হঠাৎ একদিন (গোয়েন্দা কাহিনী)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1871বার পড়া হয়েছে।
পর্ব =সাত
এক সপ্তাহ পরের কথা। আসাদ আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠেছে। কথা হচ্ছিল এই মেয়েটির এপার্টমেন্ট এ সেদিন। সে তার আর ও কিছু বন্ধু বান্ধব কে ডেকেছে। তাদের সঙ্গে আলিমরা ও আমন্ত্রিত। আজ মেয়েটি বেশ উছল হাসি খুশি। ওইদিনের বিষন্নতার কোন লেশমাত্র মেয়েটির চেহারায় বা আচরণে নেই। তার নাম মিথিলা।
কথা হচ্ছিল করিম সাহেব এর খুন বাড়িওয়ালা আর কোন আত্মীয় স্বজন আছে কিনা ? এত বড় ঘটনা হয়ে গেল এখন ও কাওকে দেখা গেলনা বাড়ির।
পাশের বাসা উপরের আর নিচের মিলে বেশ অনেক মানুষ। জমজমাট আড্ডা। আজ মিথিলার জন্মদিন। সবাইকে সে দাওয়াত করেছে। দেখা গেল সবাই তার জন্য গিফট এনে ঘর ভরিয়ে ফেলেছে। এমনকি বয়স্ক মুরুব্বি জাতীয় দুই মহিলা কে দেখা গেল এসে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে হাত এ প্যাকেট ধরিয়ে দিচ্ছে। মা তেমন কিছু কিনতে পারিনাই গো দেখো তোমার পছন্দ হয়নি। ভিতরে রিসিট আছে। বদলাই আনতে পারবা।
মিথিলা খুশি হয়ে প্যাকেট নিয়ে খুলে খুশিতে আত্ম চিত্কার দিল বলা যায়।
খালাম্মা আপনি পাগল হলেন এত দামী ড্রেস কেন কিনতে গেলেন ? আমি আপনাকে এমনি ডাকছি খালাম্মা। কি যে কান্ড না আপনার। বললে ও সে লজ্জায় খুশিতে ঝলমল করতে লাগল। এই খালা খালু তাকে সত্যি মেয়ের মত ই ভালবাসে।
ঈদ এর দিন পরবা মা। আমি তোমার খালুর সঙ্গে গিয়া চয়েস কইরা কিনছি। তুমি কত কিছু কিন আমাদের জন্য , আমরা আর কি দেই বল। আর ও অনেকে আসল কেও খাওয়ার , ফুল বিভিন্ন গিফট নিয়ে। বেশ জমজমাট আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিছুক্ষণ পরে আসল আসাদ আর তার একবোন এবং তার বাচ্চা।
আসাদের বোন এসে জড়িয়ে ধরল মিথিলা কে।
আনোয়ার চা নিয়ে চলে আসল বারান্দায় চিন্তা পরিষ্কার করার জন্য। সে মোটামোটি কেসের শেষ পর্যায়ে চলে আসছে তার পর ও দুই একটা জিনিসে খটকা থেকে যাচ্ছে। বারান্দায় দাড়িয়ে চা খেতে খেতে সামনে বাগানে দৃষ্টি পরে যায়। অন্ধকার জঙ্গলে কিছু একটা হুটুপুটি ধ্বস্তাধ্বস্তির অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। বাগানের এই জায়গা অন্ধকার বলে কিছু পরিস্কার দেখা যাচ্ছেনা। পকেট থেকে সে তার পেন্সিল টর্চ বের করে এদিকে তাক করল। আবছায়ায় একটা মানুষের মুখ মনে হল।
এই তুই কেরে ? অন্ধকারে কি করিস , বাজখাই গলায় আনোয়ার বলে উঠে ইচ্ছাকৃত লোকটিকে ভয় দেখানোর জন্য।
ধুপ ধাপ দৌড়ে লোকটি নিমিষে অন্ধকারে হারিয়ে গেল।
লাপ দিয়ে রেলিং দিয়ে সে নিচে পড়ল। ততক্ষণ অজ্ঞাত লোকটি হওয়া। একজনের কাতরানির আওয়াজ পেয়ে দৌড়ে এসে পেল এই বিল্ডিং এর কেয়ারটেকার লোকটিকে পিছমোড়া বাধা অবস্থায়।
তাড়াতাড়ি বাধন খুলে দিল। কিছুক্ষণ লোকটি হাপাল। তারপর সুস্থির হয়ে বলল
ধন্যবাদ বাবা।
কি হয়েছে আপনার ? এখানে বাধা অবস্থায় কেন? কে ই বা দৌড়ে পালাল ?
