সোহাগ এর সুন্দরবন পরিবহন এক্সপ্রেস
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1023বার পড়া হয়েছে।
৬ষ্ঠ পর্ব
খাচার ভিতর অচিন পাখী
পাখী কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মনোবেড়ী
দিতাম পাখীর পায়।
পাখী কেমনে আসে যায়।
এক গ্রাম্য বাউল তাদের পাশ দিয়ে দোতারা বাজিয়ে গান গাইতে গাইতে পথ চলছে।
আহা কি গান সোহাগ চোখ বন্ধ করে শুনতে শুনতে তাল মিলায়।তার মোবাইল বেজে উঠল।নাম্বার টা একনজর দেখে সে ফোন কেটে দিল।
ভাইজান ভাবীসাহেবের ফোন ?রশীদ জিজ্ঞাসা করে।সোহাগকে নিরুত্তর দেখে বলে আপনার ফোন ধরা উচিত ছিল ভাইজান।অভিযোগ রশীদের।
নাহ ধরলেই ক্যাচাল।কোথায় আছ কি করি।তার ধারনা আমার আরেক সংসার আছেরে।হতাশায় বলে উঠে সোহাগ।ক্যাচালের জাত।
তাত কইব ভাইজান।প্রায় দুইদিন হইতে চলল আপনি ভাবীসাবরে না দিছেন ফোন না ধরছেন ফোন।রশীদ বুঝানোর ভাবে বলে।
এখন তো ফোন ধরতেছিনা রাগে।ঘর থেইকা বাহির হওনের সময় এমন করছে বেটি ভাবতাছি আর ঘরে ফিরুম না।বাসে ঘুমামু এখন থেইকা।
ঠিক আছে ভাইজান আমরা দুইভাই বাসে ঘুমামু কিন্তু খানা দানার কি হইব?
দাড়া একটা ষ্টোভ কিনমু।তুই আমি মিইলা ঝিলা রানমু।পারতিনো?
ডাল আলুভর্তা ডিম ভাত তো পাকাইতাম পারমু ভাই।কোন চিন্তা কইরেন না আল্লাহ ভরসা।
সবাই নদীর পাড়ে সুন্দর হাওয়ায় ঘুরছে।কেও কেও ছবি তুলছে।একটা সুন্দর নিরিবিলি গাছ থেকে সোহাগ আর রশীদ বসল ।
একজনকে দেখা যাচ্ছে পাগলের মত চক্রাকারে দৌড়ে চাচ্ছে পায়ের একজায়গা ধরে।তারসঙ্গে চিৎকার ত্রাহি ত্রাহি
ও মাগো ওমাগো ওমাগো ওমাগো।
এই ব্যাটা দেখি কানের পর্দা পাটাই লাইব ।রশীদ দৌড়ে এসে দেখার চেষ্টা করল।
হাত মুঠ করে দেখাচ্ছে ভিঙ্গুল ইয়া বড় ভিঙ্গুল বলে সমানে দৌড়ায় যাচ্ছে।
রশীদ দৌড়ে যাচ্ছে সমানে সমানে।ওরে বাপরে বেটা তো অলিম্পিকে দোড়ায়।তারে ধরা যাচ্ছেনা।
সে দৌড়াচ্ছে তার পিছনে আরও তিনজন দৌড়াচ্ছে।রিলে রেস প্রতিযোগিতা যেন ।
তিনজন মিলে লোকটকে কাবু করল।তার হাত খুলে পোকা বের করে মারল।
মিঞা তুমি ফালায় দিলেতো হত।একজন ধমক দিয়ে বলল।
লোকটি বলল যদি আৎরে কামড়াই দেয়।ভয়ে মুঠ খুলিনো।
বেকুবের কথা শোন।রশীদ হাসতে হাসতে খুন।
বারটা বাজতে সবাই এসে বাসে বসল। অবশেষে তারা রওয়ানা হল ঢাকার উদ্দেশ্যে।
আপাতত এই হল সোহাগের সুন্দরবন পরিবহন এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রার কাহিনী।
১,০৯৯ বার পড়া হয়েছে
ভ্রমন কাহিনী ভাল লাগলো । শুভ কামনা । ভাল থাকুন সতত ।
আজকের ভাল হয়নি।ছোট হয়েগেছে।তবু পড়েছেন কমেন্টস করেছেন।ধন্যবাদ রইল।
ভাল লাগল গল্প। লিখে যাও আপি সাথেই আছি
ধন্যবাদ আপি কমেন্টসের জন্য।আমিও সাথে আছি।ভাল থাকবে।
ভাল লাগল গল্প।শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ।আপনার জন্য ও শুভকামনা থাকল ।
আবারও ভাল লাগা।
ধন্যবাদ কাশেম ভাই।ভাল থাকবেন।
এর পরের ঘটনা খুব জানতে ইচ্ছে করছে ——– ।
আসব পরে নুতুন ঘটনা নিয়ে ইনশাআল্লাহ।ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।ভাল থাকুন।
খাচার ভিতর অচিন পাখী
পাখী কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মনোবেড়ী
দিতাম পাখীর পায়।
পাখী কেমনে আসে যায়।
গানটি কি আমার জন্য নাকি ? তোমার লেখা ভালো লাগলো ।
আমাদের সোল বা রুহ এর কথা বলেছেন গীতিকার।তুমি যদি ভেবে নিতে চাও লেখক তোমাকে বলেছে কোন বক্তব্য বা মেসেজ তা তুমি ভাবতে পার।যে কোন ম্যাসেজ তুমি ক্যারি কর অথবা গ্রহন করতে পার।রবীন্দ্রনাথ এর কিছু প্রেমের গান কে অনেকে বলে আধ্যাত্নিক ভগবানকে উল্লেখ করে লিখছেন।যে যেভাবে দেখছে।তবে লেখাকে পাঠকের ভার্চুয়াল বোধে চিন্তা করা উচিত সীমাবদ্ধতা না টেনে।কোন কোন লেখা বিভিন্ন ধরনের ভাব জাগায় মনে লালন এর এই গানটা যেমন।ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবে ।
খুব ভালো হয়েছে লেখাটি ।স্বপ্নের যাত্রায় ডুব দিয়েছিলাম । ধণ্যবাদ ।
ধন্যবাদ সাঈদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।