ম্রিয়মাণ উৎসব
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1501বার পড়া হয়েছে।
বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যাবার কথা ছিলো নগর,
নগরের মানুষেরা। সে আঘাত দেয়নি শ্রাবণের মেঘ
বারি ঝরিয়েছে রাতে কখনো সখনো দিনের
প্রথম প্রহরে। সভ্যতা ধ্বংস হতে দেয়নি নগরের
অভ্যন্তরে। বর্ষা এলেই হয়তো পাহাড় ধ্বসে যাবার
যন্ত্রণাগুলো বিদ্ধ করে বেলা অবেলার গল্প শুনে
মৃত্যুর হিমশীতল ছোঁয়া পেয়ে যায়। সেদিনও আকাশের
চীৎকার আর অতল জলের আহ্বানে পাহাড়ী মাটি
কেঁদেছে ,কেঁদেছে নগর সভ্যতার ছোঁয়ায় ভাসা
মানুষ। এখনো শ্রাবণের মেঘ ঝরছে প্রতিনিয়ত
উৎসবের কিনারে আগুয়ান মানুষ কী মনে রাখে
মাটির পিঞ্জিরায় পিষ্ট বন্ধীত্বের খাঁচায় নিভু নিভু
জীবন প্রদীপ। কিম্বা প্রকৃতির নির্মল আনন্দে ভাসমান
কোন শবমিছিল। এই নগরে এখনো স্বপ্নের বসত গড়ে
পাহাড়ী মাটির গন্ধে মাতোয়ারা সভ্যতায়
রচনা করে জীবনের পালাগান। কিম্বা ডানামেলা
প্রজাপতির মতো ওড়ানো কোন রঙিন স্বপ্নে
বেড়ানো ইট পাথরের দেয়াল ,সুরম্য রাজপথ আর উঁচু দালানে
পোড় খাওয়া ভাটি অঞ্চলের ধুসর প্রকৃতির শাদামাঠা
চরিত্রগুলো খুজে ফেরে জীবনের সন্ধান
পাহাড়ের পাদদেশে ম্রিয়মাণ উৎসবের বেড়াজালে ।
১,৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
সাঈদুল আরেফীন ১৯৬৮ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর কোরবানীগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বাঁশখালি উপজেলার জলদি গ্রামের নেয়াজর পাড়ায়। পিতার নাম মুহাম্মদ ফৌজুল কবীর এবং মায়ের নাম মরহুমা মোসলেমা খাতুন। আশির দশকের মধ্যভাগ থেকেই সরকারি মহসিন কলেজে পড়াকালীন সময় সাঈদুল আরেফীন সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত হন। সেই থেকে কবিতা ,গল্প,প্রবন্ধ,নিয়ে নিরন্তর কলম চালান তিনি। আশির দশকের শেষভাগে সংবাদপত্রে যোগ দেন। চট্টগ্রাম প্রতিবেদক হিসেবে সাপ্তাহিক চিত্রালী,সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর,সন্দীপ সহ বিভিন্ন সময়ে অধুনালুপ্ত সমতা অপরূপ বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। মূলত সংবাদপত্রে হাতে খড়ি হয় দৈনিক পূর্বতারাতে ক্ষুদে রিপোর্টার হিসেবে সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে। বর্তমানে তিনি রাজনীতি,শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিশু অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রবন্ধ কলাম এবং লিখে চলেছেন নিয়মিতভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও লিটলম্যাগ গুলোতে। চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণামূলক স্বরচিত প্রবন্ধ ও কথিকা পাঠ ছাড়াও মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে থাকেন। সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় দশ বছরের পরিক্রমায় অনুপম নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থেকে মানবসেবা শিক্ষা , সাহিত্য ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার একটি উজ্জ্বল সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আশির দশকেই। এখন যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি বেসরকারি উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনারারী ম্যানেজমেন্ট এডভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে প্রশিক্ষণ,উন্নয়ন নানা গবেষণাধর্মী কাজে জড়িত আছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সদস্য হিসেবে জড়িত থেকে শিক্ষার প্রসারেও কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর লামাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কতি বিষয়ক পত্রিকা ঐতিহ্যের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি স্ত্রী ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। “মনে পড়ে জলকদর” তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থের মধ্য দিয়েই তিনি আমাদের জানান দিয়েছেন লেখালেখির মাঝখানে বিরতি দিলেও তিনি হারিয়ে যাননি। ইদানিং পত্র পত্রিকায় আবারো সক্রিয় হয়েছেন। এতে বেছে নেয়া তাঁর কবিতাগুলোর অধিকাংশই দৈনিক পূর্বকোণ,আজাদী ,মঞ্চ,সুপ্রভাত বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগে প্রকাশিত কবিতার সংকলন। আমাদের কাব্যভুবনে তাঁর আগমনকে স্বাগত জানাই। তাঁর কবিতা আশাকরি পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে। অচিরেই তাঁর শিশুতোষ প্রবন্ধ ও উন্নয়ন গবেষণামূলক দুটি প্রবন্ধের বই বেরোবে।
সর্বমোট পোস্ট: ২৬ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১৫৫ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৬-১২ ১৩:৫৫:৪১ মিনিটে
বরাবরই আমি কবিতা কম বুঝা পাবলিক, তবু শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম :rose:
কামাল উদ্দিন, আপনার ভালোলাগায় আমি ও সিক্ত হলাম।
সাইদুল ভাই..একবারে ফাটিয়ে দিয়েছেন…গদ্য কবিতায় পতিটি শব্দ ঝরঝরে আর প্রাণ প্রাচুর্যে্্য ভরা….
মিলন দা ,লজ্জিত হলাম আপনার মন্তব্যে। আপনার লেখনীর কাছে আমি নিজেই বারবার পুলকিত হই। এক্সপেরিমেন্ট করি। সেখানে আপনার এই মন্তব্যে অনেক কিছু পাওয়া হয়ে গেলো আমার । শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
নগরের ইট পাথরও স্বপ্ন খুজেঁ ফেরে জীবনের সন্ধানে । কবিতার ভাব গাম্ভীর্যতা অসাধারন । লেখকের কৃতিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয় । ভালো লাগলো অনেক ।
সাঈদ চৌধুরী আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যে অনেক বেশি বেশি প্রাণিত হলাম।
Onabil bhabnar onobodyo prokash
valo laglo
দীপংকর বেরা ,আপনার মন্তব্যে হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
ভাইজান আপনি কবিতা ভাল লিখেন তার আর একটা সাক্ষী এই কবিতা। কিছু কথা না বুজে এলেও ভাল লেগেছে।
আকাশ আপনার ভাবনার জগতে যেনো সারাক্ষণ শব্দের ঝংকার তুলি এই প্রত্যাশা করি
দারুন লিখেছেন অনেক ভাল লাগা রইল
দারুন
ভালো লাগলো কবি