সত্তরের নির্বাচন ও কক্সবাজার
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1179বার পড়া হয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তানের সাবির্ক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ সেনাবাহিনী প্রধান আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। আইয়ুব খানের আহ্বানে ইয়াহিয়া খান সতর্কতার সাথে ২৬ মার্চ ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই যে, আমার কোন ব্যক্তিগত উচ্চাশা নেই, আমি শুধু একটি সাংবিধানিক সরকার গঠনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একটি গঠনমুলক রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য এবং অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে বিনা ঝামেলায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্বশর্ত হলো, একটি নির্ভরযোগ্য পরিচ্ছন্ন ও সৎ প্রশাসন। এই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব হবে একটি প্রয়োগবাদী সংবিধান প্রণয়ন করা এবং সমুদয় রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাবলির সমাধান খুঁজে বের করা।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের জন্য ইয়াহিয়া খানকে পূর্ব বাংলার প্রজাহিতৈষী শাসক মনে হলেও তার আসল চেহারা প্রকাশ পায় ১৯৭০ সালের ২৮ মার্চ জারী খবমধষ ঋৎধসব ডড়ৎশ (খঋঙ)এর ঘোঘণার মাধ্যমে। এ ঘোষণার সঙ্গে ছয় দফা কর্মসূচির অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ১৪(১) ধারানুযায়ী এসব প্রস্তাবের কোন মূল্য ছিল না বলেই পূর্ব পাকিস্তানের মাওলানা আবদুল হামিদ ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ এলএফও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। মস্কোপন্থী ন্যাপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা সে সম্বন্ধে কিছু না বলে এল এফ ও ’র ২০, ২৫ এবং ২৭ ধারা সমুহ বদলা দেওয়ার দাবী জানান। সকল মুসলিম লীগ, পিডিপি, জায়ামাতে ইসলামী, নেজামী ইসলামী কোন শর্ত ছাড়ায় এলএফও’ গ্রহণ করেন। ৫আওয়ামী লীগও বৃহত্তর সার্থে এলএফও গ্রহণ করে। এ সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমান তার দলীয় কর্মীদের এক সভায় বলেন : ‘ আমার লক্ষ্য বাঙলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্রই আমি এলএফও টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলব।
জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করেই পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচন দেবার ঘোষণা করে। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ ও ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের তারিখ ঘোষণা করা হয়। । এতে করে পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন আশান্বিত হয়ে উঠে। সাধারণ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসতে লাগলো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যকার চাপা আনন্দ উচ্ছ্বাস আকারে দেখা দেল। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানীদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো। সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কয়েকদিন পর ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসে। এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝঙেই দশ লক্ষ মানুষ আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যায়। সে রকম দুর্যোগ পৃথিবীতে খুব কমই হয়েছিল। ঘুর্ণিঝঙের আঘাতে একসাথে এত বনি আদমের প্রাণহানি এর আগে কোথাও হয়নি। পুরো উপকূল ঘুর্ণিঝঙের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। দশ লক্ষ মানুষ মারা গেল, পুরো উপকূল কবরস্থানে পরিণত হলো, পুরো উপকূল বিধ্বস্থ হলো কিন্ত পাকিস্তানের স্বৈর শাসকেরা সাহায্যের হাত নিয়ে বাঙালিদের কাছে এগিয়ে আসল না। ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার মানুষ যারা বেঁচে ছিল তারাও ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অনেকেই মারা গেল খাদ্যের অভাবে, পান করার জন্য বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত অসহায় মানুষের প্রতি পাকিস্তানী শাসকদের অনিহা ও অবহেলা দেখে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা ক্ষোভে-দুঃখে ফুঁঁসে উঠলো। সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালিরা পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া এবং উর্দু ভাষাভাষি পশ্চিম পাকিস্তানীদের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটালো। প্রচন্ড ক্ষোভে, দুঃখে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এসময় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত উপকূলের মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে সাধারণ নির্বাচন বন্ধ রাখার দাবি জানো হয। । কিন্তু স্বৈরশাসকেরা মনে করেছিল নির্বাচন হলে তাদের তল্পিবাহক এবং পাকিস্তানপন্থি মুসলিমলীগ, নেজামে ইসলাম পার্টি, পাকিস্তান পিপলস পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হবে। ক্ষুব্ধ হয়ে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দেন এবং একই সাথে পাকিস্তানীদেরকে ‘আস্সালাসু আলাইকুম’ জানিয়ে দেন। এই ‘আসসালামু আলাইকুম’ই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানীদের জন্য বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেয় এবং পূর্ব পাকিস্তানকে পৃথক করে বাঙালিদের আবাসভূমি ‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টির মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।
বাঙালির প্রচন্ড অনাগ্রহ ও অনিহার মধ্যেও ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০টি জাতীয় পরিষদের আসনের জন্য ৫০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তারমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার কক্সবাজার মহকুমায়ও দুটি আসন নির্ধারিত হয়। সাতকানিয়া-কুতুবদিয়া-চকরিয়া নিয়ে এন-ই- ১৬০- সাতকানিয়া- কুতুবদিয়া- চকরিয়া আসনের মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীরা হল- আবু সালেহ (আওয়ামী লীগ), আজিজুর রহমান প্রকাশ লাল আজিজ (পিডিপি), মৌলানা সিদ্দিক আহমদ (নেজাম ইসলামী), আলহাজ্জ্ব মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী (কনভেনশন মুসলিম লীগ), গৌরি শংকর পাল (স্বতন্ত্র)। চকরিয়া-কুতুবদিয়া ছাড়া সমগ্র কক্সবাজার মহকুমায় একটি নিয়ে আসন। এন-ই-১৬১-কক্সবাজার আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীরা হল- নুর আহমদ (আওয়ামী লীগ), মৌলভী ফরিদ আহমদ (পিডিপি), জাফর আলম চৌধুরী (কনভেনশন মুসলিম লীগ), ফিরোজ আহমদ (স্বতন্ত্র)।
অবশেষে ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাতকানিয়া-কুতুবদিয়া-চকরিয়া আসনে তরুণ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সালেহ ১৯৬২ সনের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান প্রকাশ লাল আজিজ এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত এমএলএ নেজামী ইসলামীর কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা সিদ্দিক আহমদকে হারিয়ে জয়লাভ করেন এবং এন-ই- ১৬১-কক্সবাজার আসনে ডাকসুর সাবেক ভিপি, পাকিস্তানের সাবেক এমএলএ ও মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা নুর আহমদ জয়লাভ করেন।
এ দিকে ১৯ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের কক্সবাজার মহকুমার তিনটি আসনে ১৭জন মনোনয়নপত্র পেশ করেন। চকরিয়া-কুতুবদিয়া থানাকে একটি, কক্সবাজার মহেশখালী থানা নিয়ে একটি এবং রামু উখিয়া টেকনাফ থানা নিয়ে একটি আসন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারিত হয়। পি-ই-২৯৬-১৬-চকরিয়া-কুতুবদিয়া আসনে ডা. শামসুদ্দিন (আওয়ামী লীগ), জালাল আহমদ চৌধুরী (কনভেনশন মুসলিম লীগ), জহিরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (মুসলিম লীগ), মোখতার আহমদ চৌধুরী (জামায়াত), আব্বাস আহমদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), রুহুল কাদের চৌধুরী (স্বতন্ত্র)। কক্সবাজার মহেশখালী থানা নিয়ে গঠিত পি-ই-২৯৭-চ-কক্সবাজার-মহেশখালী আসনে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এ কে এম