মন্টির ভূত দেখা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1259বার পড়া হয়েছে।
দশ বছরের ছেলে মন্টি। বায়না ধরে বসে আছে, ভূত দেখাতে হবে। একটামাত্র ছেলে। যা চেয়েছে তা এবং যা চায়নি তাও পেয়ে তার অভ্যেস। সুতরাং ভূত দেখতে চাওয়াটা তার জন্য অন্যায় আবদার না। তবে হঠাৎ করে সে কেন যে এমন একটা ভয়ানক আবদার করে বসল এ নিয়ে সবার চিন্তারর শেষ নেই। এদিকে মন্টির শ্লোগান ”এক কথা এক দাবী-ভূত দেখাতে কবে যাবি।”
তার পিতা-মাতা তার কোনো আবদারই অপূর্ণ রাখে নি। সে যখন যা চেয়েছে তাই এনে দিয়েছে। কিন্তু এবারকার আবদারটা এতই বেতাল ধরনের যে, ইচছা করলেই দাবীটা মেটানো যায় না। অতএব মা বাবা উভয়েই একটা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। শত হোক সন্তানের আবদার!
মন্টির আর তর সয় না। উঠতে-বসতে তার তূত দেখার বায়না। ভূত না দেখা পর্যন্ত সে শান্তি পাচ্ছে না। ভূত দেখাতেই হবে তাকে।
মন্টির মা-বাবা দুজনে এখানে-সেখানে ফিসফাস করে শলাপরামর্শ করে। কিন্তু কোনো কিনারা খুঁজে পায় না। ভূতের নাম শুনলে যেখানে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়, কলজে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, সারা গতর থত্থর করে কাঁপে সেখানে ছেলেকে কীভাবে ভূত দেখানো যায় এ নিয়ে মেলা টেনশন ওদের। একটামাত্র আদরের ধন, তার ইচ্ছা অপূর্ণইবা রাখে কী করে?
এদিকে ভূত দেখার বায়না ধরে মন্টি গাল ফুলিয়ে পাল বানিয়ে বসে আছে। খাওয়া-দাওয়া, পড়া-লেখায় মন বসছে না মোটেও। শত যুক্তি-তর্ক করে বহুভাবে ভয় দেখিয়েও তাকে বিরত করা যায়নি। ভূত দেখবেই সে। নানা ভঙ্গিতে ভয় দেখিয়ে কাজের কাজ কিছুই হলো না বরং তার ভূত দেখার আগ্রহটা আরো বেড়ে গেল। মন্টির সাহস দেখে সবাই অবাক! দশ বছরের ছেলে!
অন্ধকার রাত। মন্টির বাবা মন্টিকে বলল, ”তাড়াতাড়ি রেডি হও, এুণি ভূত দেখতে যাব।” মন্টি আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলল, বাবা, ”কী পরে যেতে হবে? সাথে কী কী নিতে হব%E
১,৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
হুম………এমন করেই গপ্পবাজদের কল্যাণে ভূত মামা আমাদের মনে স্থায়ী বসত গড়েছে।ধন্যবাদ গপ্পবাজ লেখক।
ভুতের গল্প দারুন হয়েছে।