বৃদ্ধাশ্রম থেকে পাঠানো এক মায়ের চিঠি
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1975বার পড়া হয়েছে।
খোকা তুই কেমন আছিস ?বউমা আর আমাদের ছোটো দাদুভাই সবাই ভালো আছে তো?জানি ,তোদের তিন জনের ছোটো সংসারে প্রত্যেকেরই খুব কাজ ;তবুও তোদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ : একদিন একটু সময় করে এই বুড়িটাকে দেখতে আয় না !কিরে , আসবি না ?
ওঃ বুঝতে পেরেছি !এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায় নি বুঝি !জানি শেষ দিনটাতে একটু বেশি রকমেরই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম ; তাছাড়া আর কিইবা আমি করব বল :সময় মতো ওরা এসে আমার জিনিসপত্র সব জোর করে ওদের গাড়িতে উঠিয়ে নিল, তারপর বারবার তাগদা দিতে লাগল ।কিন্তু আমি তবুও তোর আসবার অপেক্ষায় বুক বেঁধে ছিলাম ।আমি তোকে জন্ম দিয়েছি ;জল-আগুন-অসুখ থেকে তোকে এতগুলো বছর বাঁচিয়ে রেখেছি।তাই যাবার আগে আমাকে কি তুইনা দেখে থাকতে পারবি? কিন্তু তুই এলি না !
আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন;তাছাড়া তার তো রাগবারই কথা!
আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো; অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিল…
তা দেখবার জন্য পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ উঁকি দিতে লাগল ।
সেদিন তোদেরকে যে অপমান করে এসেছি :তোরা সেসব ভুলে যাস কেমন করে !আমার কথা ভাবিস না ।আমি খুব ভালো আছি !আর কেনই-বা ভাল থাকবনা বল ?তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্ধবস্ত করে দিয়েছিস ।আর যেদিন থেকে আমি বুঝতে পেরে গেছি : আমাকে এখানে পাঠিয়ে তোরা বেঁচে গেছিস ;ভুল করেও ,সাত জন্ম আর এ পথ মারাবিনা ;
সেদিন থেকে আরো ভালো আছি।তবে একটা কথা :আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে ;তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না ।তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক ।
আমি তো মা :তোর জন্য কত সয়েছি ! এরপরেও সয়ে যাবো ॥
ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
২,১৮৬ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
হতভাগা সে-ই যে মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়।
ভাল লেগেছে আন্তরিক কথনের চিঠিখানি।
অন্যরকম একটি চিঠি পড়লাম। মায়ের আকুতি শুনে মন কেঁদে উঠল।
বৃদ্ধাশ্রম,কিছুতেই কোনো বাবা মা-র কাম্য বা প্রত্যাশিত শেষ আশ্রয় হতে পারে ন। তবুও আপনজনদেরক ছেড়ে অনেক হতভাগা বাবা মা-কে বাধ্য হয়ে সেখানে যেতে হচ্ছে। পৃথিবীটা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে, মানুষ যে কীভাবে এত নিকৃষ্ট আচরণ করতে পারে নিজ জন্মদাতা ও বাবা মা-র সঙ্গে!
মিন্টু ভাই সহমত।
নিকৃষ্ট আচরণ জন্মদাতা ও বাবা মা-র সঙ্গে!
বেদনাদায়ক
তবে একটা কথা :আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে ;তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না ।তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক ।হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
খুব মন খারাপ হয়ে গেল এই করুন চিঠি টি পড়ে । আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে নিষ্ঠুর মনে করি এই বৃদ্ধাশ্রম, কেন একটা সমাজে বৃদ্ধাশ্রম,থাকবে আশ্রয় হতে পারে অসহায় সেই বৃদ্ধ এর জন্য যার কোনো সন্তান নাই অথবা নাই কোনো আশ্রয় তার জন্য। আমার মনে রাখতে হবে বৃদ্ধা মা বাবা কি চায় একটু যত্ন একটু খেয়াল। তখন তার অবস্থা হয়ে পড়ে অসহায় শিশুর মত। সে খেতে ভুলে যাবে চুল আচড়াতে ভুলে যাবে যেটা একজন কাছের একজন মানুষ ভালোবাসা য় করে দিতে পারে বা করা উচিত।তিনি জি কোনো কটুবাক্য বলেন বা রাগ করেন তা কিন্তু ভালোবেসে করেন বা এটা হতে পারে বয়সের ভারে তিনি একটু অবুয হয়ে পড়েন। সেটা অবশ্যই ক্ষমা র চোখে নিতে হবে যেমন একসময় আমরা ছিলাম তার কাছে অসহায় শিশু জীবন যাপন চলা ফেরা সবকিছুর জন্য তাএর কাছে নির্ভর হয়ে থাকতাম। আজকে মনে করতে এই আপনার অসহায় বৃদ্ধা মা বাবা সন্তান হয়ে ফিরে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে।এটা ভুলে গেলে চলবেনা আবার আমরা নিজেরা হব অসহায় বৃদ্ধা প্রকৃতির নিয়মে
অনেক ঘরের এমনি কথা–মন ব্যথায় ভরে ওঠে।
বৃদ্ধাশ্রমের আমি বিরুদ্ধে ।
“আমি তো মা :তোর জন্য কত সয়েছি ! এরপরেও সয়ে যাবো”
হৃদয় ছোঁয়া লেখাটা পড়ে মনটা কেমন হয়ে উঠে। বৃদ্ধাশ্রমের সকল প্রবীন মা-বাবার প্রতি সহানুভুতি, শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও শুভকামনা –
আহ কি কষ্ট লাগে এসব পড়লে
ভাল্লাগে না