মোজাম্মেলল হক ( আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ রশিদ (কনভেনশন মুসলিম লীগ), আবদুস সালাম (স্বতন্ত্র), মৌলভী জাকারিয়া (নেজাম ইসলামী), আবুল কাশেম মিয়ান (জামায়াত)। রামু উখিয়া টেকনাফ থানা নিয়ে গঠিত পি-ই-২৯৮-চ-১৮-রামু-উখিয়া-টেকনাফ আসনে ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), আবদুল গফুর চৌধুরী (কনভেনশন মুসলিম লীগ), এডভোকেট সালামত উল্লাহ (জামায়াত), মোক্তার আহমদ চৌধুরী (পিডিপি)। ২৮ অক্টোবর চকরিয়া- কুতুবদিয়া আসনে মনোয়নপত্র দাখিলকারী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. শামসুদ্দিন প্রাদেশিক পরিষদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ১৮ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে পি-ই-২৯৬-১৬-চকরিয়া-কুতুবদিয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তৎকালিন মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রার্থী জালাল আহমদ চৌধুরীকে ৫৮৮৯ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ১৮৬২৭ ভোট, কনভেনশন মুসলিম প্রার্থী জালাল আহমদ চৌধুরী ১২৭৪৪, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আহমদ চৌধুরী ১০৭৫৪, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ১৭৮১, জামায়াত ইসলামী প্রার্থী মোখতার আহমদ চৌধুরী ৬৮২৯ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল কাদের চৌধুরী ৭২৯ ভোট পায়।
পি-ই-২৯৭-চ-কক্সবাজার-মহেশখালী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী কনভেনশন মুসলিম প্রার্থী মোহাম্মদ রশিদ বিএকে ৬০০৯ ভোটে পরাজিত করে জয়যুক্ত হন। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম মোজাম্মেল হক ১১২০৪ ভোট, জামায়াত প্রার্থী আবুল কাসেম মিয়ান ১০৪৬৭, নেজাম ইসলামী প্রার্থী মৌলভী জাকারিয়া ৪৩৩৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সালাম ৩৮১ ভোট পায়।
পি-ই-২৯৮-চ-১৮-রামু-উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ১৯৫৪ ও ১৯৬২ সনের মুসলিম লীগ প্রার্থী আবদুল গফুর চৌধুরী (কনভেনশন মুসলিম লীগ) কে ১১৯৬৬ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। এ আসনে জয়ী প্রার্থী ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ২১১৩২, কনভেনশন মুসলিম লীগ প্রার্থী আবদুল গফুর চৌধুরী ১১৯৬৫, জামায়াত প্রার্থী এডভোকেট সালামত উল্লাহ ৯৩২০ এবং পিডিপি প্রার্থী মোক্তার আহমদ চৌধুরী ১০৪১ ভোট পান।
১৯৭০ এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ছিল নবাগত, বয়সে তরুন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছিল সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠিত জৈষ্ঠ ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। এ নির্বাচনে কক্সবাজারের দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত হয়। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সাতকানিয়ার কিছু অংশ- কুতুবদিয়া-চকরিয়া আসনে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত এমএলএ ও পঞ্চাশ দশকের নেজামী ইসলামীর শক্তিশালী কেন্দ্রিয় নেতা খতীবে আজম মাওলানা সিদ্দিক আহমদ ( মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ একজন তুখোড় বক্তা, ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে বেশকয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা ও বাগ্মী ছিলেন) এবং ১৯৬৫ সনের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মুসলীগের শক্তিশালী নেতা আজিজুর রহমান প্রকাশ লাল আজিজ (উল্লেখ্য আজিজুর রহমান একজন তুখোড় ও বাগ্মী ছিলেন। পুরো চট্টগ্রামে তখন দু আজিজই দাপিয়ে বেড়াতেন। একজন ছয় দফা নয় এক দাবীর উত্থাপনকারী চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ অন্যজন চকরিয়ার আবদুল আজিজ। এম এ আজিজ একটু কালো হওয়ায় তাকে কালু আজিজ এবং আজিজুর রহমান একটু শ্যামলা ও সুন্দর হওয়ায় তাকে লাল আজিজ নামে পরিচিত ছিলেন) এবং মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরীও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত কনভেনশন মুসলিম লীগের শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। এ রকম সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তিন জন প্রতাপশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে পরাজিত করে সদ্য ছাত্র শেষ হওয়া তরুণ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সালেহ জয় লাভ করাটা সহজ বিষয় নয়।
