বাড়ির মালিক নেই!
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1511বার পড়া হয়েছে।
বাড়ির মালিক নেই। কারণ ওখানে এখন ইলেকট্রিসিটি নেই।থাকলেও বড্ড লোড শেডিং চলেছে। টেকনিক্যাল লোড শেডিং!ওঝা দিয়েও কাজ হবে না। ভূত গুলো নাকি বড় ভয়ঙ্করী। শুধু ছবিই উল্টে পাল্টে দেয়নি। কমেন্টস গুলো দিব্বি খেয়ে ফেলছে।কড়মর করে চিবাচ্ছে।প্লীজ কেউ ভুতের গল্প লেখবেন না।
এখনো কোনো সুবাতাস নেই। অপেক্ষায় নাকি থাকতে হবে।আর কত দিন? তাও জানা নেই।কি করব বলুন? এদিক ওদিক আড্ডা দিয়ে ঘোরাফেরায় দিন কাটাচ্ছি। খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুমাচ্ছি। মধ্য রাত পর্যন্ত অন্য ব্লগে বসে থাকছি।মনে তো হয় কেউ ভালো নেই। কারো ১০৪ ডিগ্রী জ্বর।কেউ বা হতাশ।আর মাই তো চরম হতাশ।আর বাড়ির মালিক? পূর্ণিমা রাত্রে জোনাকি খুঁজছে।
জোনাকিতে আলো আছে। বাড়িওয়ালা ভালো আছে। কিন্তু আমাদের প্রাণে চঞ্চলতা নেই। আড্ডা নেই।গল্প নেই।আছে শুধু রাশি রাশি কাব্য।প্রেমের কাব্য। বিরহের কাব্য।আর ঐদিকে ভাবুক কবিদের দেখছি লাজুক স্বভাব।প্রেম প্রেম লাজুক ভাব।কেউবা নিরেট প্রেমিক। কেউ বা ব্যর্থ প্রেমিক।কোত্থেকে পায় এত শব্দ ভান্ডার? লিখে ফেলে ছন্দে ছন্দে কবিতা। কখনো ছড়া। ওদের কত গুণ! নির্মলেন্দু গুণের আর কত গুণ? ওরা এক একজন নির্মলেন্দু গুণের উত্তরসুরী।আমি ভাবুক নই। তাই ভাবিও না।ধন্যবাদ সব কবিকে।
রাজীব সরকার, আমির হোসেন, মাহবুব,মালেক মোজাদ্দার, এম এ কাশেম, চারু মান্নান,তাপস কিরণ রায়, আব্দুর রহমান, মৌনী রোম্মান, সাঈদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান,সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্, মনিরুল হাসান আরো কত নাম।
সবাই চমত্কার লিখছে।সবাই কে ধন্যবাদ। কমেন্টস তো আর করতে পারছিনা।তাই এই সুযোগে যা পারলাম। কি আর করা।বলুন, ভুতে নাকি কমেন্টস গুলো খয়ে ফেলছে। দেখা যাক বাড়িওয়ালা ভূত তাড়ায় কিনা।
আর ওই দিকে পল্লী কবি ‘জসীম’ ভাই তো আছেনই। ‘এই মেঘ এই রোদ্দুর’ নামটি যেন একটি কাব্য। আর ওই যে আমাদের ‘নিঃশব্দ নাগরিক’ ভাই।তিনিও থেমে নেই। যে নাগরিকের এত স্পষ্ট উচ্চারণ, তির্যক কণ্ঠস্বর,যার শব্দমালায় সশব্দ ঝংকার, সে কিনা নিঃশব্দ!! যার কাব্যে প্রেমিকার সশব্দ চুম্বনের স্পষ্ট আওয়াজ, প্রেমিকা দিশেহারা, সে কিনা নিঃশব্দ!!! ভুল …. সবই ভুল।আসলে আমাদের নাগরিক ভাই একটা নিঃশব্দ বোমার সশব্দ বিস্ফোরণ। কি বলেন সবাই??
আর যার কথা না বল্লেই নয়।তিনি তো আকাশের চাঁদ। নামেই তার পরিচয়।তিনি মুন।ফুল মুন। যেন একটি পরিপূর্ণ চাঁদ। যেন পূর্নিমা রাত্রের এক খন্ড হীরা। তিনি আরজু মুন। একজন গল্পকার।গল্পের রূপকার। গল্পের সব শাখায় যার পদচারণা।রূপকথার গল্প, পিশাস কাহিনী, বিজ্ঞান কল্প কাহিনী, ভুতের গল্প, গোয়ান্দা গল্প, অলৌকিক গল্প কোথায় নেই তিনি। আর কবিতা ও উপন্যাস তো আছেই। ঐদিকে চলন্তিকার সেরা প্রদায়ক।
তিনি বোধ হয় বড্ড নিরহংকারী। প্রাণবন্ত। চলন্তিকার সবাইকে মাতিয়ে রাখে। আমি বাড়িয়ে বলছি কি? মনে হয় না।
শেষ করছি আরজু মুনকে ধন্যবাদ দিয়ে। আর আমরা বাড়ির মালিককে দ্রুত খুঁজে বের করতে চাই।আমরা সবাই তো আছি। মুন বলছে বাড়িওয়ালা নেই।ঘরে তালা দিয়ে নিরুদ্দেশ! হায় হায় আমাদের হবেটা কি? আর কত অপেক্ষা করব? আর পারছিনা যে!
১,৫২১ বার পড়া হয়েছে
অনেক ভাল লাগল।
অনেক পুরানো লেখায় মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগলো । আসলে তখন চলন্তিকায় সময়টা এমনি ছিল। চমত্কার আড্ডা হত। মাস কয়েক ধরে চলন্তিকা প্রায় ডুবতে বসেছিল। সেই থেকেই এই পোস্টিং । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
বছর পুরান লেখাটা পড়লাম। ভাল লাগল বেশ।
শুভেচ্ছা জানবেন কবি।
kobbo ta pore moughtha holam darun moughtha valo laglo anek
ঠিক কথা