হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1095বার পড়া হয়েছে।
আগে পাটি বানাইয়া সংসার চলত। কিন্তু এখন আর চলে না। আগের মতো শীতল পাটি তৈরী হয় না। এ পেশার সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মানুষরাও আর এ পেশায় টিকতে পারছেন না। অস্তিত্বের সংকটে এই শিল্পটি আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রামের পাড়া গাঁ ঘুরে দেখা যায় ধ্বংসের মুখে ঐতিহ্যবাহী এ পেশা। নতুন প্রজন্মের কেউ এ পেশায় আসছে না। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাটি শিল্পের চরম দৈন্যদশার জন্য নতুন করে কেউ আর এ পেশায় আসতে আগ্রহী নয়। এই পেশায় টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে অভিবাবকরা মুখ ফুটে সন্তানদের এসব কাজ শিখার কথা বলতে পারেন না। পাটি শিল্পের শিল্পি গোপীদাস জানান, একটি শীতল পাটি তৈরী করতে পরিশ্রম বাদে ৮০০-১০০০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ২০০০-২৫০০টাকা। একটি শীতল পাটি তৈরী করতে তাদের ১২-১৫ দিন সময় লাগে। তিনি জানান, দাম না থাকার কারনে আগের মতো পাটি এখন তৈরী হয় না। শীতল পাটির কদর ছিল দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপরে প্রাবাসী বাঙ্গালীদের কাছে। পাটি শিল্পকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে সরকার আন্তরিক হলে ধ্বংসের পথে দাঁড়ানো আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা। পাটি শিল্পী পিযুষ দাস বলেন, একটা সময় এটি বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ছিল। এখন আর এর খোঁজ কেউ রাখে না। বাপ দাদার পেশা আমরাও একই কাজ করে জীবন পার করছি। আমাদের বয়সীদের মৃত্যু হলে এই পেশা হারিয়ে যাবে। তিনি এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারী বে-সরকারী পৃষ্টপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋন দেওয়ার কথা বলেন।
১,২১৬ বার পড়া হয়েছে
ছোট সময় দেখতাম আমার দাদা-দাদী শীতল পাটি বানাতো। সপ্তাহে একদিন বাজারে নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করতো। দাদা-দাদির দেখাদেখি আমিও শীতল পাটি বানাতে পারতাম। দাদা-দাদীর মৃত্যু হয়ে আজ ১৫ বছর। এতদিনে শীতল পাটি আমাদের গ্রাম থেকে হারিয়ে গেছে। আর নিজেও যেন পাটি তৈরি করা ভুলে গেছি।
ধন্যবাদ লেখককে এমন একটি ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ শীতল পাটি নিয়ে এমন লেখার জন্য।
শীতল পাটি হারিয়ে যেতে বসা একটা গ্রামীন শিল্প। সে কালে শ্বাবাশুর বাড়িতে গেলে বসতে দিত তোলা শীতল পাটি বিছায়।
ভাল লাগা জানালাম ।
লেখকের কোন সাড়া পেলাম না।
মা-দাদীদের এখন আর দেখিনা শীতলপাটি বানাতে,আমরা জানিনা শিখিনি কখনো।
শীতল পাটি হারিয়ে যায়নি, খেজুর পাতার পাঁট হারিয়ে গেছে।