং আপনার সাথে একমত । কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হিয়ে উঠছে না ! কর্তৃপক্ষ আশা করি বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবেন ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কবিকে।
কর্তৃপক্ষ যা করেন হয়তো ব্লগের নীতি-পলিসি মোতাবেকই করেন বা করবেন।
বস্তুত আমার কিছু প্রার্থনা ছিল যেন সাইটের সামগ্রীক মান বাড়ানো সহ আঙ্গিক সৌষ্ঠব ও ভাল
লেখক/লেখার বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়। সত্যি বলতে কি সাইটে কয়েকশ’ নিবন্ধিত লেখক
থাকলেও ভাল লেখক বা লেখার সংখ্যা এত কম যে আঙ্গুলে গোনা যায়। ভাল লেখক বা লেখার
মানের বিষয়ে উদ্যোগী না হয়ে যদি লেখকদের হাস্যকর মন্তব্যের প্রতিযোগীতায় ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে
সাইটে কোন কালেই ভাল লেখক বা লেখা আসবে না। সাইটির ভাল লেখক তৈরীর কোন উদ্যোগ আছে
তেমন কোন লক্ষণ দেখি না। অন্য সাইটে লেখি একটা বিশেষ দায়বদ্ধতা ও সচেতন থেকে কিন্তু এখানে
লিখতে তেমন কিছু না ভাবলেও চলে। তেমন পরিশ্রমও করতে হয় না। এভাবে কতদিন চলব জানি না
তবে – পয়েন্ট প্রাপ্তীর ‘মূলা’ ছাড়া এখানে অর্জনের আর কিছু দেখছি না।