মেয়েদের ‘অশোভন’ আচরণ শুধু ভূমিকম্প নয়, মুদ্রাস্ফীতিরও কারণ!
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1124বার পড়া হয়েছে।
সপ্তা গড়িয়ে গেল লেখা-লেখি কিছুই হয়নি।লিখতে ইচ্ছে করছে না।এই ইচ্ছা-অনিচ্ছার দ্বন্দ্বটা বড়ই অদ্ভূত।কতোটা জলটি তা বোঝার চেষ্টা করছি।মানসিক না শারীরিক তাও পুরো মাত্রায় ঠাওর করতে পারছি না।শরীর তো ঠিকঠাক যাচ্ছে।কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই।ফুয়েল দিচ্ছি চলছেও বেশ। তবু বোঝার চেষ্টা করি।তাতে লাভের লাভ কিছুই হয় না।অস্থিরতা বেড়ে যায়।ব্লগে মাঝে-মধ্যে ঢু মারি।গদ্যে-পদ্যে ডুবে থাকি।মন্তব্য করতেও ইচ্ছে করে না।এমনটি কেন হয়?এমনটা কী শুধু আমারই হয়,না আপনাদেরও?
সবাই ব্লগে লিখে যাচ্ছে।গদ্য-পদ্য খরগোশ গতিতে চলছে। শুধু আমি নেই।কী লিখবো? গদ্য, নাকি পদ্য? সবকিছু ঝেড়ে ফেলে দিয়ে কী বোর্ড নিয়ে বসে যাই।এইকী হেড অফিস যে ব্লকড ! জমা আছে। রিলিজ হচ্ছে না। গোত্তা খাচ্ছে- যেমনটি গোত্তা মারে আকাশে ঘুড়ি। তাহলে উপায় !! আবারও ব্লগর ব্লগর? তবে তাই হোক। এটাও কম কিসের? সব ব্লগেই তো এমনটি রয়েছে।কেউ বলছে হ-য-ব-র-ল।আমি বলি পাঁচ মিশালী আবোলতাবোল।
ব্লগর ব্লগর কিন্তু মন্দ নয়।আইডিয়াটা বেশ চমত্কার। সব ফ্লেভার একই সঙ্গে মেরে দেয়া যায়।একই রেসিপি দিয়ে ভিন্ন সাধের খাবার তৈরী করার মতোই গপ্পো করা যায়।ধান বানতে শিবের গীত না হয় হলোই।
এবার আসি কাজের কথায়।গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য আর তত্ত্ব দুটোই মানুষকে প্রভাবিত করে। আবার আকৃষ্টও করে। আমিও আকৃষ্ট হয়েছি তবে প্রভাবিত হইনি। এইতো সম্প্রতি নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়ে গেল। অনেকেই এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন সব তত্ত্ব।
নেপালের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠেছে।ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফেলো বেঞ্জামিন ফালফোর্ড দাবী করেছেন নেপালে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্প যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।এর সঙ্গে নাকি হার্পের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। হার্প কি?
হার্পের পুরো নাম হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম।এর উদ্দেশ্য আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের ওপর প্রভাব তৈরি করা।ওই গবেষক দাবি করেছেন নেপালে সৃষ্ট ভূমিকম্প মূলত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। শক্তিশালী বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।আর এই দুষ্টু কর্মটি নাকি করেছে আমেরিকা।এর মানে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প মানব সৃষ্টি !
আরও একটি তত্ত্ব বেশ অভিনব এবং খুবই মজার।এইটি দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান।জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামি ফজলের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান ছায়েব। তিনি বলেছেন মেয়েদের জিনস প্যান্ট পরার কারণে নেপালে ভূমিকম্প হচ্ছে।মেয়েদের জিনস প্যান্ট পরা অশোভন। তাঁর মতে মেয়েদের ‘অশোভন’ আচরণ শুধু ভূমিকম্প নয়, মুদ্রাস্ফীতিরও কারণ! অর্থনীতির নতুন এক তত্ত্ব!! একবিংশ শতাব্দিতে এই নিয়ে গবেষণা হতেই পারে !!
আর কি কি কারণ হতে পারে ভূমিকম্পের? শুনুন তাহলে। আর একদল বলেছেন গরু খাওয়ার ফলে নেপালে বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে !! এবার তো দেখার পালা গরুর মূল্য কমে কিনা !
কেমতে কি? যাইহোক সপ্তা খানেকের ধাক্কা সামলিয়ে আমার আউলা-ঝাউলা মাথা এবার কিছুটা হলেও হুশ ফিরে পেয়েছে।
আর একদিন পরেই শবে-বরাত।বিশ্বাসীদের জন্যে ভাগ্য রজনী।আবার হালুয়া-রুটিরও দিন।আতশ বাজি তো ফুটবেই।গণমাধ্যম আতশ বাজি ফোটাতে নিরুত্সাহিত করলেও হালুয়া-রুটি বানাতে কিন্তু উত্সাহিত করছে।
করবেনা কেনু? গণমাধ্যম তো জনগনেরই মাধ্যম।তাইতো দেখছি কীভাবে সুস্বাদু হালুয়া-রুটি বানাতে হবে তাঁর চমত্কার রেসিপি নিয়ে আসছে অনলাইন নিউস পোর্টালগুলো।আগে দেখতাম শবে-বরাত হালুয়া-রুটির রাত্রি নয় এমনটি প্রচার করতো পত্রিকাগুলো।আর এখন? শবে-বরাত রাত্রিতে কী ভাবে হালুয়া-রুটি বানিয়ে নামাজিদের হালুয়া টাইড করা যায় সেই মজাদার রেসিপি নিয়ে আসছে গণমাধ্যম!গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য জনগণকে প্রভাবিত করবে এটাই স্বাভাবিক।
চলুক তাহলে এবার শবে-বরাতে হালুয়া রুটি।
হ্যাপি ব্লগিং।
১,১২৬ বার পড়া হয়েছে
হুম কি আর বলি
যাই হোক আপনার কাছ থেকে ছড়া
কবিতা চাই
থ্যাঙ্কু কবি
ফতোয়া আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র সবই মিথ্যা বুলি,
জ্ঞানি’রা মরল আদর্শ নিয়া, মিথ্যাবাদীরা ভরল ঝুলি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
হ ভাই আচ্ছা কথা কইলেন
‘আপনাকে ধন্যবাদ
সহস্র……………………………
হ আফনে হাচা কৈছেন।… আমি মিছা মাতি না ভাই..thank you
আসলে ভূমিকম্পের জন্য ‘বল্গার’রাই দায়ি।
একশ কতার এক কতা…খাঁটি মারছেন এইবার !!
একদম ঠিক বলেছেন ! 😛
আর হালুয়া-রুটি তো এখন ইবাদাতের চেয়েও বড় অনুষঙ্গ হয়ে গেছে মানুষের কাছে ! :O
ইবাদাত হোক বা না হোক হালুয়া-রুটি হতেই হবে ! হুহ…!
হালুয়া-রুটি সবাই খেতে চায় আবার ভাগও পেতে চায়