জাগরুক চক্রবাক
মহাজাগতিক তত্বের উত্যক্তে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে
একসময় পৃথিবী নামক গ্রহটা খণ্ড বিখণ্ড হল,
রাশিয়া আমেরিকা চাঁদে প্রাণ পাঠালো
সেখানে ষ্টেশন হলো,মানুষেরা জমি জমা কিনল ঘর বানাবে বলে
কিন্তু মহাকর্ষণের কোল ছেড়ে কে যেতে চাই ?
কেবলি মিছে অভিনয়,তাই
মাটি কামড়ে পড়ে থাকে পুরোনো দাড়ি কমায় ।
আদি পিতা মাতা আর জাতির পিতা থেকে
বার বার একই আভরণের পূণরাবৃত্তি
আধুনিক অত্যাধুনিক বিশ্বায়নের নামে নামে পেয়েছি বেশ্বায়ন
নগরায়নের নামে হারিয়ে ফেলেছি সবুজ সেই আমিকে
প্রগতির নামে পেয়েছি কুসংস্কারাচ্ছন্ন আন্ধ দুর্গন্ধ গতি
সষ্টিশীল সৃজনশীল অধিকার চাইতে গিয়ে পেলাম
সমকামিতায় সন্তান জন্ম দান, প্রকট স্বাক্ষী সময়
হেসে তাচ্ছিলে কয়. কত আর চাই অবদান ?
ফিরে যাও আসমানী অমৃতের ঠিকানায় ।
এই যে দেখছ তালগাছ,
বিশটি বছর ধরে দেখছি সে যেমন ছিল তেমন ই আছে
কিন্তু পাশের বাড়ির সেই ছোট্ট মেয়েটা আজ
তালগাছ ছুঁই ছুঁই করছে,
পেন্টি ব্রা’র সভ্যতায় সে শোভিত,
যে মা তার শাড়ি পরত,
আজ সে আন্টি জিন্সের প্যান্ট সেন্ডু গেঞ্জিতে প্যাকেট হাতে বাজারে যায়,
কে বলে আধুনিক,নগরায়ণ,বিশ্বায়ন,প্রগতিশীল আর
তোমার আমার লেখা পড়ে কিচ্ছু শিখেনি ?
আমাদের পুরোনোদের চোখেই কেবল পৃথিবী গোল,
ওদের কাছে শাখাহীন লম্বা দেবদারু গাছ । তাইতে
মাটির মানুষ মাটিতে রইতে না চায়
ইঁট পাথর দিয়ে তাই মুরগির চিলে কোঠা বানায়,
সন্ধে ঘরে অন্ধ হলে
আপন পর –ঘর বাড়ি প্রাসাদ-ডাক্তার কবিরাজ
জাগিয়ে রাখতে পায় লাজ
মাটি বলে. আধুনিক তুমি এস আজ।
কত উপেক্ষা,কত দাম্ভিকতা, কত ঠাট বাট
পুরোনো ঠেলে ফেলে নতুনের ডাক
উঁচু শিরে পুরোনো কয়,দেইনি দরজায় হাক
রেখেছি খোলা না হয়ে হতবাক
পরোনো দিয়েই নতুন করে চক্রবাক
তোমরা আসবে তোমরাই ফিরে যাবে
আমি যেমন আছি তেমন রব বেবাক ।