লন্ডনে আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1392বার পড়া হয়েছে।
লন্ডনে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ।১৪২২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। রমনার বটমূলে উপস্থিত থেকে বর্ষ বরণের আনন্দটুকু লাখ বাঙালির সাথে ভাগকরে নিতে না পারলেও শিকড়ের টানে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এই দিনটি উদযাপনে হাজির হয়েছে হাজারো বাঙালি।মনের এবং প্রানের সীমাহীন ভালোবাসা আর উচ্ছলতার এক আবেগীয় মূর্ছনা বেজে উঠেছে ক্ষণে ক্ষণে পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি সেন্টারে।
বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ সূচনা সংগীতের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২২ বরণ করে নিলো লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিরা।
‘বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদ যুক্তরাজ্য’ এর উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বরেন্য সাংবাদিক এবং কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি এমপি এবং আসন্ন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী রুশনারা আলী।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাই কমিশনার আবুল এম তালহা, টাওয়ার হ্যামলেট এর স্পিকার আবুল মুকিদ চুন্নু, এন টিভি ইউরোপ এর সিইও সাবরিনা হুসেইন, সুলতান শরীফ, কবি শামীম আজাদ সহ আরো অনেকে।
একটি চমত্কার ঈর্ষণীয় আনন্দমুখর পরিবেশে শুরু হয় যাত্রা। পুরুষেরা রঙবে রঙের পাঞ্জাবি আর নারীরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি খোঁপায় ফুলের গহনা পরে মেতে উঠে আনন্দ উত্সবে।একদিনের জন্যে হলেও যেন সবাই ভুলে থাকতে চাইছে ব্রিটেনেও থেকেও আমরা মনে-প্রাণে বাঙালি।এই যেন সত্যিকার অর্থেই প্রানের উত্সব।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে ব্রাডি সেন্টার।
সকাল থেকেই নীল আকাশে ছিল ঝলমলে রোদের কিরণ।সর্বোচ্চ ২১ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেট তাপমাত্রায় প্রকৃতিও যেন বাঙালিদের মনোভাব বুঝে হাজির হয়েছে এই দিনটিতে একই গতিধারায়।অপূর্ব সাজে প্রকৃতি।আর অপূর্ব সাজে বাঙালি পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি সেন্টারে।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যুক্তরাজ্য সংসদ,সত্যেন সেন স্কুল অফ পারফর্মিং আর্টস, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, সংহতি কবিতা পরিষদ, নারী দিগন্ত, মঞ্চ শৈলী, তানপুরা, রিদম, কল্যান, স্বপ্নীল, হেরো বাংগালী, মৌলিক আর্টস, বগুরা সমিতি ও বেতার বাংলা সহ চল্লিশটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মিলিত প্রয়াসে উদযাপিত হয় দিনটি।
সূচনা সংগীত দিয়ে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বিতরণ করা হয় প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে ‘বাংলা নববর্ষ’ নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আকর্ষণীয় পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এমপি রুশনারা আলী, কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী, ডেপুটি হাই কমিশনার আবুল এম তালহা, টাওয়ার হ্যামলেট এর স্পিকার আবুল মুকিদ চুন্নু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমপি রুশনারা আলী বলেন সংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ব্রিটেনে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরায় তিনি আনন্দিত এবং গর্বিত। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্যে প্রবাসী বাঙালিদের বিশেষ অনুরোধ করেন।
আনন্দ উত্সবের দ্বিতীয় পর্বে চলতে থাকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- শিশু শিল্পীসহ বড়দের নৃত্য,সংগীত এবং কবিতা আবৃত্তি।
অনুষ্ঠানটির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন নুরুল ইসলাম এবং সহ-আহবায়ক হিসাবে ছিলেন স্মৃতি আজাদ। এছাড়াও আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন্ হারুনুর রশিদ, জিয়াউর রহমান সাকলাইন, সাহাব আহমেদ বাচ্চু, নুরুল ইসলাম পুতুল, ডলি ইসলাম, ফেরদৌস রহমান এবং সায়েম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন স্মৃতি আজাদ, নুরুল ইসলাম, আমিনা আলী, সালাউদ্দিন শাহীন, জিয়াউর রহমান সাকলেন এবং লিপি হালদার।মিডিয়া পার্টনার হিসাবে কাজ করে বাংলা টিভি।
১,৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
ভালো লাগলো পড়ে দারুন ভাবনার প্রকাশ
বেশ সুন্দর লিখা
আমাদের এখানেও হল পহেলা বৈশাখ পালন । তবে লজ্জা দিয়ে ! এতো এতো মানুষের ভিড়ে ২৫-৩০ টা ছেলে নিজের মতো করে যা ইচ্ছে করে গেল আর সবাই চেয়ে চেয়ে দেখল ! ছিঃ ! কি লজ্জা !
সুন্দর লিখেছেন ।