হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হওয়ার ৫টি লক্ষণ
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1729বার পড়া হয়েছে।
‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’ যাকে আমরা সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া হিসেবেই বুঝে থাকি। নিঃসন্দেহে এটি অনেক মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগটি মূলত অতিরিক্ত কলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে যা হৃদপিণ্ডের ধমনীকে ধীরে ধীরে ব্লক করে ফেলে। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী চিকন হয়ে যাওয়া বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তের সাথে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে। এই সকল কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয়। কিছু লক্ষণে বুঝে নেয়া যায় ধমনী ব্লক হয়েছে কি না। এই সকল লক্ষণ রোগীর সুস্থতার জন্য সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১) শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া
সামান্য সময় হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ১-২ তলা পর্যন্ত উঠা বা অন্যান্য দৈনন্দিন ছোটোখাটো কাজ করে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা, ছোটো ছোটো নিঃশ্বাস নেয়া এবং নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া ধমনীতে ব্লক হওয়ার প্রধান লক্ষণ। যখন আমাদের ধমনীতে ব্লক থাকার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত হৃদপিণ্ডে পৌছায় না তখন এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
২) বমি বমি ভাব
হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অনেক বেশি বমি বমি ভাব হওয়া। এর পাশাপাশি পেটের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হওয়াও অবহেলা করা উচিত নয়।
৩) মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব করা
ধমনীতে ব্লক তৈরি হলে রক্তের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে না। এর ফলে মাথা ঘোরানো, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা এবং উদ্বেগ ও অস্থিরতা অনুভূত হয়। এইসকল ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। এবং যতো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
৪) দ্রুত অথবা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
যখন হৃদপিণ্ডের ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে বাঁধা তৈরি হয়। এর ফলে তখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য দ্রুত পাম্প হতে থাকে। এছাড়াও ব্লক থাকার কারণে সঠিকভাবে হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করতে পারে না তখন অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সৃষ্টি হয়। এতে করে বুকে ব্যথা ও মাথা ঘোরানো শুরু করে। এই অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
৫) এন্জিনা
এন্জিনা ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। যাদের এন্জিনা রয়েছে তারা অনেক সময়েই বুকের মাঝে ব্যথা ও অস্বস্তি অনুভব করতে থাকেন। এই ব্যথা সাধারণত বুক ভারী লাগা, বুক চেপে ধরা ধরণের, বোধশক্তি হারিয়ে ফেলা অথবা প্রচণ্ড ব্যথা ও জ্বালাপোড়া ধরণের হয়ে থাকে। এই ব্যথা পরবর্তীতে বাহু, পিঠ, ঘাড়, গলা, পাকস্থলী ও চোয়ালের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই লক্ষণগুলো একেবারেই অবহেলার নয়।
১,৭১৮ বার পড়া হয়েছে
অত্যন্ত উপকারি পোস্ট।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল।
Important health care post ,
Thank you.
অনেক উপকারী পোস্ট
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অনেক দরকারি পোস্ট । বিষয়টি সকলকে সহজে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
অনেক প্রয়োজনীয় পোষ্ট
সুন্দর ভাবনার প্রয়াস
ভাল ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাইস