হঠাৎএকদিন(গোয়েন্দা কাহিনী)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1751বার পড়া হয়েছে।
(পর্ব-চার)
মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজান ধ্বনি ভেসে আসছে।সুবহ সাদিকের এর সময়টা আনোয়ারের বড় প্রিয়।জানালার পর্দা সরিয়ে কিছুক্ষন আবলোকন করল প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য।চমৎকার সকাল নয়নাভিরাম প্রকৃতি স্বত্বেও তার স্নায়ুর এক অংশ হয়ে আছে অত্যন্ত সজাগ।কি যেন একটা মেসেজ প্রকৃতি তাকে কাল রাত থেকে দিয়ে যাচ্ছে।কি সেটা সেটা বের করার চেষ্টা করছে সে।
সবঘটনা একটার পর একটা কাগজে ড্র করে সাজিয়ে নিচ্ছে।একইভাবে কল্পনার চোখে ঘটনাগুলিকে ঝালিয়ে নিচ্ছে।করিম সাহেবের খুন হওয়া বাড়ীর দারোয়ানকে পুলিশের ধরে নিয়ে যাওয়া একাকী থাকা অল্পবয়সী মেয়ে ভাড়াটিয়ার সাথে পরিচিত হওয়া়একতলার ভাড়াটিয়া আহসান মন্জিলে বাস করা এবং আসাদের উপর হামলা হওয়া।মেয়েটির সাথে সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মেয়েটার সাথে অন্য ভাড়াটিয়াদের সম্পর্ক।আসার সময় তাদের অনুসরন কে করতে পারে?আসাদ?
ওহহো কি ভাবছে সে আসাদ তো এখন হসপিটালে অজ্ঞাত আততায়ীর ছুরিকাঘাতের পর।নিজের মাথায় টোকা দেয় আনোয়ার বিরক্তিতে।নাহ এভাবে ভাবলে হবেনা।আবার শুরু করল ঘটনার বিশ্লেষন।
ভাবতে ভাবতে চোখ মুখ উজ্জল হয়ে উঠল।
তাইতো দুইহাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে চিৎকার করে উঠল
ইউরেকা পেয়েছি।উচ্ছসিত হয়ে তালি দিয়ে উঠল চিৎকার করে।
আর্কিমিডিস বন্ধু শার্লক হোমস বন্ধু আবার কি পেলে?ঘুমজড়িত কন্ঠে আলিম বলে উঠল।
তোমার গোয়েন্দা তৎপরতা গবেষনা বন্ধু কিছুক্ষনের জন্য যদি অফ করতে ভাল হত।একটু ঘুমিয়ে নিতে চাই।
বন্ধু তুমি শার্লকহোমস হও অসুবিধা নাই।পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওয়াটসন খুজে নাও ।আমি সাধারন মানুষ তোমার খুনীগুলির ছুরির নীচে মাথা দিতে এখদম চাইনা।ঘুমজড়িত কন্ঠে মজা করে আলিম বলে।
না বন্ধু এখন মাপ নাই
সহকারী পোষার টাকা নাই।
অতএব বন্ধু তোমার মত গর্দভ ভলান্টিয়ার নিয়ে কাজ করতে হবে বলে একটানে বন্ধুর গায়ে থেকে কাঁথা সরিয়ে দিল।
উঠে পড় শীঘ্রই ক্রিসেন্ট লেক যাব।তাড়াহুড়ায় আনোয়ার বলে।
অগত্যা আলিমকে বিছানা থেকে উঠতে হল।
তাড়াতাড়ি রানিং শু পরে নাও।বন্ধু দৌড়াতে হতে পারে আজকে।বলল ব্যস্ততায় আনোয়ার।
দুইবন্ধু অনেকক্ষন খোলা মাঠটিতে হাতপা বাকিয়ে কসরত করে যাচ্ছে।এখনও কোন আশানুরুপ ঘটনা দেখা যাচ্ছেনা।আলিম স্পষ্টই বুঝতে পারছে তার শার্লক হোমস বন্ধু কিছু একটা প্রত্যাশা করছে চোখ কান খেলারেখে।
হঠাৎ সাই করে চাকতির মত ঘুরতে ঘুরতে একটি ছোট ছুরি উড়ে এসে জুড়ে বসল গেথে গেল সামনের মাটিতে আলিমের ধারনাকে সত্য করতে যেন। আলিম আনোয়ারের মাঝখানে জায়গায় মাটিতে ছুরিতে একটুকরা কাগজ গেথে পড়ল।সম্ভবত কোন বার্তা হবে ক্রিমিনালের পক্ষ্যে থেকে।দুইজনে লাফ দিয়ে উঠে দাড়াল।
(পরবর্তীতে)
১,৮৭২ বার পড়া হয়েছে
ফন্টজনিত সমস্যা হয়েছে বোধ হয়। আপনার লেখাটা পড়া যাচ্ছে না।
আলমগীর ভাই ঠিক করেছি।দেখুন এখন।
আমি তো বুঝতে পারছিনা ফন্ট এরকম দেখাচ্ছে কেন?আনোয়ার ভাই কষ্ট করে দেখবেন কি?
ওরে বাব্বা,
মুন আপুকে পেয়ে খুব ভাল লাগল।কিন্তু ফন্ট সমস্যায় পড়া হলো না।নো প্রবলেম, সমস্যা ঠিক হবে আশা করি।নো টেনশন।
ঠিক করেছি পড়ুন এখন।রব্বানী ভাই আপনাকে এখানে পেয়ে ভাল লাগছে।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পড়লাম প্রিয়।খুব খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ প্রিয় প্রিয় স্কয়ার ভাই।সবসময় এইভাবে প্রেরনা দিয়ে যাবেন।
সাবলীল ভাষায় চমৎকার লেখনী !
ধন্যবাদ আমার অত্যন্ত প্রিয় জসীম ভাই।অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ,আগের পর্বগুলি পড়িনি । তাই সার্বিক বিচার দিতে পারছিনা । এ পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে গল্প বেশ জমে উঠেছে । ছোট বেলায় পড়া স্বপন কুমারের সিরিজের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল ।
তাপসদা!!!আপনার মত গুনী ব্যাক্তি কমেন্টস করলে অনেক প্রেরনা পাই।
ধন্যবাদ তাপসদা মন্তব্যের জন্য।শুভকামনা রইল।ভাল থাকবেন।
ভাল লাগল আপি। বাকিগুলো পড়ব
দারুন লিখা ভাল লাগলো