শাহবাগের দেয়াল
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1428বার পড়া হয়েছে।
হেডফোন কানে লাগিয়ে
এফএম রেডিওতে
নভেম্বর রেইন গানটা শুনতে শুনতে
বৃষ্টির মাঝে হেটে গেছি
শাহবাগেরই পথটা ধরে
সে তো অনেকবারই।
যুদ্ধপরাধিদের বিচারকে সমর্থন করে
শিবিরের পোলাপানের থ্রেট খেয়েছি অকাতরে
সেও তো অনেকদিন আগের কথাই।
শাহবাগের তোমরা
আমার পরিচিত মুখ ভীষণ
তবু, তোমাদের স্লোগানে আমার গলা মেলেনা
তোমাদের সাথে প্রতিবাদে আমার হাত বজ্রমুষ্ঠি হয়না
তোমাদের সাথে মিছিলও করা হয়না।
আমরা চাই বিচার
তোমরা চাও ‘শুধুই ফাঁসি’
তোমাদের মাঝে আমি বল
কেমন করে আসি?
মোমবাতি আমার কাছে জীবনের প্রতীক
তোমাদের কাছে মরণের
দেখে ভাবি, তবে কি তারুণ্যও শিকার
কোন এক চন্দ্রগ্রহণের?
তোমাদের সাথে
না হলে একমত শতভাগ
না ভেবে পিছু-আগ
বানিয়ে দাও ছাগু বা পাকিস্তানী ছাগ !
তাইতো, আমি কখনোই
যেতে পারিনা তোমাদের কাছে
আমি নিজেকে করে রাখি আড়াল,
আমাকে থামিয়ে দেয়
উগ্র জাতীয়তাবাদে গড়া
ভীষণ সাম্প্রদায়িক ঐ
শাহবাগের দেয়াল ।।।
১,৪১৫ বার পড়া হয়েছে
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ভিন্ন প্রজন্মের চাহিদা আর কি হতে পারে সেটি স্পষ্ট করলে ভাল হতো কবি।
যা বলার কবিতাতেই বলা হয়েছে ভাই।
আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন না। তবে, আমার সাথে একমত হওয়ার মানুষও অনেক আছে বলে মনে করি।
হ্যাঁ কবি, সেটিই কবিতায় আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিল। যুদ্ধাপরাধীরা তো আর ধারাপাত পড়া শিশু নয় যে ওদের নীতিবাক্য শেখালেই অরা ভাল হয়ে যাবে। অবশ্যই রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তিকে পুষ্ট হওয়া কোন আন্দোলন সমর্থন যোগ্য নয় তবে যুদ্ধাপরাধীদের যেই বিচারটি নতুন প্রজন্মের এবং সময়ের দাবি ছিল, ঠিক কি হতে পারতো সেই বিচারটি? যেহেতু আমাদের দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তাই মানুষ জেনোসাইডের শাস্তি সর্বোচ্চটাই কামনা করে। আমি কিন্তু বলিনি আমি আপনাকে অসমর্থন করছি। আমি জাস্ট বলতে চেয়েছি যে আপনার মতামতটা কি! আপনার কাব্য বোধ অসাধারণ, তবে যেহেতু এটি একটি দীর্ঘ কবিতা তাই আমি আরও বিশদ একটি সমন্বয় আশা করেছিলাম কবি তাই প্রশ্ন রেখেছিলাম।
ধন্যবাদ। রায়ে ফাঁসি আসলে সেটা ঠিক আছে; কিন্তু ফাঁসি না হয়ে অন্যকিছু হলে সেটা নিয়ে উন্মত্ততা কেমন জানি দেখায়। আর এই আন্দোলনের অন্যসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা না হয় এখানে নাই করলাম !
দারুন কাব্যতা সুন্দর তো
বেশ ভালো ,,,,,,,,,,,,,,,,,
মুগ্ধকর লিখনী
শুভ কামনা
শুভ বিকেল
ধন্যবাদ ভাই !
কবিতায় কিছু বিষয় অস্পষ্ট ! তবে এটা ঠিক যে, সাধারণ নাগরিক শুধু ফাঁসি নয় সঠিক বিচার চায় । সেটা আইনের ধারায় জেল, জরিমানা, আজীবন কারাবাস, মৃত্যুদণ্ড যে কোন কিছুই হতে পারে ।
লিখায় ভাল লাগা রইলো ।
কবির বোধকে সমর্থন করি। কেবল ‘ফাঁসি চাই’ দাবিকে কোন বিচারিক আদালতই সমর্থন করবেন না। বিচারে – সাক্ষ্য প্রমাণে বড়জোর সর্বোচ্য শাস্তির দাবি জানানো যেতে পারে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সর্বোচ্য শাস্তিও দিতে পারেন অথবা এদিক সেদিক হতেও পারে। তাই, শাহবাগী তরুণদের কেবল ‘ফাঁসি চাই’ দাবি না করে সর্বোচ্য শাস্তির কামনা করলেই বেশি ভাল দেখাতো। যেখানে আদালতই রয়েছে সেখানে সংক্ষুব্ধের কোন দাবিই আদালত প্রভাবিত হবে তেমন আশা বৃথা – অন্তত সচেতন শিক্ষিত তরুণরা এ ভুলটি করতে পারেন না। বিচারের আগেই কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আগাম রায় বলে দিয়ে বিচারককে বিভ্রান্ত করতে পারে না। ধন্যবাদ।