সুখের বোধোদয়
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1634বার পড়া হয়েছে।
যাচ্ছে সময়, যাচ্ছে জীবন
বয়েই নিরবধি,
যাচ্ছে না তো দুখেরই ক্ষণ
চোখের অশ্রুনদী !
জীবন নিয়ে বাড়ছে মনে
হতাশারই ছায়া,
কমছে যেন বিষ লগনে
জীবনেরই মায়া !
খুঁজছি দূরে, খুঁজছি কাছে
পাইনা কিছু খুঁজে,
জীবন পাবার সার্থকতা
কোথায় পাব বুঝে ?
এরই মাঝে বিবেক জেগে
প্রশ্ন করে আমায়,
খুঁজছ কি ঐ দূর আকাশে
দূরে ঐ নীলিমায় ?
একটুখানি চোখটা মেলে
দেখবে কি অদূরে-
কেমন করে কত মানুষ
মরছে জ্বলে-পুড়ে !
চারিপাশে চোখটা রেখেই
মনটা হুহু করে,
এতো সুখেও সুখ না ভেবে
কাঁদছি বসে ঘরে ?
মনটা বুঝে বলল বিধি
চাইনা আমি সুখ,
সুখের করে দাও গো বিধি
দুঃখের বিশ্বলোক !
১,৬২৭ বার পড়া হয়েছে
কবিতার প্রতি ভালোলাগা থেকেই আমার লিখার হাতেখড়ি । কবিতার ছন্দ আমাকে ভীষণ টানে । আর তাই কবিতা পড়া কিংবা লিখায় ছন্দ খুঁজে ফিরি প্রতিনিয়ত । সে কারণেই কি না আহসান হাবীব, জীবনানন্দ কিংবা জসীম উদ্দিনের মতো কবিদের লিখা আমাকে একটু বেশিই টানে ! বিরহের কবিতাও ভীষণ ভালো লাগে । লিখাটা অবশ্য আমার শখের একটা অংশ । লিখায় আমি যে খুব একটা পারদর্শী নই সেটা কেউ সরাসরি না বললেও বুঝতে পারি । তাছাড়া আমার শব্দভাণ্ডার কতটা সীমিত তা আমার লিখা পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন । তবুও নিজের মনের ক্ষুধা নিবারণ করতে লিখে যাই । লিখতে ভালো লাগে । খুব কঠিন করে লিখতে পারিনা । অবশ্য সেরকম চেষ্টাও যে খুব একটা করা হয় তেমনটাও নয় ! অনলাইন ব্লগে লিখায় হাতেখড়ি এই (২০১৫ সাল) ফেব্রুয়ারিতে, নক্ষত্র ব্লগে । (২০১৫ সাল) মার্চে যুক্ত হলাম চলন্তিকায় । অবশ্য ফেসবুকে বছর দুয়েক আগে থেকেই মাঝে-মধ্যে লিখা হয়েছে । বলতে পারেন নগণ্য এক লেখক আমি- যে কি না শুধু নিজের মনের আনন্দের জন্যই লিখে । আর তাই এখনো (০৮-০৩-২০১৫) পর্যন্ত কোন প্রিন্ট মিডিয়াতে আমার লিখা জমা দেইনি কিংবা দেবার চেষ্টাও করিনি । স্বাভাবিকভাবেই, আমার কোন লিখা কোন প্রিন্ট মিডিয়াতে আজ পর্যন্ত ছাপার অক্ষরে মুদ্রিত হবার সুযোগ পায়নি । ইদানিং অবশ্য এ (প্রিন্ট মিডিয়া) ব্যাপারে একটু আগ্রহ জন্মেছে । সম্ভবত নবম শ্রেনিতে প্রথম কবিতা লিখি । এক বড় ভাই দেখে বলল, "তুমি তো খুব ভালো লিখ । তোমার কবিতাটা দিও ! আমি কম্পিউটারে কম্পোজ করে দেব ।" ছাপার অক্ষরে লিখা হবে আমার কবিতা... ভাবতেই আনন্দ লাগছিল ! সেই থেকে মূলত কাগজ-কলমের সাথে যোগাযোগ । নিয়মিত লিখা হয়নি কখনোই । তবে মাঝে-মধ্যে কিছু ভাবনা মনে এমনভাবে উথালপাতাল শুরু করে যে না লিখা পর্যন্ত মনে শান্তি আসে না । না চাইলেও তাই মাঝে মাঝে লিখতেই