চিনিনা বাবা। আমি পিছনে আসছিলাম একটু হাটাহাটির জন্য। তখন কে যেন শক্ত কইরা ধরল , তারপর এ বাইধা ফেলল তার সাথে আমারে নিয়া যাওয়ার জন্য। এখন ও অবাক লাগতাছে কে এরকম করতে আমার সাথে বলে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখল। আনোয়ার তার ইনটিউশান থেকে বুঝল মিথ্যে বলছেন লোকটি। কিছু একটা আছে ভিতরে। সম্ভবত মিথিলার বাসার কোন একজন অতিথী এর সাথে জড়িত। দৌড়ে মিথিলার ঘরে আসল। না এখন সবাই আছে দেখি। কেও যায়নি।
আনোয়ার চিন্তান্নিত হয়ে পড়ল।
কি শার্লক হোলম দেখলাম বারান্দায় গেলি , ঢুকলি দরজা দিয়ে। কি বন্ধু ব্যাপার কি। আলিম এর চোখ মুখ কৌতুহল এ ফেটে পড়ছে।
টেবিল এ প্রচুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। হরেক রকমের ভাজা ভুজি সহ তেহারি ,তন্দুরি নানাধরনের খাওয়ার এ টেবিল বোঝাই। খাওয়ার গন্ধে সারাঘর মৌ মৌ করছে।
আলিম টেবিল এ বসে খাওয়ার উপরে এমনভাবে ঝাপিয়ে পড়ল মনে হল এর জন্য ই অপেক্ষা করছিল। বন্ধুর পেটে একটা গুতা মারল আনোয়ার।
পেটুক রয়ে সয়ে খা। এ তোর ঘর না। ওই মেয়ে বলবে কি ?
আলিম ততক্ষণে দুইটা তন্দুরি শেষ করে তৃতীয় টার দিকে হাত বাড়িয়েছিল সবে , বন্ধুর কথায় হেসে তাকাল।
ওমা তুই দেখি শুরু করলিনা। অনেক মজা খা খা। তোর সাথে থেকে কি আর খাওয়া হয় ? সবসময় ক্ষুধার্ত থাকি।
আহ কি স্বাধের। বিয়ে করতে হবে এরকম মেয়ে যার রান্নার হাত ভাল। মজা করে সে বলে।
তা তুই জানবি কিভাবে তুই কি রান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করবি অনেক মেয়ে নিয়ে , যে রাধুনি ভাল রাধবে তাকে বিয়ের প্রোপসাল দিবি। আগের রাজকুমারীদের স্বযন্বরা প্রতিযোগিতার মত , আনোয়ার কৌতুক করে বন্ধুর কথার জবাব দেয়।
খাওয়ার শেষ করে গল্প করতে করতে কেটে যায় আর ও কিছু সময়। অবশেষে যখন মিথিলার বাসা ত্যাগ করে রাস্তায় বেরিয়ে আসে তখন বাজে রাত বারটা।
কিছুক্ষণ আগের ঘটনা শেয়ার করতে বন্ধুর কাছে পেয়ে যায় উল্লেখযোগ্য তথ্য। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব বা কেন ই বা আসাদ এরকম করবে।
আসাদ কিছুক্ষণের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিল এবং ঘরে ফিরে এসেছে আনোয়ার মিথিলার ঘরে পৌছানোর একটু আগে।
হয়তবা কো ইনসিডেনস বিড়বিড় করে বললেও তার কপালে চিন্তার রেখা।
(পরবর্তীতে)
১,৮৫২ বার পড়া হয়েছে
আপনার ধাবাহিক পড়া হয়নি–শুরু থেকে না পড়লে বুঝবোনা। তবে আপনারও অনেক বানানভুল আছে-এক সপ্তাহ=একসপ্তাহ (একদিন/একটাকা)ইত্যাদি অনেক
আমার চোখের প্রবলেম হল নাকি ? একসপ্তাহ একদিন একটাকা কি একসাথে হবে না দুইটা শব্দ হবে ? কি বুঝাচ্ছেন পরিষ্কার করেন নি।পরিষ্কার করে বলুন। কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
দারুন রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। আপনার সাথে আছি।
ধন্যবাদ সাখাওয়াত ভাই চমত্কার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুন।
আপনার লেখাটি সুন্দর। খুব ভাল লাগল। ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
ধন্যবাদ ওবায়দুল ভাই মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
চমৎকার আপু।এভাবেই এগিয়ে যান সামনে।
চমৎকার আহমেদ ভাই।এভাবেই এগিয়ে যান সামনে।
আপনার লেখাটি ভাল লেগেছে
আপনার কমেন্টস টি ভাল লেগেছে । ধন্যবাদ
অনেক ভালো লাগছিলো তবে পুরোটা পড়তে পরলাম না । পড়ে এসে আবার পড়ে যাবো । সুন্দর হয়েছে । ধণ্যবাদ আপু
ধন্যবাদ সাইদ ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাল লাগতেছে আপি।
আপু, এ পর্ব অনেক ভালো লেগেছে।
ধারাবাহিক পড়তে পারিনাই, ধারাবাহিক ভাবে পড়তে পারলে হয়ত আরো বেশি ভালো লাগতো।