হঠাৎ একদিন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1321বার পড়া হয়েছে।
পর্ব =নয়
১আসসালাতু খাইরুম মিনান্নার
আসসালাতু খাইরুম মিনান্নার ..দুরের মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজান ধ্বনি ভেসে আসছে।
আনোয়ার কিছুটা লাপ দিয়ে উঠে বসল বিছানায়। বাপস এত জীবন্ত স্বপ্ন দেখে মানুষ।ঘুম ভাঙ্গল তার হাত মুঠো করা অবস্থায়।ঘুমের মধ্যে কাওকে ঘুষি মারার প্রস্ততি নিচ্ছিল। প্রথমে কিছুক্ষন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল নিজের হাতের দিকে।
এ যাহ এ তো স্বপ্ন মুঠো করা হাতের দিকে তাকিয়ে সে হেসে ফেলল।
একই সময়ে আলিম তাকাল ঘুম ভেঙ্গে। এই এই দাড়া বলে চিৎকার দিয়ে উঠছিল ।সে ভাবছিল আনোয়ার তাকে ঘুষি মারতে যাচ্ছে ।
যা যা তুই ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করিনা বন্ধুর দিকে তাকিয়ে সকৌতুকে বলে। এরকম লাফায় বিছানায় ।ঘুমাতে পারিনি তোর জন্য। আজ থেকে আমার রুম থেকে গেট আউট তুই..বন্ধুরে ধাক্কা দিয়ে বলল।
কি বন্ধু মনে হচ্ছে স্বপ্নে মোলাকাত হয়েছে প্রিয় বন্ধু খুনীটার সাথে।আলিম ও জবাব দেয় হাসিমুখে।
যা চা বানা ।মেজাজ টং হয়ে আছে।
মেজাজ টং কেন?
স্বপ্নটা মনে করতে পারছিনা রে।জীবনের প্রথম রহস্য কেস এত দূর্বোধ্য হবে ভাবতে ই পারছিনা।কে খুন করল কেনই করল সব ধাধার মত মনে হচ্ছে ।হতাশ মনে হচ্ছে ওকে এখন।
আরে দুর রিল্যাক্স হও।দুই একদিনে কিছু একটা ক্লু বের হয়ে যাবে ।ভরসার কন্ঠে বলে আলিম।
ওইদিনের প্রাচীর টপকানো লোকটাকে পাকড়াও করতে পারলে কিছু জানা যেত।
২ নামাজ শেষ করে প্রতিদিনে ছাদের খোলা বাতাসে হাটা আনোয়ারের প্রিয় অভ্যাস। তার বিল্ডিং এর সিনিক বিউটি চমৎকার। আশে পাশের বড় গাছের সাথে দুরের বুড়িগঙ্গা নদী টা যেন শান্তির আমেজ এনে দেয় মনে।ছাদ থেকে ঝুলে আছে বাগান বিলাসের সুন্দর লতানো গাছ।আশেপাশে দেখতে অদূরে এক দোকানে দৃষ্টি চলে যায় তার ।এত ভোরে দোকান খোলেনি ।কিন্তু লোকটিকে দেখা যাচ্ছে।গভীর মনোযোগের সাথে তাদের বিল্ডিং এর দিকে তাকিয়ে আছে। লোকটিকে তাকে দেখতে পেলনা ।কেননা সে আছে গাছপালার আড়ালে।
এদিক ওদিক করতে করতে পট করে তাদের বিল্ডিং এর ভিতরে ঢুকে গেল। তাদের বিল্ডিং টা তিনতলা। লোকটা এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে ছদের দিকে তাকাল।আনোয়ার ঝপ করে মাথা নামিয়ে ফেলল।
এত সকালে কার বাসায় যায়? নাকি এখানে থাকে? তবে গতিবিধি এত চোরের মত কেন?
ঠিক এইসময় আলিম ছাদে এল চা বিস্কুট নিয়ে।
আনোয়ার দৌড়ে নামা শুরু করল।
দাড়া দাড়া বলে চা হাতে নিয়ে চিৎকার করে লে ও নামতে থাকে।
পড়িমড়ি করে নীচে নেমে এল। লোকটি আবার ও উধাও হয়ে গেল।কোন ইউনিটে যে ঢুকল বোঝা যাচ্ছেনা। একটা কাজ করা যায় কিছুক্ষন নীচে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে দেখা যাক।
একঘন্টা পার হল ।কোন মানুষ কে উপর থেকে নামতে দেখলনা।
এইসময় দোতলা থেকে কোন মানুষের চিৎকার ওর আওয়াজ পেতে চমকে তাকিয়ে দেখল বারান্দায় দুইজন মানুষ দস্তাদস্তি করছে।
এই খবরদার দাড়া বলছি আনোয়ার চিৎকার দিয়ে উঠল।লাফিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে শুরু করল।
দোতালার দরজায় জোরে লাথি মারতে খুলে গেল ।লিভিং রুম সংলগ্ন বারান্দাটি ।
শেষবারের মত লোকটি তাকাল তার দিকে এবং লাপ দিয়ে পড়ল নীচে ।
এই থাম থাম চিৎকার দিয়ে উঠল তারা পিছন থেকে । লোকটি সার্কাসের এর লোকের মত নিপূল দক্ষতায় দোতালা থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ল ।শেষবারের মত তাকিয়ে দুড়দাড় করে দৌড়ে গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল।
লোকটির চেহারা খোদাই হয়ে গেল আনোয়ারের মস্তিষ্কে। বাপরে এ কি চেহারা।
মুখ টা কি পোড়া না মুখোশে ঢাকা দূরত্বের কারনে সঠিক আন্দাজ করতে পারলনা।
বারান্দায় পড়ে আছে আহত লোকটি ।ব্যাথায় সে কাতরাচ্ছে ।বড় কোন ক্ষতি হয়নি লোকটির যা বুঝল ।শুধু ধস্তধস্তি কারনে আহত হয়েছে লোকটি।যদিও ভয়ে তার মুখ নীল হয়ে গিয়েছে।
লোকটিকে উঠিয়ে সোফায় বসানো হল। অজ্ঞাত লোকটি কে ,পরিচয় কি ? জিজ্ঞাসা করতে বলে উঠল বলছি ভাই একগ্লাস পানি দিন আগে। এখন ও সে কাপছে।
পানি শেষ করে নিজে উঠে দরজা বন্ধ করে বসল।বলতে শুরু করল তার কাহিনী।
(পরবর্তীতে)
১,২৬৯ বার পড়া হয়েছে
কতদিন পর আপুর গল্প পেলাম থ্যাংকু আপি।
কাহিনী সুন্দর আগাচ্ছ।
ধন্যবাদ আপি গল্পটি পড়ার জন্য।ভাল থেক।অনেক শুভেচ্ছা তোমার জন্য।
http://www.somewhereinblog.net/blog/d2kshajib/30013650
আপু,আপনার কোন সাড়াশব্দ নেই কেন ?