সহজে চাকরি পাওয়ার কার্যকরী সাত উপায়
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1026বার পড়া হয়েছে।
জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে সঠিক ধারায় লেখাপড়া এবং প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। সঙ্গে দরকার প্রথম থেকেই সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। বার্তমানে একটা ভালো চাকরি যেন সোনার হরিণ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়ার সময় থেকেই নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে সহজে চাকরি পেতে কার্যকরী সাতটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
১. পেশা নির্বাচন
ছোটবেলা থেকেই বড়দের সঙ্গে কর্মসংস্থানের ব্যপারে খোলামেলা আলোচনা করা উচিৎ। এ বিষয়ে প্রধানত বাবা-মা বা বড় ভাই বোনেরা সাহায্য করে থাকেন। এই সুযোগ পেলে তো ভালো। না পেলে হাইস্কুল লেভেল থেকেই চাকরিজীবী বড়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তখন থেকেই মনের মধ্যে বাসনা পোষণ করতে হবে। যে চাকরি আপনার খুব ভালো লাগে তার জন্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন। তবে ছোটবেলায় কাজটা হয়নি দেখে ভেঙে পড়বেন না। আপনি যদি গ্রাজুয়েশন শেষও করেন তবুও কাজটা করতে পারেন। মনে রাখবেন, জানার আগ্রহ কোনো দুর্বলতা নয়, বরং না জানায় দুর্বলতা। নি:সঙ্কোচে সবার সঙ্গে আলোচনা করুন।
২. সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড
কলেজ বা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন যেমন-ডিবেটিং ক্লাব, থিয়েটার, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংগঠনে অবশ্যই সংযুক্ত থাকুন। এতে যেমন উচ্চ পদস্থ লোকের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে, তেমনি বাস্তব জীবনের যোগাযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সাবার সামনে নিজেকে সহজে উপস্থাপন করার অভ্যাস তৈরি হবে। যা আপনার চাকরির ভাইভাতে কাজে লাগবে।
৩. অগ্রিম জীবন বৃত্তান্ত তৈরি
সুন্দর ও মার্জিত জীবন বৃত্তান্ত আগে থেকেই তৈরি করে রাখুন। বন্ধু বা বড় ভাইদের গুলো দেখে নিজেরটা যাচাই করুন। শুধু তাই নয় প্রতিনিয়তই নিজের পরিস্থিতি তুলে ধরে আপডেট রাখুন। তারপর শিক্ষা জীবন পার করে সমৃদ্ধ একটি জীবন বুত্তান্ত চাকরির জন্য পছন্দের প্রতিষ্ঠানে দিতে থাকুন। শিক্ষার্থী জীবনের সব কর্মকাণ্ড এতে উল্লেখ থাকলে জীবন বৃত্তান্ত অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়।যেটি নিয়োগকর্তার চোখে পড়া মাত্রই নজর কাড়তে সাক্ষম হবে।
৪. স্বেচ্ছাসেবী কাজ
বন্যার্থদের সাহায্য করা, দু:স্থদেরে শীতবস্ত্র বিতরণ, সেচ্ছায় রক্তদান, মুমূর্ষরোগীকে সেবা দান, ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য অনুদান সংগ্রহ ইত্যাদি সেচ্ছাসেবামূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রাখুন। শিক্ষা জীবনে এসব করার সুযোগ থাকে। অনেকেই এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডকে সময় নষ্ট বলে উপেক্ষা করে থাকেন। এসব সেচ্ছাসেবামূলক কাজ আপনি সিভিতে উল্লেখ করতে পারেন। যা দেখে আপনার প্রতি নিয়োগকর্তা ইতিবাচক ধারণা জন্মাতে পারে।
৫. যোগাযোগ স্থাপন
এই করপোরেট যুগে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধা তো লাগেই, পাশাপাশি ভালো রেফারেন্স ও নেটওয়াকিং এর বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য পাস করা শিক্ষার্থীরা যোগাযোগের বিষয়টি গরুত্ব দিতে চান না। তারা মনে করেন, মেধা দিয়ে অবশ্যই চাকরি পাবো। আসলে সব সময় এই ধারণাটা সঠিক নয়।
৬. সমৃদ্ধ জীবন বৃত্তান্ত
অনলাইনে কিংবা অফলাইনে একটি সমৃদ্ধ জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করুন। যা দেখে যে কেউ সহজেই অনুমান করতে পারেন আপনি কোন ধরনের মানুষ। কোন বিষয়ের প্রতি আপনার আগ্রহ এবং রুচিবোধ কেমন। মনে রাখবেন, অপ্রয়োজনীয় ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সমৃদ্ধ করা প্রতারণার শামিল। সব চাকরিতে একই সিভি ব্যবহার করা যাবে না। চাকরির ধরন ও বৈশিষ্টের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবন বৃত্তান্ত দিন।
৭. নিজেকে প্রাধান্য দেয়া
প্রত্যেক শিক্ষার্থীই মনে মনে একটা বিশেষ পেশাকে লালন করে থাকেন। যা তিনি সর্বদা বাস্তবায়ন করতে চান। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থী তার নিজের ইচ্ছা বাদ দিয়ে বাবা-মার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়। যা করা বা করানো কখনোই উচিত নয়। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিলে কাজের গতি বাড়ে। ভালোভাবেও সম্পন্ন করা সম্ভব।
১,০১৬ বার পড়া হয়েছে
মাসুদ ভাই দারুন উপকারী পোষ্ট দিলেন
সুন্দর ভাবনার প্রকাশ
ভালো তথ্য । নতুন চাকরি প্রত্যাশীদের বিশেষ উপকারে আসবে ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।