হয় । ইদানিং অবশ্য কিছুটা সময় দিচ্ছি এক্ষেত্রে । তবুও সেটা মনের ভাবকে গুছিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট নয় । লিখার ব্যাপারে কবি নজরুলের একটি কথা ভীষণ প্রিয় আমার -"বনের পাখির মতো স্বভাব আমার- কারো ভালো লাগলেও গাই, না লাগলেও গাই !" কবিতা লিখার পাশাপাশি খেলাধুলা করা, খেলা দেখা, পত্রিকা পড়া, টিভি দেখা এমনকি ছোটদের সাথে সময় কাটানোও আমার অন্যতম শখ । তবে সবচেয়ে বড় শখ ভ্রমণ ।
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খুব সাধারণ এক পরিবারের ছেলে আমি । ব্যক্তি হিসেবেও খুব সাধারণ । হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স (২০১২) শেষ করে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি । জীবনে তেমন কোন উচ্চাশা নেই । সবাইকে নিয়ে একটু ভালো থাকা... এই তো চাওয়া !
সর্বমোট পোস্ট: ১১৩ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১৯০০ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৫-০৩-০৮ ০৩:০৩:৫৯ মিনিটে

মন্তব্য করুন
মন্তব্য করতে লগিন করুন.
বেশ ছন্দময়
,,,,,,,,,,,,,,সুন্দর ভাবনার প্রয়াস লিখনী
শুভ কামনা রইল
বেশ বলেছেন তো ! সত্যিই কি ভাবনা এতোটা সুন্দর ছিল ?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সবুজ ভাই ।
“এতো সুখেও সুখ না ভেবে
কাঁদছি বসে ঘরে ?”
এরই নাম বুঝি ‘সুখের অসুখ!
ঠিক বলেছেন কবি !
আমার চেয়ে নিচের অবস্থান দেখাতেই আমার সুখ ! আর আমার চেয়ে উপরে তাকালেই শুধু অস্বস্তি আর কষ্ট !
আশেপাশের দুঃখী মানুষগুলোর দিকে তাকালে তবেই না বুঝতে পারি আমরা আসলেই কতটা ভালো আছি । আমার ছড়া-কবিতার সারসংক্ষেপই বলতে পারেন এটা ।
মনটা বুঝে বলল বিধি
চাইনা আমি সুখ,
সুখের করে দাও গো বিধি
দুঃখের বিশ্বলোক !
তাই যেন হয়।
হুম, আমিও চাই আমার সাথে আপনার সমর্থিত প্রার্থনাও কবুল হোক ।
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য ।
ছন্দ ছড়া অনেক ভাল লাগল
আমারও অনেক ভালো লাগলো… আপনার মন্তব্য পেয়ে । ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন আপু ।
এক যে ছিলো পূর্ব, নিয়ে শুরুর অহংকার
জাগে ভোরের শহর, ধোঁয়া ওঠা চুমুক তার
তুমি জানতে, জানতে, জানতে, জানতে সময়।।
দারুণ একটি ছড়া পাঠ হলো।
শুভ সকাল।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
চমৎকার কিছু কথার মাধ্যমে খুব সুন্দর করে জানিয়ে গেলেন ভালোলাগার অনুভূতি !
অনুভূতিতে চমৎকার তৃপ্তি পেলাম ।
যেন অসহ্য গরমের মধ্যে একরাশ বৃষ্টির তৃপ্তি !
ধন্যবাদ প্রিয় । বৃষ্টির স্নিগ্ধ সকালের শুভেচ্ছা জানবেন ।
বাহ
চমৎকার
ধন্যবাদ দাদা । শুভেচ্ছা জানবেন ।