এবং এন-ই- ১৬১-কক্সবাজার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী মৌলভী ফরিদ আহমদ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নির্বাচিত হন, ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় প্রথম সরকারী চাকুরজীবী হিসেবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সমর্র্থনে প্রথম চাকরীতে ইস্তাফাকারী, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সাবেক এমএলএ ও শ্রম মন্ত্রী, ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সনের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএলএ পিডিপির কেন্দ্রিয় ভাইস প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ সালের কুতুবদিয়া উখিয়া টেকনাফ আসনে থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য জাফর আলম চৌধুরীর মত সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিকভাবে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের মহকুমা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর আহমদ জয়লাভ করেন।
প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া কুতুবদিয়া আসনের পরাজিত প্রার্থী জালাল আহমদ চৌধুরী যিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের সাবেক স্পীকার ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কনভেনশন মুসলীম লীগের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নেতা ছিলেন। সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ আব্বাস আহমদ চৌধুরী, জামায়াত নেতা মোখতার আহমদ চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও রুহুল কাদের চৌধুরীর মত শক্তিশালী প্রাথীকে পরাজিত করে তরুন আওয়ামী লীগ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জয়যুক্ত হন।
কক্সবাজার মহেশখালী আসনে কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রচার সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত কনভেনশন মুসলীম লীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ রশিদ বিএ, সমাজে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত নেতা আবুল কাশেম মিয়ান, নেজামী ইসলামীর জেলার শক্তিশালী নেতা মৌলভী জাকারিয়া, তৎকালিন কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান শক্তিশালী মুসলীম লীগ নেতা আবদুস সালাম (যিনি সালাম নামে পরিচিত) এর মতো শক্তিশালী হেবিয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চৌফলদন্ডীর জমিদার খান বাহাদুর মোজাফফর আহমদ চৌধুরীর সন্তান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (যিনি ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার মহেশখালী, ১৯৯১ সালে কক্সবাজার রামু আসনে নির্বাচিত এমপি ছিলেন এবং বর্তমানে কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন) জয়লাভ করেন। অবশ্য উক্ত আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন এ কে এম মোজাম্মেল হক। তিনিও ১১২০৭ ভোট পেয়ে তিননম্বর স্থানে ছিলেন।
রামু উখিয়া টেকনাফ আসনে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগ প্রার্থী আবদুল গফুর চৌধুরী, কক্সবাজারে বিগদ্ধ সমাজের কাছে পরিচিত কক্সবাজার মহকুমা জামায়াতের আমীর এডভোকেট সালামত উল্লাহ এবং উখিয়া রতœা পালং এলাকার জমিদারের সন্তান পিডিপি প্রার্থী মোকতার আহমদ চৌধুরীর মতো সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ নেতা রামুর ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী জয়লাভ করেন।
অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল দেখে পাকিস্তানী স্বৈরাশাসক ও পাকিস্তানের ক্ষমতালিপ্সু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেল। নির্বাচনের ফলাফলে পাকিস্তানী স্বৈরশাসকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। পাকিস্তানী সেনা শাসকসহ পশ্চিম পাকিস্তানীদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সাধারণ নির্বাচনের ভোট গণনার পরে দেখা গেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসনে জয়ী হয়। যখন সকল আসনে নির্বাচন শেষ হলো তখন দেখা গেল, মনোনীত মহিলা আসনসহ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩১৩টি আসনের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন, পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি-পিপিপি ৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। অন্যান্য সব দল মিলে পেয়েছে অবশিষ্ট ৫৮টি আসন। পাকিস্তান পিপলস্ পার্টিসহ অন্যান্য আসনে বিজয়ী দলগুলো এলাইয়েন্স করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো ছাড়া পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের হাতে আর কোন বিকল্প নাই। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের হাতে তো ক্ষমতা দেওয়া যায় না। এসময় পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণ বলাবলি করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘জলদাসেরা কী প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে বসবে’? উর্দু ভাষাভাষি পশ্চিম পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তথা বাঙালিদেরকে জলদাসই মনে করতো। তাই বাঙালিদেরকে সিংহাসনে বসতে দেয়া যায় না। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী সেনাশাসকদের পরিষ্কার করে বলে দিলেন যে, ‘আমি ছয় দফার কথা বলে জনগণের কাছ থেকে ভোট নিয়েছি। শাসনতন্ত্র রচনা করতে হবে ছয় দফার ভিত্তিতে, দেশ শাসিত হবে ছয় দফার ভিত্তিতে।’ পাকিস্তানের সেনাশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া এবং পশ্চিম পাকিস্তানি শোষকেরা শুরু করলো ষড়যন্ত্র। তাদের ষড়যন্ত্রের একমাত্র বিষয়, কিভাবে বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দেয়া না যায়। তাদের এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান নামের অখন্ড রাষ্ট্রের কবর রচিত হলো। সংখ্যাগরিষ্টতা অজর্ন করেও ক্ষমতা হস্তান্তরের তালবাহনা করা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মুসলিম লীগ, নেজামী ইসলাম, পিডিপি ও জামায়াত ইসলামের নেতা-কমী ও সমর্থকরা। আসতে আসতে কক্সবাজার সফর করতে আসে। এ নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীরা জয়লাভ না করলেও প্রায় সব কটি আসনে সন্তোষজনক অবস্থানে থাকায় খুশী হয়ে পাকিস্তানের অখন্ডতা রাখার মহান (!) কাজে প্রসার প্রচারণা চালাতে পুর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীর গোলাম আযম কক্সবাজার সফর করেন ৭১ সালের ২১ জানুয়ারি।
দোহাই:
১. ডা.মাহফুজুর রহমান, বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম, মার্চ ১৯৯৩, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম,।
২. কামরুদ্দীন আহমদ, ‘স্বাধীন বাংলার অভ্যূদয় এবং অত:পর’, ফেব্রুয়ারি ২০০৬, ধ্রপদ সাহিতাঙ্গন, ঢাকা।
৩. মো.কামরুল হোদা, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: উৎস সন্ধান’, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, জুন ২০১২।
৪. ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান, মুজিবনগর সরকার ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০৮।
৫. কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার: জানা অজানা তথ্য, বিজয় (বিজয়ের ৪১ পূর্তি স্মারক), কক্সবাজার জেলা প্রশপাসন, ১৬ ডিসেম্বর ২০১২।
১,৩৮০ বার পড়া হয়েছে
আপনার লেখাটি তথ্যপূর্ণ। চলন্তিকাতে রাজনৈতিক লেখা লিখলে কোন কারন দর্শানো ছাড়াই লেখক কে সরাসরি ব্যান করে দেওয়া হয়। তবে আমাদের নীতি অনুযায়ী মহান মুক্তি সংগ্রামের পরের যে কোন ঘটনা প্রবাহ নিয়ে লিখলে আমরা লেখক কে ব্যান করি। ’৭১ কিংবা এর পূর্ব রাজনৈতিক ঘটনা এই কঠোর নিতিমালার আওতামুক্ত।
চলন্তিকায় আপনাকে স্বাগতম, এই ধরনের আরো লেখা আশা করছি,,
রাজনীতির প্রতি এত বিরুপ আচরণ কেন সম্পাদক মহোদয়!
