শব বধূ লা পাসকুয়ালিটা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1901বার পড়া হয়েছে।
মেক্সিকোর এক শহরের নাম চিহুয়াহুয়া । এই শহরের নামটা আমি প্রথম শুনি জিক ওয়ান্ডার এর কাছে । একবার আধিভৌতিক কাহিনী ,কুসংস্কার, পৌরাণিক গল্প আর আরবান লিজেন্ড বা শহুরে কিংবদন্তি নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমি,মেঘান,জিক,ট্রেভর আর স্টিভ । তখনি জিক বলল এই শহর চিহুয়াহুয়া আর তার সাথে জড়িয়ে থাকা এক রহস্যময় মানিকুইন এর গল্প ।
মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া শহরে বিয়ের পোশাক বিক্রয় এর দোকানের এক ম্যানিকুইন কে নিয়ে প্রচলিত আছে এক রহস্যময় আধিভৌতিক গল্প।
এই শহরে ছিল এক ব্যাবসায়ী । যার ছিল বিয়ের পোশাক বিক্রির দোকান ।
ব্যাবসায়ী পাস্কুয়ালা এস্পারজা
তার ছিল অনিন্দ্য সুন্দরী এক মেয়ে । কথিত আছে কালো মাকড়সার কামড়ে মেয়েটি তার বিয়ের দিন মারা যায় । এরপর থেকে মহিলা জানি কেমন হয়ে যান কন্যা শোকে । তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে যে উনি উনার মেয়েকে কবর দেন নাই মানে কেউ কবর দিতে দেখে নাই ।
পাড়া প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন উনি হয়ত উনার উঠানেই তার আদরের কন্যাকে কবর দিয়েছেন ।
এর কিছুদিন পর তার দোকানে বিয়ের পোশাক পড়া এক ম্যানিকুইন এনে রাখেন ।তারিখটা ছিল মার্চ এর পঁচিশ , উনিশ শত তিরিশ খ্রিষ্টাব্দ । এই ম্যানিকুইন এর সাথে তার মৃত মেয়ের চেহারার আশ্চর্য রকম মিল দেখে সবাই খুব অবাক হয় । ভাবে হয়ত তিনি ইচ্ছে করেই এমনটা বানিয়েছেন ।
তবে এই ম্যানিকুইনটা আর দশটা ম্যানিকুইন থেকে একটু ভিন্ন ।দেখে মনে হয় অনেক জীবন্ত ।একে দেখলে মনে হয় মৃত মানুষের মত ।
এরপর থেকেই শহরে খুব অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে । অনেকেই রাতের বেলা দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ম্যানিকুইনটাকে দোকানের ভিতর হাঁটতে দেখেছে । কেউ শুনেছে করুন সুরে কান্না ।এর পর ছড়িয়ে পরে যে মহিলা তার মেয়েকে কবর না দিয়ে মমি করে রেখে দিয়েছে আর এই ম্যানিকুইন টাই হল সেই মেয়ে ।
এর হাতের আঙুলগুলো দেখলে মনে হয় না কোন পুতুলের আঙ্গুল । যদিও পাসকুয়ালা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে । শহরের সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এইটা সংরক্ষিত মৃতদেহ ।
আট দশক ধরে একিরকম আছে মেক্সিকোর এই শব বঁধু লা পাসকুয়ালিটা ।
দোকানের এক কর্মচারী সোনিয়া বুরচিয়াগা এক সাক্ষাতকারে বলেছেন যে সপ্তাহে দুই বার যখন পর্দা ঘেরা স্থানে এই ম্যানিকুইন এর পোশাক বদলাতে হয় তখন সে ভয়ে ঘেমে উঠে ।কারন এর পায়ের রগ গুলো পর্যন্ত দৃশ্যমান ।
অনেক কর্মচারী তার পোশাক পরিবর্তন করতে চায় না আবার অনেক পথিক সন্ধ্যা বেলায় বা রাতের আধারে জায়গা বদল করতে দেখেছে এই শব বঁধুকে এই আধুনিক যুগেও ।
তবে অনেক বিজ্ঞানীর মতে এতদিন এভাবে মানুষের মৃতদেহ সংরক্ষন করা অসম্ভব ।
সত্য মিথ্যা যাই হোক চিহুয়াহুয়া শহরে আজও আছে এই রহস্যময়ী ম্যানিকুইন । প্রতি বছর প্রচুর পরিমানে পর্যটক যায় মেক্সিকো একে দেখার জন্য ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটি পূর্বে অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত
সূত্রঃ
১#জিক ওয়ান্ডার
২#অকাল্ট সাইন্স গ্রুপ
৩#গুগল (কিছু তথ্য আর সবগুলা ছবি গুগল থেকে নেয়া)
৪# প্যারানরমাল এনকাউন্টারস
১,৮৫৪ বার পড়া হয়েছে
ভাল লাগল ভেৌতিক গল্পটি । শুভ কামনা ।
ধন্যবাদ ভাই ।আসলে পৃথিবীর আনাচে কানাচে কত যে রহস্য আছে তার ইয়ত্তা নাই ।
আগে জানতাম না। নতুন কিছু যানা গেল। নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লিখুন।
সব কিছু জানার আগেই মনে হয় মরে যাব !! কত কি যে জানার আছে এই দুনিয়ায়
আরে মিলিপা আগে চিনি নাই। ভাল লাগছে তোমাকে দেখে। আগে পড়েছিলাম ব্লগে না ফোরামে। ধন্যবাদ
এখন চিনেছেন তো 😀
সুন্দৱ ৱচনা কৱেছেন অনেক ভাল লাগলো
ধন্যবাদ অনেক অনেক ।ভাল থাকবেন
ভালো লাগলো সচিত্র লেখা