Today 31 May 2023
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

মুখ ও দাঁতের যত্ন নেবেন কিভাবে(মা ও শিশুদের জন্য উপদেশ)

লিখেছেন: নাসরিন খান রেশমা | তারিখ: ২৬/০৫/২০১৫

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1543বার পড়া হয়েছে।

 

1

০মায়ের দুধ শিশুদের শরীর ও দাঁতের আদর্শ খাদ্য । যে সব মা শিশুদেরকে ফিডার দিয়ে দুধপান করান, তারা একই নিপল দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না । ঘুমের মধ্যে শিশুদেরকে কোনো ক্রমেই ফিডার দেবেন না; দিলে দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হবে । দেড় থেকে দুই বছরের শিশুদের কেফিডার ছাড়িয়ে পেয়ালায় দুধ পান করার অভ্যাস করান।

০সময়মতো আপনার ছেলে-মেয়েদের দুধের দাঁত ফেলে দেবেন । নচেত স্থায়ী দাঁত বাঁকা-ত্যাড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

০শিশু-কিশোর-কিশোরী যদি কোনো কারণে আঙুল চোষার অভ্যস্থ হয় সে ক্ষেত্রে ওই অভ্যাস রোধ করতে হবে । অপরাগতায় ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন । নতুবা দাঁত আঁকা-বাঁকা, উঁচুনিচু ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে । এছাড়া মুখের ও চোয়ালের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত ও বেমানান হতে পারে এবং মুখশ্রীর গঠন ব্যাহত হতে পারে।

০আঁশালো ও শক্ত খাদ্য যেমন-গাজর, পেঁয়ারা, আমড়া, আখ, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাঢ়ি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। উপরন- চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে সহায়তা করে।

০লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন থাকে । ভিটামিন সি দাঁতের ও মাড়ির জন্য উপকারী।

০গর্ভকালীন মায়েরা টেট্রা সাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ এটি শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে।শিশু জন্মানোর পরে ও শিশুকে ওই জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ১২ বছর পর্যন্ত দেবেন না । কারণ এতে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হবে।

 

প্রতিরোধ: দাঁত নষ্ট হয় শুধু আমাদের বদ অভ্যাস এবং অনিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার কারণে । তবে একথা সত্য যে, সবারই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সমান থাকে না । যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন করেন ও দাঁত নিয়মিত পরীক্ষা করান তারাই ভাগ্যবান । বছরে অন্তত: দু’বার একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো ভালো । কারণ দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা (ফিলিং)  করিয়ে দীর্ঘদিন দাঁতটি বাঁচানো সম্ভব । তেমনি মাঢ়ির রোগ (দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া)  ও প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে স্কেলিং করালে দাঁত নড়ে না বা ফেলে দিতে হয় না।যাদের দাঁত ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের মনে রাখা উচিত দেহের কোনো অংশের যত্ন নেয়ার দরকার বা  প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না।অস্বাভাবিক দাঁতকে যেভাবেই হোক চিকিৎসা করিয়ে টিকিয়েরা খাই শ্রেয়। আজকাল চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে দন- চিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রসার অনেক গুণে বেড়ে গেছে । তাই একটি মূল্যবান দাঁতকে ফেলে দেয়ার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার নয় কি?

 

ডা: অসীম কুমার হালদার

ডেন্টালসার্জন, গরীবনে ওয়াজ ক্লিনিক, খুলনা

১,৫২৯ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ৩৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ০ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-১৭ ১২:৩২:৫৮ মিনিটে
banner

৫ টি মন্তব্য

  1. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    দারুন ভালো লাগলৌ উপকারী পোষ্ট

    ভাল ভাবনা আপনার

  2. অনিরুদ্ধ বুলবুল মন্তব্যে বলেছেন:

    উপকারী পোস্ট।
    ভাল লাগল, ধন্যবাাদ।

  3. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    সুনদর উপকারী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

  4. মোঃ অলিউর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    কাজে লাগবে আশাকরি…

  5. টি. আই. সরকার (তৌহিদ) মন্তব্যে বলেছেন:

    আমি মা-ও না আবার শিশুও না, তবুও পড়লাম ! 😛
    মা আর শিশুকে জানাতে তো পারবো । ধন্যবাদ আপনাকে ।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top