রাজনীতির প্রতি এত বিরুপ আচরণ কেন সম্পাদক মহোদয়!তবে সামনে চেষ্টা করা হবে। গল্প কবিতা, অনুবাদ পাঠাবার চেষ্টা করবো
চার. ব্লগে কি ধরনের লেখা প্রকাশ করা যাবে বা যাবে নাঃ
ক. চলন্তিকা ব্লগে যে কোন অরাজনৈতিক লেখা প্রকাশ করা যাবে। ব্লগে প্রকাশিত ছবি, তথ্য ও লেখার স্বত্ব ব্লগারের বলে গণ্য হবে। কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো ছবি, তথ্য ও লেখা প্রকাশ করা যাবে না।
খ. ব্লগে আগের কোন পুরাতন পোষ্ট বা মন্তব্য নতুন করে পোষ্ট করা যাবে না।
গ. অন্য কারো লেখা বা কোনোকিছু বিনা অনুমতিতে এখানে প্রকাশ করা যাবে না।
ঘ. প্রথম পেজে একজন লেখকের দুটি পোষ্ট একসাথে দেওয়া যাবে না।
চলন্তিকা একটি অ রাজনৈতিক সাহিত্য বিষয়ক ব্লগ। যে কোন রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা গ্রহনযোগ্য নয়। নীতিমালা টি পড়লে জানতে পারতেন। আর এখানে প্রথম পাতাতে একই লেখকের/ প্রদায়কের একাধিক লেখা থাকতে পারবে না।
সম্পাদক মহোদয় এখানে রাজনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেললেন। এখানেও দুই নীতি বহাল থাকল। নীতি একটা হওয়া উচিত।
জনাব আমির, এখানে রাজনীতিকে দুই ভাগ করা হয় নাই। কেউ যদি আমাদের গৌরবময় মুক্তি সংগ্রামের প্রেক্ষাপট লিখতে থাকেন তাহলে সেটা আমাদের সবারই উপকার হবে। এইসব লেখা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প উপন্যাস লিখতে সাহায্য করবে। এইসব লেখা কখনই শুধু রাজনৈতিক লেখার বিভাগে পড়ে না। তবে গৌরবময় মুক্তি সংগ্রামের কথা লিখতে গিয়ে যদি কেউ ইতিহাস বিকৃতি করেন আর সেটা প্রমান পাওয়া যায় তাহলে সেই লেখক কে ব্যান করে দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ / মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করে লেখা লিখলেও লেখক কে ব্যান করে দেওয়া হবে।
আমরা বুঝি না যে আপনি মুক্তিযুদ্ধ, কিংবা ৭১ বিষয়টাকে সমর্থন করাকে কেন দুই নীতি বলছেন? মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার কিংবা ৭১ কে নিয়ে লেখাকে এর আগেও আপনি সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেন বুঝলাম না। রাজনীতি এখন দুই ভাগ, কিন্তু গৌরবময় মুক্তি সংগ্রাম আমাদের সবার।
আমির সাহেবরা যুগে যুগে এ ধরণের সমালোচনা করবে, দুই নীতি বলবে। আমি সত্তরের নির্বাচন ও কক্সবাজার লেখায় শুধু্ মাত্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অঙশ হিসেবে লিখেছি। যা দীর্ঘ ৬ বছর ধরে গবেষণাকর্ম ‘মু্ক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: কক্সবাজার অঞ্চল‘শীর্ষক বইয়ের অঙশমাত্র। নীতি নিয়ে আলোচনা কেন ওই লেখায় নিয়ে আলোচনা করেন আমি উপকৃত হবো।
প্রয়োজনে 01814495466
প্রিয় সম্পাদক মহোদয় আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি আপনার নীতিমালার বাইরে কথা বলতে চাই না। আপনার নীতিমালার উপর ভিত্তি করেই কথা বলি।
গৌরবময় মুক্তি সংগ্রাম আমাদের সবার। একথা আপনি যেমন বিশ্বাস করেন আমিও বিশ্বাস করি।
মুক্তিযুদ্ধ, কিংবা ৭১ বিষয়টাকে সমর্থন করাকে আমি দুই নীতি বলছিনা। আমি দুই নীতি এ অর্থে বলছি যে আপনি এখানে রাজনীতিকে স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে দুভাগে ভাগ করেছেন।
আপনার নীতিমালায় আছে ক. চলন্তিকা ব্লগে যে কোন অরাজনৈতিক লেখা প্রকাশ করা যাবে। তার মানে এখানে কোন রাজনীতিমূলক কোন লেখা প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু মন্তব্যের ঘরে বলেছেন ‘৭১ কিংবা এর পূর্ব রাজনৈতিক ঘটনা এই কঠোর নিতিমালার আওতামুক্ত।’তাহলে দুই জায়গায় দুরকম নীতি হল না। একাত্তরের পূর্ব রাজনীতি লিখতে পারলে একাত্তরের পরের রাজনীতি নিয়ে লিখলে সমস্যা কোথায়? কারণ রাজনীতি তো সাহিত্যেরই অংশ। আমি মনে করি এখনকার রাজনীতি নিয়ে বেশী লেখা প্রয়োজন।
আপনি প্রয়োজন মনে করলে অন্য ব্লগে সেটা লিখুন, এখানে না।
অন্য ব্লগে একাল সেকাল সব রাজনীতি নিয়েই লিখছি। কারণ আমি সাহিত্যের সব বিষয়ে লেখতে চাই। ধন্যবাদ।
চলন্তিকাতে আপনাকে স্বাগত জানাচচ্ছি। নিয়মিত লিখবেন।
নিয়মিত এই ধরনের লিখা লিখলে আমার অনেক কিছু জানতে পারবে । ধন্যবাদা ও শুভেচ্ছা রইলো লেখককে ।