প্রাণের প্রিয়তমা(র্পব-৯)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1302বার পড়া হয়েছে।
(পূর্বে প্রকাশের পর)
সবোর্চ্চ মার্ক পেয়ে সাকিব বি.এসসি পাশ করল। কিছুক্ষণ পূর্বে রেজাল্ট বের হয়। রেজাল্ট পেয়ে সাকিব সোনিয়ার জন্য মিষ্টি নিয়ে আসে। সোনিয়াও রেজাল্টের খরব পেয়ে দ্রুত তার বাসায় চলে আসে।
পাশাপাশি নয়- সামনাসামনি দু’জনে বসে। সাকিব একটা মিষ্টি হাতে নিয়ে বলল, হা কর।
সোনিয়া সাকিবের এই সাফল্যে খুবই গর্বিত। তাই কোন দ্বিধা না করে মিষ্টি খাওয়ার লোভে হা করল। সোনিয়া মনে মনে দাঁতে ঠোঁট কেটে একটা মতলব এঁটে নিল।
সাকিব মিষ্টিটি তার মুখে দিচ্ছে এমন সময় সে মিষ্টিতে কামড় না দিয়ে সাকিবের আঙ্গুলে বসিয়ে দেয় একটা ভালবাসার কামড়।
উহু! বলে সাকিব হেচকা টান দিয়ে হাতটি সরিয়ে নেয়।
সোনিয়া হেসে বলল, ব্যথা পেয়েছ বুঝি?
নাহ্।
তারপর সাকিব নিজেও কয়েকটি মিষ্টি খেল আর সোনিয়াও নিজ হাতে তাকে খাইয়ে দেয়।
সাকিব কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর সোনিয়ার মোলায়েম হাত খানা চেপে ধরে বলল, আচ্ছা সোনিয়া আমাদের প্রেম কি তোমার বাবা জানে?
সোনিয়া বলল, না।
ওনাকে জানানো প্রয়োজন না?
না।
কেন?
কেন এর উত্তর দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে এতটুকু জেনে রাখ আমার বাবা লোকটা খুবই খারাপ। তোমার আমার প্রেম কখনো মেনে নিবেন না। বরং তোমাকে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। তাছাড়া তিনি একজন চরিত্রহীন।
সোনিয়ার মুখে তার বাবা সম্পর্কে শুনে তার গা ছম ছম করতে লাগল। ভয়ে সে বলল, তাহলে এখন উপায়।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তোমাকে কখনো আমার বাবার সামনে যেতে হবে না। আমি চাই না তুমি আমার চরিত্রহীন বাবাকে দেখ।
তাহলে কীভাবে কি করব?
কোট ম্যারেজ করব।
এটা কি ঠিক হবে?
ঠিক বেঠিক পড়ে বুঝব। একথা বলেই আবার বলল, সাকিব, কিভাবে আমি এই চরিত্রহীন বাবার সংসারে দিন রাত কাটাচ্ছি তা কি তুমি জান? তুমি তাড়াতাড়ি আমাকে এ আজাব থেকে রক্ষা কর।
ধৈর্য্য ধর। পাশতো করলাম। এখন একটা চাকরী হলেই তোমাকে বিয়ে করবো।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই সোনিয়া চলে গেল।
কিছুদিনের মধ্যেই সাকিবের একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী হয়ে গেল।
চলবে…
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-১)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-২)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৩)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৪)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৫)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৬)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৭)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৮)পড়ুন।
১,৪১৭ বার পড়া হয়েছে
ভাল লাগল।
ধন্যবাদ
ভাল লাগল।
কাউছার ভাই একই মন্তব্য বার বার করছেন বলে মনে হচ্ছে।
ভাল লাগল। চালিয়ে যান অবিরত . . . .
ভাল লাগল। চালিয়ে যান… এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।
কেউ কেউ পয়েন্টের জন্য মন্তব্য করে, আবার কেউ পড়ে ও বুঝে মন্তব্য করে….আমার মনে হয় শুধু পয়েন্টের জন্য মন্তব্য না করে আমাদের সবার উচিত পড়ে বুঝে শোনে গঠনমূলক মন্তব্য করা,, ধন্যবাদ
এ হুসাইন মিন্টু ভাই একমত।