ফ্যাশনে ব্রোচ
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1095বার পড়া হয়েছে।
পিন লুকোনোর দিন শেষ। কাপড়ের ভাঁজে, আঁচল উল্টে কত কসরত করেই না ঢেকেঢুকে পিন লাগানোর চেষ্টা চলে। আহা, কারও চোখ যেন বুঝতে না পারে যে একটা বিদঘুটে পিন কাপড়ে আটকানো। নাহ্! আর লুকোচুরির কিছু নেই। কারণ, কাপড়ে লাগানোর জন্য এখন পাওয়া যায় চমৎকার নকশা করা ব্রোচ। এটি লাগানোয় কাপড়ে যেমন পিন করা হয়, তেমনি অলংকার হিসেবেও বেশ মানিয়ে যায়। আর তাই ব্রোচের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেকেই শাড়ি বা ওড়নার আঁচলটা একটু গুছিয়ে ভাঁজ করে গ্রীবার কাছে আটকে নিচ্ছেন ফ্যাশনেবল ব্রোচ। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শুধু অলংকার হিসেবেই কাপড়ের সঙ্গে ব্রোচ লাগাচ্ছেন।
রোজকার ব্যবহারের জন্য ছোটখাটো ব্রোচ হলেই চলে, কিন্তু পার্টি বা বিশেষ কোনো দাওয়াতে গেলে তখন তো জাঁকজমক বড়সড় ব্রোচ না হলেই নয়। তবে কাপড়ে ব্রোচ লাগানোর ক্ষেত্রে কাপড়ের রং, পোশাকের ধরন ও কোথায় যাচ্ছেন—সেসব বিষয় একটু ভেবে নেওয়া ভালো। মানানসই ব্রোচ শুধু যে আপনার সাজকে আরও আকর্ষণীয় করবে তা-ই নয়, একই সঙ্গে এটি আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটাবে। ব্রোচের ব্যবহার কবে, কখন, কোথায়, কীভাবে শুরু হয়েছে, তা নিশ্চিত করে জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয়, ব্রোঞ্জযুগে মধ্য ইউরোপে প্রথম এর প্রচলন হয়। সময়ের সঙ্গে এর আকার, আকৃতি ও ধরনেও নানা পরিবর্তন এসেছে। দেশভেদেও ব্রোচের ডিজাইনে পার্থক্য দেখা যায়। ইতিহাস থাক, বরং বর্তমানে কোথায় কোথায় আপনি ব্রোচ পাবেন, সে প্রসঙ্গে যাই।
বেশির ভাগ গয়নার দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নানা ধাঁচের ব্রোচ। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, নাভানা বেইলি স্টার, আলমাস সুপার স্টোর, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিসহ বিভিন্ন শপিংমলে ব্রোচ পাওয়া যায়। সচরাচর সোনা, রুপা, ব্রোঞ্জ ও বিভিন্ন ধাতু দিয়ে ব্রোচ তৈরি হয়। কোনো কোনোটায় নানা ধরনের পাথর ও মুক্তা ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু ব্রোচ আছে শুধু মিনা বা এনামেল করানো। এমন কিছু ব্রোচও আছে, যেখানে দুটি ব্রোচ চেইন দিয়ে একত্রে আটকানো থাকে। কাপড়ে ব্যবহারের পর দুটি ব্রোচের মধ্যখানে সুন্দরভাবে চেইনটি ঝুলে থাকে। কখনো আবার একটি ব্রোচেই ছোট একটি চেইন লাগানো থাকে পারে। কত হরেক রকম যে নকশা আছে! কোনোটি ফুলের মতো, কোনোটি প্রজাপতি, লতাপাতা, পাখি, ময়ূর, চাবি, জ্যামিতিক নকশায় রূপ দেওয়া। বিভিন্ন দোকানের বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বেশির ভাগ ব্রোচই সংগ্রহ করা হয় চীন, কোরিয়া ও ভারত থেকে। তবে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কিছু আছে। তাঁরা জানান, কোরিয়ার ব্রোচগুলোই সবচেয়ে টেকসই ও আকর্ষণীয় হয়। তাই এর দামও কিছুটা বেশি। যেকোনো ব্রোচের দাম অবশ্য নির্ভর করে ব্রোচের আকার ও নকশার ওপর। বড় আকারের মূল্যবান পাথর বসানো একটি ব্রোচের দাম হাজারের ওপর তো হবেই। চীন ও ভারতের ব্রোচের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। আলমাস সুপার স্টোরে ব্রোচের সর্বনিম্ন দাম ২০০ টাকা। সেলিব্রেশনে বিক্রি করা সব ব্রোচই দেখা গেল কোরিয়ায় তৈরি, যার দাম ৪০০ থেকে ৮৭০ টাকার মধ্যে। ভারতীয় ব্রোচের নকশা চীন ও কোরিয়ার নকশার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। আবার কেউ যদি নিজের নকশায় ব্রোচ বানাতে চান সেটিও সম্ভব।
১,০৮৪ বার পড়া হয়েছে
বেশ সুন্দর করে বলেছেন।
শুভেচ্ছা রইল।
ব্রোচ এখন সিব জায়গাতেই পাওয়া যায় সমস্যা এক্টাই পাথর পড়ে যায়।
ভাল লাগল লেখা
আপনার সুন্দর ভাবনার প্রয়াস
ভাল লাগলো পড়ে দেখে
শুভ কামনা
ফ্যাশন ভাবনা আর তার সুন্দর বর্ণনা ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।