বই রিভিউ- পাতকিনী
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1248বার পড়া হয়েছে।
বই রিভিউ—পাতকিনী
******************
>বইঃ পাতকিনী
>মাসুদ রানাঃ ৪৩৮
>লেখকঃ কাজি আনোয়ার হোসেন
ঘটনার শুরু গুয়েত মালার এক খ্রিস্টান ধর্ম যাজক ও স্থানীয় মায়ান ইন্ডিয়ান দের লিখিত বই নিয়ে। বই বলতে বুনো ডুমুরের গাছের ভিতরের দিকের বাকল পাতলা করে সাদা রং করে তার উপর স্থানীয় গাছ হতে প্রাপ্ত রং দিয়ে আকা চিহ্ন, নকশা, ছবি। এই বই গুলি হতে অনুবাদের মাধ্যমে মায়াদের শত শত বছরের সঞ্চিত ঙ্গান—(কোনটা গণিতের, কোনটা নক্ষত্র বিষয়ে , কোনটা বা হারিয়ে যাওয়া কোন শহরের, বিলুপ্ত ভাষা বা রাজাদের অমর কীর্তি ) স্পেনের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রেখে যেতে চান খ্রিস্টান ধর্ম যাজক ফ্রায়ার বার্তওলোমে দে লাস কাসাস। কিন্তু গভর্নর মাল্ডোনাডো তার সঙ্গে করা শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে স্থানীয় মায়ান ইন্ডিয়ান পূর্বপুরুষের চিহ্ন, আঁকা ছবি, বই গুলিকে শয়তানের প্রতীক বলে সব জালিয়ে দিতে এক কমান্ডো বাহিনী পাঠায়।
২৩শে জানুয়ারি ১৫৩৭ খ্রিঃ চার্চের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে স্থানীয় মায়ান ইন্ডিয়ান পূর্বপুরুষের চিহ্ন, আঁকা ছবি, বই গুলিকে পোড়ানো হচ্ছিল তখন সবার অলক্ষ্যে সেখানকার সর্দারের ছেলের সহায়তায় খ্রিস্টান ধর্ম যাজকের কাছে থাকা অনুবাদের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ একটি বই অজানা স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই অতি সম্প্রতি মেক্সিকো সাগরে প্রমোদ তরী নিয়ে ছুটি কাটানোর ফাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা বারবার ইউনিভার্সিটির মেরিন বায়োলজির একদল বিঞানির অনুরোধে সাগরে শ্বেতহাঙ্গর এর গায়ে ট্যাগ লাগানোর এক কাজ করছে রানা ও সোহানা।আর কাছের মেক্সিকোর এক দুর্গম এলাকায় ভূমিকম্পের খবর পেয়ে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ওরা।
আর সেই এলাকায় খোঁজ পেল মায়ান রাজপুরুষের মমি। সঙ্গে এক বিচিত্র বই। সেই বই এর কোড ভাঙ্গতেই রানারা পেয়েগেল মায়ান এক গুপ্তধনের সন্ধান। কিন্তু ঘটনা জানা জানি হয়েজেতেই ওদের পিছে লাগল ব্রিটিশ এক কালনাগিনী। চক্রে পড়ে হাত ছাড়া হয়ে গেল বইটি।
আর এই নিয়েই সামনের ঘটনাবহুল কাহিনী।
কে উদ্ধার করবে সেই গুপ্তধন রানা না তার শত্রু পক্ষ????
>> জানতে হলে পড়তে হবে রানা-৪৩৮—পাতকিনী—কাজি আনোয়ার হোসেন।
১,২২৫ বার পড়া হয়েছে
এটি কি ই-বই মানে পিডিএফ পাওয়া যাবে ?